বিষয়বস্তুতে চলুন

চমৎকুমারী ইত্যাদি গল্প/জয়রাম-জয়ন্তী

উইকিসংকলন থেকে

জয়রাম-জয়ন্তী

য়রাম নন্দী কোনও অসাধারণ মহাপুরুষ নন, তিনি শুধু অসাধারণ দীর্ঘজীবী। আজ তাঁর শততম জন্মদিন, তাই তাঁর আত্মীয়রা একটু জয়ন্তীর আয়োজন করেছেন। পোলাও আর মাংস রান্না হচ্ছে, কিন্তু এ বাড়িতে নয়, একটু দূরে অন্য বাড়িতে, নয়তো বুড়ো গন্ধ পেয়ে খাবার জন্যে আবদার করবে।

 সকালে কমলানেবুর রস আর দুধ-সন্দেশ খাইয়ে বাইরের ঘরে একটা তক্তপোশে অনেকগুলো বালিশে ঠেস দিয়ে জয়রামকে বসানো হয়েছে। আজ রবিবার, সকলেরই ফুরসত আছে। স্বজনবর্গ একে একে এসে প্রণাম করছে, উপহার দিচ্ছে, দু-চারটে কথা বলে অনেকে চলে যাচ্ছে, কেউ বা অল্পক্ষণের জন্যে বসছে।

 বয়সের তুলনায় জয়রামের শরীর ভালই আছে। ব্লডপ্রেশার বেশী নেই, ডায়াবিটিস নেই, বাত নেই। চোখে ছানি পড়ে নি, তবে দৃষ্টি কমে গেছে। খাবার লোভ খুব আছে, কিন্তু পেটরোগা। কানে কখনও ভাল শোনেন, কখনও খুব কম শোনেন। দোষের মধ্যে মাঝে মাঝে স্মৃতির ওলটপালট হয়, অতীত আর বর্তমান গুলিয়ে ফেলেন, কেউ প্রতিবাদ করলে চটে ওঠেন। মেজাজ সাধারণত ভালই থাকে, গল্প করতে ভালবাসেন, মাঝে মাঝে প্রলাপ বকেন, আবার বুদ্ধিমানের মতন কথাও বলেন। খবর জানবার আগ্রহ খুব আছে, কাগজে কি লিখেছে তা তাঁর নাতির কাছ থেকে প্রত্যহ শোনেন। বেশী তামাক খাওয়া বারণ, কিন্তু জয়রাম হাত থেকে গড়গড়ার নল নামাতে চান না, কলকে নিবে গেলেও টের পান না।

 সিমসন স্মিথ অ্যাণ্ড কম্পানির অফিসে জয়রাম চল্লিশ বছর চাকরি করেছেন, শেষ বিশ বছর বড়বাবুর পদে ছিলেন। মনিবরা উদার, জয়রামকে মোটা পেনশন দেন। তিনি অবসর নিলে তাঁর ছেলে হরেরাম ওই পদ পান। চার বছর হল হরেরামও অবসর নিয়েছেন, এখন তিনি নবদ্বীপে বাস করছেন। তাঁর ছেলে, অর্থাৎ জয়রামের নাতি শিবরাম ওই ফার্মেই কাজ করে, তারও ভবিষ্যতে বড়বাবু হবার আশা আছে।

 জয়রাম তিনবার বিবাহ করেছিলেন, এখন তিনি বিপত্নীক। স্নান, কাপড় বদলানো, খাওয়া, মুখ ধোয়া ইত্যাদি নানা কাজে তাঁকে পরের সাহায্য নিতে হয়। রাত্রে অনেক বার তাঁর জন্যে প্রস্রাবের পাত্র এগিয়ে দিতে হয়, সকালে এনিমাও দিতে হয়। একজন দক্ষ চাকর এইসব কাজ করত, কিন্তু জয়রামের গালাগালি সইতে না পেরে সে চলে গেছে। অগত্যা সম্প্রতি একজন নর্স বাহাল করা হয়েছে, লতিকা খাস্তগির। পাস করা নর্ন নয়, সেজন্যে তার চার্জ কম। সে সন্ধ্যায় আসে, বেলা আটটায় চলে যায়। তার সেবায় জয়রাম এখন পর্যন্ত তুষ্ট আছেন।

