কিশোরদের মন
কিশোরদের
মন
কিশোর
উপন্যাস
শ্রীদক্ষিণারঞ্জন মিত্র মজুমদার
প্রবাসী কার্য্যালয়
কলিকাতা
প্রকাশক
শ্রীকেদারনাথ চট্টোপাধ্যায়
প্রবাসী কার্য্যালয়
১২০।২, আপার সার্কুলার রোড,
কলিকাতা
১৩৪০
আট আনা
প্রবাসী প্রেস
১২০।২, আপার সার্কুলার রোড, কলিকাতা
শ্রীমাণিকচন্দ্র দাস কর্ত্তৃক মুদ্রিত
কিশোর বাংলার জ্যোৎস্না রাজ্যের যাত্রাপথে | |||
ভূমিকা
কিশোরদের উপন্যাসের অক্ষর লিখ্তে, কালিটে নিতে হয় সব্জে’।
সেই ছোট ছোট উজ্জ্বল মানুষদের মন, যেন নূতন পাখা ওঠা পক্ষিরাজ ঘোড়ার পিঠে সওয়ার; তরোয়াল ঝক্মকিয়ে সবটা রাস্তা চম্কিয়ে তারা চলেছে!
শিশুদের মনকে প্রথমেই ভুলিয়ে দেওয়া যায়, লাল একটুকু অমল হাসি দিয়ে। ঘটনার দোলায় দুলিয়ে, কি, কল্পনার উধাও মেঘে ছোটদের একেবারে উড়িয়ে নেওয়া যায়!
কিন্তু বীর কিশোরেরা এক নিমিষে তরোয়াল দিয়ে কচ্ কচ্ করে এসব কেটে ফেলে দিতে পারে, তা-ই যদি তাদের ইচ্ছে হয়।
দিয়েই,
হয় ত ভ্রূ কুঁচিয়ে আধ হাসি সঙ্গে রেখে, তারা জিজ্ঞেস করবে,
“কি
এ?”
তখন সত্যিকারের রাজ্যের বাঁশী না বাজ্লে, তারা তাদের সদ্য ধারাল আলোর স্বর্ণপতাকা উড়িয়ে দিয়ে, সেইখেনে তাদের যুদ্ধের বিউগল্ বাজিয়ে দেয়!
সজাগ কিশোরেরা এই রকমে তাদের চোক আর মন এই দুটো অমূল্য হীরের আলোতে, জগতের কিছুকেই হারিয়ে দিতে পেরেছে।
যা কিছু স্বপ্ন পৃথিবীতে আছে, আর যা কিছু স্বপ্ন রয়েছে কিশোরদের মনের ভিতর, সব তাদের কাছে হেরে গিয়ে, প্রতিদিন হয়ে উঠ্ছে, সত্য। এবং সেই সত্যকে সবখানেই হতে হয়েছে রঙিন্। তারই উপর দিয়ে জীবনের অমর পক্ষিরাজ ঘোড়া ছুটিয়ে চলে যাচ্ছে তারা!—সেই প্রফুল্ল, সুন্দর, অতুল, জীবন্ত কিশোরেরা!
তাদের জীবনের ইতিহাস আর উপন্যাস, এ দুই-ই মাখা তারি মধ্যে। তাজা সবুজে’ রঙে।
তাদের হার আর জিৎ, ওরি ভিতরে দুটিই। তা তারা কখনও বেছে নিতে পারে না! নিতে না পারাটাই যেন তাদের অসীম আনন্দ! বেছে নিতে না পেরে, গাছের পাতা যেমন গাঢ় আর হালকা দু’রঙেরই উপর দিয়ে, ফুল হয়ে ওঠে ফুটে, এরাও তেম্নি ফুটে ওঠে মানুষের ভুবনের আলোর ফুল হয়ে, সোণালি রঙে!
বল্বার জন্যে, যে—
খোলা পথে, নদীর ধারে, মাঠের বুকে, পাহাড় ডিঙিয়ে কিশোরদের ঘোড়া ছুটে চলেছে; হীরের আলো জ্বলে উঠ্ছে আঁধারের গায়ে গায়ে। বিমল আর সুবিনয় ফিরে দাঁড়িয়ে দেখ্ছে—তাদের সাথীদের কার কার ঘোড়া ছুটে আস্ছে!
লেক রোড
আজের তুলির কাণে,
তেপান্তরের সংবাদটি
এনে দিয়েছিল, পরম
স্নেহাস্পদ শ্রীমান্
সন্তোষ বন্দ্যোপাধ্যায়।
কলিকাতা রেডিও অধ্যক্ষ
মহাশয়ের অনুরোধে, এই
উপন্যাসখানি, শারদোৎসবে,
রেডিওতে বলা হয়েছিল।
অশেষ স্নেহভাজন শ্রীমান্
সমর দে এ বইয়ের ছবি
লিখবার ভার নিয়েছিল।
সূচীপত্র
এই লেখাটি বর্তমানে পাবলিক ডোমেইনের আওতাভুক্ত কারণ এটির উৎসস্থল ভারত এবং ভারতীয় কপিরাইট আইন, ১৯৫৭ অনুসারে এর কপিরাইট মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়েছে। লেখকের মৃত্যুর ৬০ বছর পর (স্বনামে ও জীবদ্দশায় প্রকাশিত) বা প্রথম প্রকাশের ৬০ বছর পর (বেনামে বা ছদ্মনামে এবং মরণোত্তর প্রকাশিত) পঞ্জিকাবর্ষের সূচনা থেকে তাঁর সকল রচনার কপিরাইটের মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়ে যায়। অর্থাৎ ২০২৪ সালে, ১ জানুয়ারি ১৯৬৪ সালের পূর্বে প্রকাশিত (বা পূর্বে মৃত লেখকের) সকল রচনা পাবলিক ডোমেইনের আওতাভুক্ত হবে।