ওঠ্‌ ছুঁড়ী তোর বিয়ে

উইকিসংকলন থেকে
ওঠ্‌ ছুঁড়ী তোর বিয়ে

ওঠ্‌ ছুঁড়ী তোর বিয়ে!

শ্রীহরিমােহন কর্ম্মকার
প্রণীত।


শ্রীকাজী সফিউদ্দীনের
অনুমত্যানুসারে।


কলিকাতা।
গরাণহাটা ষ্ট্রীটে
৯২ নং ভবনে এঙ্গ্লো ইণ্ডিয়ান ইউনিয়ন যন্ত্রে
মুদ্রিত।


শকাব্দাঃ ১৭৮৫
এই পুস্তক চাঁদনীর ১ নং গলিতে
তত্ত্ব করিলে পাইবেন।
মুল্য এক আনা মাত্র।


শ্রীসিদ্ধেশ্বর ঘোষ কর্ত্তৃক মুদ্রাঙ্কিত।



বিজ্ঞাপন।


 এরূপ পুস্তক প্রকাশ করিতে কোন মতেই আমার ইচ্ছা ছিল না। কতিপয় বন্ধুর অনুরোধে প্রকাশ করিলাম। পুস্তকখানি কেবল কথঞ্চিৎ শব্দ বিন্যাশেই পরিপুরিত হইয়াছে, নতুবা আর কিছুই নাই। আমাদিগের দেশে এরূপ ননুষ্য অধিক দেখিতে পাওয়া যায়, যাঁহারা স্ত্রীর বশিভুত হইয়া পরম পূজ্য জনক জননীকে অন্ন দেননা, কথঞ্চিৎ জীবন ধারণের জন্য যৎকিঞ্চিৎ খোরাকী দিয়া থাকেন। তাঁহারদের প্রতিই যৎকিঞ্চিৎ উপদেশ প্রদত্ত হইয়াছে মাত্র।

 অতএব পাঠক মহাশয়রা অনুরাগপুর্ব্বক এক এক বার আদ্যপান্ত পাঠ করিলে আমার সমুদায় পরিশ্রম সফল জ্ঞান করিয়া চরিতার্থ হইব।

গ্রন্থকারস্য।

“ওঠ্‌ ছুঁড়ী তোর বিয়ে”।

কোন বণিক বর্ণিতার প্রতি রঙ্গিণী নাম্নী প্রতিবাসিনীর উক্তি।

 বলি ওলো বেণে দিদি! কি করিছ বসি।
শ্রীমুখ হয়েছে যেন রাহুগ্রস্ত শশী।
বেশ ভূষা কর নাই আলতা নাই পায়।
কবরী কসিত বালি বকুল মালায়॥
অঙ্গে নাহি অলঙ্কার এলো খেলো বেশ।
তৈল বিনা তাম্রবর্ণ সুচিকন কেশ॥
চিকন বসন কোথা সুন্দরী! তোমার।
যুবজন মনোহর যাতে অনিবার॥
অধরে নাহিক কেন অলঙ্কক রাগ।
বুঝি আজি বঁধু সনে করিয়াছ রাগ॥
মুখ যেন ভারি ভারি তলে হাঁড়ি প্রায়।
কি দুঃখে অসুখি দিদি! বলনা আমায়॥
লম্বিত যুগল স্তন হৃদয়ে দুলিছে।
পুতনার হৃদে যেন কেশব খেলিছে॥
অপুর্ব্ব কাঁচলি ত্যজি কি কর্ম্ম করেছ।
রোষ পরবশ এত কি হেতু হয়েছ॥