 আগন্তুক আত্মীয়-স্বজনের সঙ্গে জয়রাম প্রসন্ন মনে গল্প করছেন আর মাঝে মাঝে গড়গড়ার নির্ধূম নল টানছেন, এ সময় তাঁর নাতি শিবরাম এসে বলল, দাদু মস্ত খবর, আমাদের বড়সায়েব মিস্টার সিমসন তোমার সঙ্গে দেখা করতে আসবেন।

 জয়রাম বললেন, বলিস কি রে, সার চার্লস সিমসন?

 —আঃ, তোমার কিছুই মনে থাকে না। সার চার্লস তো তোমার চাইতেও বড় ছিলেন, সেই কবে মান্ধাতার আমলে মারা গেছেন। তাঁর নাতি হ্যারি সিমসন এখন সিনিয়র পার্টনার, তিনিই গুড উইশ জানাতে আসছেন। তোমার সঙ্গে ফার্মের কত কালের সম্পর্ক তা জানেন কিনা।

 —জানবেই তো, কত বড় বংশের সায়েব। কিন্তু বসতে দিবি কিসে? বাড়িতে একটাও ভাল চেয়ার নেই।

 —ভেবো না, তার ব্যবস্থা আমি করেছি।

 জয়রাম চঞ্চল হয়ে বললেন, ওরে শিবু চট করে আমার সেই জীনের পাতলুন আর মুগার চাপকানটা বের করে আমাকে পরিয়ে দে। তোর বউএর কাছ থেকে একটু খোসবায় এনে ভাল করে মাখিয়ে দিস, যাতে ন্যাফথালিনের গন্ধ চাপা পড়ে। আর, একটা উড়ুনি বেশ করে কুচিয়ে পাকিয়ে দে, গলায় দেব। আর, আমার ঘড়ি, ঘড়ির চেন, সার চার্লস সিমসন যা দিয়েছিলেন।

 —কেন শুধু শুধু ব্যস্ত হচ্ছ দাদু, তুমি যা পরে আছ সেই সাজেই সায়েবের সঙ্গে দেখা করবে। খাতির জানাবার জন্যে কাগতাড়ুয়া সাজবার কোনও দরকার নেই।

 উপস্থিত স্বজনবর্গের দিকে সগর্বে দৃষ্টিপাত করে জয়রাম বললেন, উঃ, মস্ত লোক ছিলেন সার চার্লস সিমসন। আমাকে কি রকম স্নেহ করতেন, হরদম ডাকতেন, ন্যাণ্ডি ব্যাবু, ন্যাণ্ডি ব্যাবু। ওরে শিবু জন্মদিনের উপহার কি সব এল তা তো দেখালি নি।

 —তা ভালই এসেছে। ফুলের মালা, ফুলের তোড়া, গরদের জোড়, নামাবলী, দুধখাবার রুপোর গেলাস, গড়গড়ার রুপোর মুখনল, বাক্স বাক্স সন্দেশ আর চন্দ্রপুলি, ল্যাংড়া আম, মিহি পেশোয়ারী চাল, গাওয়া ঘি, আরও কত কি।

 —পাকা কই মাছ দিয়েছে?

 —না, তা তো কেউ দেয় নি।

 —তবে কি ছাই দিয়েছে। তোর বউকে শিগ্‌গির ডাক।

 নাতবউ শিবানী আধঘোমটা দিয়ে ঘরে এল। জয়রাম বললেন, এই শিবি, আজ পেশোয়ারী চালের চাট্টি পোলাও করবি, শুধু আমার জন্যে, বুঝলি? পাঁচ ভূতকে খাওয়ালে ওই টুকু চাল কদিন টিকবে। নতুন বাজার থেকে ভাল পোনা মাছ আনিয়ে দই আদা লংকা গরম মসলা দিয়ে গরগরে করে কালিয়া রাঁধবি—

 ডাক্তার উমেশ গুহ বললেন, পোলাও কালিয়া এখন থাকুক সার। আপনার এ বয়সে লঘু পথ্যই ভাল।

 —হুঁ। বয়সটা কত্ত ঠাওর করেছ ডাক্তার?

