কালান্তর (২০১৮)/প্রসঙ্গকথা

উইকিসংকলন থেকে

প্রসঙ্গকথা

কয়েকটি প্রবন্ধ সম্বন্ধে প্রাসঙ্গিক তথ্য সংকলিত হইল

  কলিকাতা রামমােহন লাইব্রেরিতে (৪ আগস্ট ১৯১৭) এবং আলফ্রেড থিয়েটার গৃহে পঠিত। স্বতন্ত্র পুস্তিকাকারেও প্রকাশিত হয় [২২ আগস্ট ১৯১৭]।

৬, ১৩, ১৬ সাময়িকপত্র হইতে গ্রন্থভুক্তিকালে কিছু কিছু অংশ বর্জিত।

১০  শান্তিনিকেতন আশ্রমবাসীদের সমক্ষে প্রথম পঠিত, ১০ আগস্ট ১৯২১। প্রবাসীর পাঠ অনুসৃত।

১১  কলিকাতা ইউনিভার্সিটি ইনস্টিটিউটে পঠিত, ২৯ আগস্ট ১৯২১।

১৭  প্রমথ চৌধুরী -লিখিত ‘রায়তের কথা’ (আগস্ট ১৯২৬] গ্রন্থের ভূমিকারূপে প্রকাশিত।

১৮  ১৯২৭ সালে পূর্বদ্বীপপুঞ্জ অভিমুখে যাত্রাকালে কলিকাতা ইউনিভার্সিটি ইনস্টিটিউটে ‘বৃহত্তর ভারত পরিষদ’ কর্তৃক আয়ােজিত বিদায়সংবর্ধনা উপলক্ষে অভিনন্দনের উত্তরে ভাষণ।

১৯  ‘ভারতবর্ষে হিন্দু-মুসলমান সমস্যার সমাধান কি?’ নামে ‘ফ্রান্সের চিঠি’র অন্তর্গত। কালিদাস নাগের চিঠিসহ মুদ্রিত।

২০  ১৯২৬ সালে শান্তিনিকেতনে ২৫ ডিসেম্বর (১০ পৌষ ১৩৩৩) “স্বামী শ্রদ্ধানন্দের মৃত্যুতে শােকপ্রকাশ ও তাঁহার প্রতি শ্রদ্ধা-প্রদর্শনের জন্য যে সভা হয় তাহার সভাপতিরূপে শ্রীযুক্ত রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর যে বক্তৃতা করেন, তাহার তাৎপর্য তৎকর্তৃক সংশােধনান্তর” প্রকাশিত। অনুলেখন শ্রীপুলিনবিহারী সেন -কৃত।

২২  শ্রীশচীন সেন -লিখিত- Political Philosophy of Rabindranath গ্রন্থ প্রসঙ্গে মন্তব্য। ২৩  হিজলী ও চট্টগ্রামের নৃশংস ঘটনাবলীর প্রতিবাদে অক্‌টারলােনি মনুমেণ্টের পাদদেশে রবীন্দ্রনাথের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় তৎকর্তৃক পঠিত ভাষণ, ২৬ সেপ্টেম্বর ১৯৩১।

 প্রবাসী পত্রের ‘বিবিধ প্রসঙ্গে’ চট্টগ্রাম ও হিজলীর ব্যাপার সম্বন্ধে রবীন্দ্রনাথ’ নামে উস্তৃত।

 স্টেটস্‌ম্যান পত্রিকায় কারারক্ষীদের সমর্থনে যে মতামত প্রকাশিত হয় তাহার উত্তরে রবীন্দ্রনাথের বক্তব্য এই প্রবন্ধের দ্বিতীয় অংশ। প্রবাসী পত্রের ‘বিবিধ প্রসঙ্গে ‘হিজলীর হত্যাকাণ্ড সম্বন্ধে রবীন্দ্রনাথ’ নামে উদ্‌ধৃত।

২৪  আন্দামানস্থ রাজবন্দীদের প্রায়ােপবেশন উপলক্ষে আহুত সভায় কথিত।

 ‘গত ২৯শে শ্রাবণ শ্রীযুক্ত রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বিশ্বভারতীর অধ্যাপক এবং ছাত্রী ও ছাত্রদিগকে যাহা বলিয়াছিলেন, তাহা তিনি এই প্রবন্ধের আকারে লিখিয়া দিয়াছেন।’— প্রবাসীর সম্পাদক।