নিশি জাগিয়াছ বুঝি বঁধুর লাগিয়ে।
সেই রাগে দিদি! কি গো রয়েছ রাগিয়ে॥
আহা আহা মরে যাই লইয়ে বালাই।
যৌবনের ভাব দিদি! আজো ঘুচে নাই॥
যখন আছিল দিদি! যৌবন রতন।
ভাতারের প্রতি রাগ সাজিত তখন॥
তখন করিতে মান কথায় কথায়।
এখন সে সব কি গো আর শোভা পায়॥
হয়েছ ছেলের মা তা গিয়াছে সে সব।
এখন সুন্দরী বলি আছে মত্রি রব॥
আর কি উন্নত দিদি! আছে পয়োধর।
তবে বল কি দেখিয়ে ভুলিবে নাগর॥
যত বেশ ভুষা কর অসার সকলি।
পদ্ম ত্যজি কেতকীতে নাহি য়ায় অলি॥
অতএব বল বল রমণী রতন।
কি দুখে মনের খেদে হয়েছ এমন?॥
রঙ্গিণীর হাস্য রস শ্রবণ করিয়ে।
কহিছে সুন্দরী সুধা সাগর মখিয়ে॥
সন্তুষ্ট হলেম অতি কথায় তোমার।
জীবন যৌবন গেলে নাহি ফিরে আর॥
রমণীর সার ধন যৌবন রসুন।
যাহার স্বহায়ে হবে পুরুষের মন॥
যাহার স্বহায়ে নারী সুন্দরী বলয়া।
যাহার স্বহায়ে নারী পুরুষে মজায়॥

এমন সাধের ধন যৌবন রতন।
বিগত যাহার তার বিফল জীবন॥
ছিলাম যখন আমি তোদের মতন।
আছিল যখন মম পীনোন্নত স্তন॥
তখন ভাতার মম দাসের মতন।
অবিরত কর ঘোড়ে যোগাইত মন।
সে ভাবে অভাব নাই এখন তেমন॥
কর্ম্ম কায যজ্ঞ যাগ আহার ব্যাভার।
মম অনুমতি বিনা সাধ্য কিবা তার॥
আমাদের কর্ত্তা নয় তোদের মতন।
ব্রহ্ম বলি মান্য মোরে করে অনুক্ষণ॥
মাসে মাসে মাহিয়ান যত টাকা পায়।
অনুরাগে সমর্পণ করে এই পায়॥
লোহার সিন্ধুকে রাখি করিয়ে যতন।
গহনা গড়াই শেষে মনের মতন॥
অনুগত পতি যেন তস্করের প্রায়।
কথায় কথায় আসি ধরে দুটি পায়॥
বণিক বণিতার প্রতি রঙ্গিণীর পুনরোক্তি।
যে কথা কহিলে তুমি শুনে মরি লাজে।
এসব রকম ভাই তোমাদেরি সাজে॥
বিশিষ্ট লোকের হলে দিয়ে গালাগালি।
এক গালে দিত চুন আর গালে কালি॥
ভাল ভাল বল দেখি ও চাঁদ বদনী।
যাঁহাদের কৃপাবলে দেখিলে ধরণী॥

যাঁহাদের স্নেহ রস শরীয় ধারণ।
যাঁহাদের স্নেহ রসে হয়েছ পালন॥
যাঁহাদের স্নেহ রসে জ্ঞান উপার্জ্জিলে।
যাঁহাদের স্নেহে কত বিপদে তারিলে॥
দশ মাস গর্ভে যেঁই করেছে ধারণ।
প্রাণান্ত করিয়ে যেই করেছে পালন॥
প্রাণাধিক তনয়ের অসুখ হইলে।
অবিরত ভাষে জিনি নয়ন সলিলে॥
শয়ন ভােজন সব করি পরিহার।
বাঁচাতে নন্দনে যাঁর যত্ন অনিবার॥
এক দণ্ড ৰেলা হলে ভোজন করিতে।
জিনি না পারেন আর জীবন ধরিতে॥
সর্ব্বদা করেন তত্ত্ব, তনয় কোথায়।
বহু মুল্য মণিহারা সাপিনীর প্রায়॥
ধন দিয়ে প্রাণ দিয়ে যত্ন করে যাঁরা।
শয্যাগুরু ঘরে এলে পর হয় তাঁরা॥
এ লজ্জার কথা দিদি? কহিব বা কায়।
স্ত্রী হল পরম গুরু মা খােরাকি খায়॥
শাশুড়ী হলেন গিন্নি ধর্মের সংসারে।
দাসীর সমান মাতা ফেরেন বাজারে॥
যুড়ি হেঁকে যান বাবু দালালি করিতে।
গোবরের ঘুঁটে দেয় জননী বাড়িতে॥
হায়রে বিষম কলি বলিহারি যাই।
মাগ ব্রহ্ম মাগ ব্রহ্ম মার অন্ন নাই॥