 —সেকি, জানেন না? আজ যে আপনি এক শ বছরে পা দিয়েছেন, তাই তো আমরা জয়ন্তী করছি। এমন দীর্ঘ আয়ু কত লোকের ভাগ্যে হয়!

 —এক শ বছর না তোমার মুণ্ডু। মোটে সত্তর, এই তো সবে সেদিন পঁয়ষট্টি বছর বয়সে রিটায়ার করলুম। এই শিবে শালা আর ওর বাপ হরে ব্যাটা মিছিমিছি বয়স বাড়িয়ে আমাকে ভয় দেখায়, না খাইয়ে মেরে ফেলতে চায়, আমার সম্পত্তির ওপর ওদের দারুণ টান। শাস্ত্রে লিখেছে না—পুত্রাদপি ধনভাজাং ভীতিঃ। উমেশ ডাক্তারকেও ওরা হাত করেছে।

 শিবানী বলল, কারও কথা শুনবেন না দাদু, আপনার জন্যে পোলাও কালিয়াই রাঁধব। তার পর ডাক্তারের দিকে চেয়ে ফিসফিস করে বলল, শিউলি-বোঁটার রঙ দেওয়া গলা ভাত আর শিঙিমাছের ঝোল।

 জয়রাম বললেন, শিবি, তোর দেখছি একটু দয়ামায়া আছে। দুটো ল্যাংড়া আম ছাড়িয়ে দে তো দিদি, আর খান দুই চন্দ্রপুলি, দেখি কেমন উপহার দিয়েছে। চট করে দে, বড়সায়েব আসবার আগেই খেয়ে নি।

 —সেকি দাদু, একটু আগেই তো দুধে-সন্দেশ খেলেন। বিকেল বেলা একটু আম আর চন্দ্রপুলি খাবেন এখন।

 —সব বেটা বেটী শালা শালী সমান, আমাকে উপোস করিয়ে মেরে ফেলতে চায়। দাঁড়া, সবাইকে কলা দেখাচ্ছি। আমি ফের বিয়ে করব, নতুন বউকে সব সম্পত্তি দেব।

 শিবরাম বলল, এমন থুত্থুড়ে যুবো বরকে বিয়ে করবে কে?

 —লট্‌কী নর্স বিয়ে করবে। এই লট্‌কী, তোকে পঞ্চাশ ভরি গোট দেব, দু হাতে দশ-দশ গাছা চুড়ি দেব, এই বাড়িখানা তোকে দেব, বিয়ে করতে রাজী আসিছ?

 নর্স লতিকা বলল, আহা আগে বলেন নি কেন কত্তাবাবু, আর একজনকে যে কথা দিয়ে ফেলেছি। আপনি দেখুন না, যদি বুঝিয়ে সুজিয়ে কি ভয় দেখিয়ে লোকটাকে ভাগাতে পারেন।

 নর্স চলে গেলে শিবরাম বলল, দাদু, বেশ তো, লতিকা খাস্তগিরকে বিয়ে কর, মজা টের পাবে। যেমন তুমি চোখ বুজবে অমনি তোমার পেয়ারের লট্‌কী একটা জোয়ান বর বিয়ে করবে আর মনের সাধে দুজনে তোমার সম্পত্তি ওড়াবে।


শিবরামের বড়সায়ের হ্যারি সিমসন এসে পড়লেন। যাঁরা ঘরে ছিলেন তাঁরা সকলেই উঠে গেলেন। মহা খাতির করে শিবরাম সায়েবকে জয়রামের কাছে নিয়ে এল।