২৫  কলিকাতায় অ্যালবার্ট হলে নিখিলবঙ্গ-মহিলা-কর্মী সম্মিলন উপলক্ষে লিখিত।

২৬  শ্রীঅমিয় চক্রবর্তীকে লিখিত পত্রের পরিমার্জিত রূপ। দ্রষ্টব্য, চিঠিপত্র একাদশ খণ্ড (আষাঢ় ১৩৮১) পত্রসংখ্যা ১১৫।

২৭  রবীন্দ্রসদনে রক্ষিত অপরের হস্তাক্ষরে লিখিত এবং রবীন্দ্রনাথ কর্তৃক সংশােধিত পাণ্ডুলিপিতে অপরের হস্তাক্ষরে লিপিবদ্ধ আছে: ‘শান্তিনিকেতন। মাঘ ১৩৪৫’। ইহার ইংরাজি অনুবাদের একটি টাইপ-প্রতিলিপিতে অপরের হস্তাক্ষরে লিখিত আছে: Final version/ (28.1.39)

 কবিকৃত ইংরাজি অনুবাদের পাণ্ডুলিপিও রবীন্দ্রসদনে রক্ষিত আছে। টাইপ-প্রতিলিপিটি তাহা হইতে সামান্য পরিবর্তিত। মনে হয়, কবি পরে সংশােধন করেন।

 ‘দেশনায়ক’ পুস্তিকাকারে মুদ্রিত হইলেও প্রবন্ধটি বা তাহার ইংরাজি অনুবাদ কবির জীবদ্দশায় সাধারণের নিকট প্রচারিত হয় নাই। কবির পরলোকগমনের পর যখন রচনাটি সাময়িক পত্রে প্রকাশিত হয় তখন উহার রচনা ও মুদ্রণ-কাল মে ১৯৩৯ বলিয়া উল্লিখিত হইয়াছিল; পাণ্ডুলিপির তারিখ দৃষ্টে ও নিম্নমুদ্রিত পত্র দুইটি পাঠে উক্ত মাস-নির্দেশ যথাযথ নহে বলিয়া মনে হয়।

 রবীন্দ্রনাথ ১৪. ১. ৩৯ তারিখে সুভাষচন্দ্রকে লেখেন—

 ‘ফেব্রুয়ারির আরম্ভে আমাকে কলকাতায় যেতে হবে। ... ৪ঠা ফেব্রুয়ারি অভিনয়ের প্রথম দিন। সেই দিন আমি তোমাকে রঙ্গশালায় প্রকাশ্য অভিনন্দন দিতে চাই।’

 কিন্তু সে ‘প্রকাশ্য অভিনন্দন’ সভা অনুষ্ঠিত হয় নাই। রবীন্দ্রনাথ ২৭. ১. ৩৯ তারিখে সুভাষচন্দ্রকে লেখেন—

 ‘সম্পূর্ণ অনিবার্য কারণে এবং শারীরিক দুর্বলতা বৃদ্ধি হওয়াতে আপাতত তোমার অভিনন্দন-সভা বন্ধ রাখতে বাধ্য হতে হোলো।’

 অভিনন্দন-সভা বন্ধ রাখিতে হইলেও ইতিমধ্যে সেই অভিনন্দনের উপলক্ষে ‘দেশনায়ক’ অভিভাষণটি রচিত ও মুদ্রিত হয়।

২৮  মহাজাতিসদনের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন (২ ভাদ্র ১৩৪৬) উপলক্ষে প্রদত্ত ভাষণ (প্রবাসী) এবং উক্ত অনুষ্ঠানকালে স্বতন্ত্র পুস্তিকাকারে প্রকাশিত।

২৯  ‘শান্তিনিকেতনে বার্ষিক উৎসবে কবির সম্ভাষণ। শ্রীপুলিনবিহারী সেন- কর্তৃক অনুলিখিত ও বক্তাকর্তৃক সংশোধিত।

৩০  শান্তিনিকেতনের সাংবৎসরিক উৎসব উপলক্ষে আচার্যের উপদেশ শ্রীপুলিনবিহারী সেন -কর্তৃক অনুলিখিত, বক্তাকর্তৃক সংশোধিত।

৩১  ৭ই পৌষ বার্ষিক উৎসব উপলক্ষে রচিত ও পুস্তিকাকারে প্রচারিত। শ্রীঅমিয় চক্রবর্তী -কৃত অনুলেখন, কবি-কর্তৃক অনুমোদিত।

৩২  ‘আশি বৎসর বয়স পূর্ণ হওয়া উপলক্ষ্যে জন্মোৎসবে অভিভাষণ’। স্বতন্ত্র পুস্তিকাকারে প্রচারিত (বৈশাখ ১৩৪৮) ও প্রচলিত।