অথবা কাহারাে যদি থাকে দুটি পুত্র।
দিন দিন বৃদ্ধি হয় কলহের সূত্র॥
বড় বলে আমি দিব খোরাকি দু টাকা।
ছোট বলে দেড় টাকা কহিলাম পাকা॥
ইহার অধিক আমি দিতে না পারিব।
দিই যদি নানারূপ যাতনা সহিব॥
মাস গেলে দুই ভরি সোণা না কিনিলে।
জীবন না রবে দাদা লাথি আর কিলে॥
ফুলোল অইল চাই বোতল বোতল।
নতুবা যামিনী ষোগে হবে গণ্ডগোল॥
খাক বা না খাক মাতা তাহাতে পারিব।
নিশির যাতনা কিন্তু সহিতে নারিব॥
পাশ ফিরে শুয়ে রবে সরে না জীবনে।
প্রাণপনে তার মন যোগাব যতনে॥
দাদা বলে ওরে ছোঁড়া তোর মুখে ছাই।
আমি দিব দুই টাকা তুই দিবি নাই॥
এ সংসারে সুধু কি তােমার আছে মাগ।
আমারো কি তার প্রতি নাহি অনুরাগ॥
ছােট বলে ওগো দাদা ওকথা বলো না।
তাঁর অনুমতি বিনে দিতে পারিব না॥
এনেছি পরের মেয়ে করি পরিনয়।
অনুমতি নাহি নিলে রুষ্ট পাছে হয়॥
আমি যা বলেছি দাদা লুকাইয়ে দিব।
ইহার অধিক দিতে কভু না পারিব॥

বরঞ্চ প্রিয়ারে লয়ে সতন্ত্র থাকিব।
ইহার অধিক তবু দিতে না পারিব॥
বলি হারি যাই কলি কি গুণ তোমার।
মাগ ব্রহ্ম জননীর অন্ন জোটা ভার॥
 বিবেচনা করে দেখ ও চাঁদ বদনী।
তনয়ের বিভা দেয় জনক জননী॥
সার ধন পুত্রবধূ অসিরে ঘরে।
রেঁধে বেড়ে খাওয়াবেন অনুরাগ ভরে॥
পুত্র নিৰ্বিশেষ স্নেহ করিবে দোহায়।
মা যত্ন করে খাওয়াবেন জননীর প্রায়॥
এই আশা তাহাদের মনে মনে রয়।
কাল ক্রমে সব কিন্তু বিপরিত হয়॥
যখন বধূর হয় উদয় যৌবন।
কটাক্ষে পতির মন করেন হরণ॥
তখন বধূরে বল আর কেবা পায়।
বেশ ভূষা করিতে সমস্ত দিন যায়॥
কখন আরসী ধরি দেখিছে বদন।
কখন পরিছে অতি চিকণ বসন॥
কখন পরিছে অঙ্গে বিবিধ ভূষণ।
কখন যতনে কেশ করিছে বন্ধন॥
কখন কখন বধূ অতি অনুরাগে।
অধর করিছে রাঙ্গা অলক্তক রাগে॥
ভুলাইতে প্রাণেশের প্রেমাকৃষ্ণ মন।
দিবা নিশি করিছেন কেবল ভাবন॥

