ক্ষণিকা/অচেনা
অচেনা
কেউ যে কারে চিনি নাকো
সেটা মস্ত বাঁচন।
তা না হলে নাচিয়ে দিত
বিষম তুর্কিনাচন।
বুকের মধ্যে মনটা থাকে,
মনের মধ্যে চিন্তা-
সেইখানেতেই নিজের ডিমে
সদাই তিনি দিন্ তা।
বাইরে যা পাই সমজে নেব
তারি আইন-কানুন,
অন্তরেতে যা আছে তা
অন্তর্যামীই জানুন।
চাই নে রে, মন চাই নে।
মুখের মধ্যে যেটুকু পাই
ভযে হাসি আর যে কথাটাই,
যে কলা আর যে ছলনাই,
তাই নে রে মন, তাই নে॥
বাইরে থাকুক মধুর মূর্তি,
সুধামুখের হাস্য,
তরল চোখের সরল দৃষ্টি
কররনা তার ভাষ্য।
বাহু যদি তেমন করে
জড়ায় বাহুবন্ধ
আমি দুটি চক্ষু মুদে
রইব হয়ে অন্ধ-
কে যারে, ভাই, মনের মধ্যে
মনের কথা ধরতে।
কীটের খোঁজে কে দেবে হাত
কেউটে সাপের গর্তে।
চাই নে রে, মন চাই নে।
মুখের মধ্যে যেটুকু পাই
যে হাসি আর যে কথাটাই,
যে কলা আর যে ছলনাই,
তাই নে রে মন, তাই নে॥
মন নিয়ে কেউ বাঁচে নাকো,
মন ব’লে যা পায় রে
কোনো জন্মে মন সেটা নয়
জানে না কেউ হায় রে।
ওটা কেবল কথার কথা
মন কি কেহ চিনিস?
আছে কারো আপন হাতে
মন ব’লে এক জিনিস?
চলেন তিনি গোপন চালে,
স্বাধীন তাঁহার ইচ্ছে।
কেই-বা তাঁরে দিচ্ছে এবং
কেই-বা তাঁরে নিচ্ছে।
চাই নে রে, মন চাই নে।
মুখের মধ্যে যেটুকু পাই
যে হাসি আর যে কথাটাই,
যে কলা আর যে ছলনাই,
তাই নে রে মন, তাই্ নে॥