রূপ গুণে কাজ নাই ভাবনের জোরে।
অনাশে পতির মন ধন লয় হরে॥
প্রাচীনা শাশুড়ী হেথা রন্ধন শালায়।
পঞ্চাশ ব্যঞ্জন অন্ন বধূরে যােগায়॥
ভয়ে ভয়ে মুখে মুখে যােগায় বধূরে।
পাছে বধূ রুষ্ট হয়ে লাগায় বাবুরে॥
এ রূপে বধূর মন যােগাবেন যিনি।
সন্তানের কাছে অন্ন পাইবেন তিনি॥
দৈবে যদি বধূসনে কলহ হইল।
জননীর এক মুটো অমনি উঠিল॥
উদর পুরাণ তিনি রন্ধনী হইয়ে।
নন্দন থাকেন সুখে প্রিয়ারে লইয়ে॥
কিছু দিন পরে যদি জনক জননী।
অমর নগরে যায় ত্যজিয়ে ধরণী॥
শ্রাদ্ধ উপলক্ষে বড় ধুম ধাম হয়।
বরাদ্দ দু তিন লাখ এর কম নয়॥
জনে জনে দুটা করে রূপার ষােড়শ।
থালা ঘটি ঘড়া গাড়ু গোরস গোরস॥
টাকায় চারিটা করে কাঙ্গালি বিদায়।
অজচ্ছল লুচি মোণ্ডা কেবা কত খায়॥
শ্রাদ্ধের সুখ্যাতি বড় করিল সবাই।
জীবিত থাকিতে কিন্তু অন্ন পান নাই॥
হায়রে! নিদয় কলি কি কহিব আর।
পিতৃ মাতৃ ভক্তি ও কি করিলি সংহার॥

এমন ছেলের বোন মরণ উচিত।
কখন কি শুনে নাই শ্রীরাম চরিত॥
থাকুক ও সবে আর নাহি প্রয়ােজন।
মন খুলে বল তব মনের বেদন॥
রঙ্গিণীর বাক্য শুনি বেণে দিদী কয়।
যা কহিলে বোন তুমি সকলি নিশ্চয়॥
আমার দুঃখের কথা শুন অতঃপরে।
নিরন্তর ভেবে মরি বিমলের তরে॥
হদ্দ হইলাম ভাই জামাই খুঁজিয়ে।
পোড়া কপালীর ভাগ্যে নাহি বুঝি বিয়ে॥
তেরো বছরের মেয়ে হয়েছে আমার।
বিয়ে বিনা তারে কি গো রাখা যায় আর॥
তাহে পোড়া কলিকাল কি জানি কি হবে।
নিরন্তর ভাবি বোন কিসে জাতি রবে॥
ঝকড়া করেছি কাল বিবাহের লেগে।
প্রভাতে উঠিয়ে তিনি গিয়াছেন রেগে॥
বলেছেন আজি বর ধরিয়ে আনিয়ে।
নিশ্চিন্ত হইব বিমলের বিয়ে দিয়ে॥
প্রতিজ্ঞা করিয়ে তিনি গিয়াছেন আজ।
দেখ যদি নারায়ণ রক্ষা করে লাজ॥
এ দিগে বণিক গঞ্জনায় প্রেয়সীর।
প্রভাতে আলয় হতে হয়েছে বাহির॥
পাড়ায় পাড়ায় আর নগরে নগরে।
খুঁজিছে মেয়ের বর প্রতি ঘরে ঘরে॥

যার কাছে যায় সেই বেশী সোণা চায়।
শ্রবণ মাত্রেতে তুর শােণিত শুকায়॥
খুঁজিতে খুঁজিতে ক্রমে দিবা অবসান।
এমন সময় বর মিলিল সন্ধান॥
দিবাকর অস্তাচল করিল প্রস্থান।
ঊদয় হইল আসি রজনী রমণ॥
প্রেয়সী নিশার কর করিয়ে ধারণ



এখানে বণিক বাবু দুঃখিত অন্তরে।
ঊপস্থিত হৈল আসি চন্দন নগরে॥
খুঁজিতে খুঁজিতে তথা পাওাগেল বর
রূপের সাগর তিনি রূগের সাগর॥
সুচারু বদন দেখি লাজ প্রায় শশী।
অঙ্গের বরণ দেখি লাজ পায় মসি॥
সুচারু নয়ন দ্বয় জিনিছে বারণ।
নাসাতে পেঁচার গর্ব্ব করেছে হরণ॥
নিশিতে থাকেন যদি দাঁড়ায়ে কোথায়
ভূত বলি অবলারা ভয়েতে পলায়॥
অদৃষ্টের জোর তার বলিব বা কত।
ক্রমে ক্রমে দুটি ভার্য্যা হয়েছেন গত॥
“ভাগ্যবান মনুষ্যের ঘােড়া মরে বলে।
অভাগার মাগ মরে বলেন সকলে”॥
এ রূপ সুন্দর বর করি দরশন।
কিঞ্চিৎ হইল সুস্থ বণিকের মন।

ত্বরা করি বরবেশে বরে সাজাইয়ে।
চলিল আলয় মুখে তরণী খুলিয়ে॥
অনুকুলবায়ু ভরৈ তরণী চলিল।
দুপ্রহর নিশাকালে গৃহেতে আসিল॥
কপাট দেখিয়ে রুদ্ধ ডাকাডাকি করে।
বর আনিয়াছি দ্বার খোলা ত্বরা করে॥
বণিক বণিতা শুনি ধাইল সত্বরে।
পাছে পাছে পুত্রবধূ আলো লয়ে করে॥
কপাট খুলিয়া দিয়া পাশে দাঁড়াইল।
বর লয়ে কর্ত্তা বাবু গৃহে প্রবেশিল॥
বর দেখি পুত্রবধূ মুখ ঢাকি বাসে।
হাসিতে হাসিতে এলো বিমলের পাশে॥
বলে ওলো ঠাকুরঝি এত কেন ঘুম।
আজি লাগিয়াছে তোর বিবাহের ধুম॥
এনেছে ঠাকুর বর খুঁজিয়ে খুঁজিয়ে।
রজনী পোয়ায় “ওঠ ছুঁড়ী তোর বিয়ে॥”

সমাপ্তঃ।

বিজ্ঞাপন।


 সর্ব্ব সাধারণকে জ্ঞাত করা যাইতেছে যে কোন ব্যক্তি কবিকারের এবং আমার নাম উঠাইয়া কিম্বা লুকাইয়া ছাপেন তবে বোধ হবে যে তাহার জন্মের কিছু কুকর্ম্ম আছে, এবং এক পিতার পুত্ত্র নহে। আমার নামের মােহর দৃষ্টি করিয়া লইবেন বেগর মােহর চুরি জানিবেন।

প্রকাশক।
শ্রীকাজী সফিউদ্দীন।

এই লেখাটি বর্তমানে পাবলিক ডোমেইনের আওতাভুক্ত কারণ এটির উৎসস্থল ভারত এবং ভারতীয় কপিরাইট আইন, ১৯৫৭ অনুসারে এর কপিরাইট মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়েছে। লেখকের মৃত্যুর ৬০ বছর পর (স্বনামে ও জীবদ্দশায় প্রকাশিত) বা প্রথম প্রকাশের ৬০ বছর পর (বেনামে বা ছদ্মনামে এবং মরণোত্তর প্রকাশিত) পঞ্জিকাবর্ষের সূচনা থেকে তাঁর সকল রচনার কপিরাইটের মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়ে যায়। অর্থাৎ ২০২৪ সালে, ১ জানুয়ারি ১৯৬৪ সালের পূর্বে প্রকাশিত (বা পূর্বে মৃত লেখকের) সকল রচনা পাবলিক ডোমেইনের আওতাভুক্ত হবে।