 জয়রামের শীর্ণ হাতে ঝাঁকুনি দিয়ে সিমসন বললেন, হাডুডু, এ গ্রেট ডে নন্দী বাবু। আপনার জন্মদিন আরও বহুবার আসুক এই কামনা করি। ইউ লুক ভেরি ওয়েল।

 হাত জোড় করে গদ গ্দ স্বরে জয়রাম বললেন, অ্যাজ ইউ হ্যাভ কেপ্ট মি সার, যেমন আমাকে রেখেছেন। উইশ হউ লঙ লাইফ, ইউ, ইওর মিসিস অ্যাণ্ড চিলড্রেন। লঙ লিভ মেসার্স সিমসন স্মিথ অ্যাণ্ড কম্পানি প্রাইভেট লিমিটেড, লঙ লিভ কুইন ভিক্টোরিয়া অ্যাণ্ড ব্রিটিশ এম্পায়ার—

 শিবরাম বলল, কি বলছ দাদু, কুইন ভিক্টোরিয়া তো ষাট বছর হল মরেছেন।

 —বেগ ইওর পার্ডন। লঙ লিভ কুইন এলিজাবেথ নম্বর টু, আই অ্যাম হার মোস্ট অম্ব্‌ল সবজেক্ট সার।

 সিমসন সহাস্যে বললেন, নন্দী বাবু আপনাদের দেশ বারো বৎসর হল ইনডিপেণ্ডেণ্ট হয়েছে, তার খবর রাখেন না?

 হাত নেড়ে জয়রাম বললেন, নো ইনডিপেণ্ডেন্স সার। অ্যাশ, ওনলি অ্যাশ, শুধু ছাই। চাল পঁয়ত্রিশ টাকা, পোনা মাছ পাঁচ টাকা, নো পিওর ঘি।

 —যুদ্ধের পর যেমন সব দেশে তেমনি আপনাদের দেশেও দাম চড়ে গেছে। কিন্তু লোকের আয়ও তো বেশ বেড়েছে। দেদার নতুন নতুন বিল্ডিং উঠছে, পথে অসংখ্য মোটর কার চলছে—

 —থীভ্‌স সার, অল থীভ্‌স। ব্রিটিশ আমলে আমাদের ছেলেভাইপো শালা জামাইএর চাকরি জোটানো সহজ ছিল, কারণ আপনাদের আত্মীয়রা কেউ তুচ্ছ কেরানীর কাজ চাইতেন না। কিন্তু এখন একটা সামান্য পোস্টের জন্যে বড় বড় কর্তারা সুপারিশ পাঠান, তাঁদেরও এক পাল বেকার আত্মীয় আছে কিনা?

 —তা হলেও তো আপনাদের এই ইণ্ডিয়ান ইউনিয়নের লোকে মোটের ওপর সুখে আছে।

 —নো সার, মোস্ট অনহ্যাপি। ইউনিয়ন অভ রিচ রাসকেল্‌স, ফল্‌স লীডার্স, অ্যাণ্ড প্রোটেকটেড গুণ্ডাজ। পুওর নেহরু ইজ হেল্পলেস।

 জয়রাম ক্রমশ উত্তেজিত হচ্ছেন দেখে সিমসন বললেন, পলিটিক্স থাকুক, আপনার নিজের কথা বলুন নন্দী বাবু।

 স্মিতমুখে জয়রাম বললেন, সার, ইউ উইল বি হ্যাপি টু হিয়ার, আমি আবার বিবাহ করছি। একটি ভাল ইয়ং লেডি, আমার অবর্তমানেও যে ফেথফুল থাকবে।

 —রিয়ালি? নন্দীবাবু, তার চাইতে একটি গুড ওল্ড লেডি বিয়ে করাই তো ভাল, আপনার যত্ন নেবে।

 জয়রাম ঠোঁট উলটে বললেন, ওল্ড লেডি নো গুড।

 —আপনি নিজে কি রকম?

 —আই ভেরি গুড। আপনাদের তেরোটা ডিপার্টমেণ্ট অমি একাই ম্যানেজ করতে পারি। সার, আমার কথা থাকুক, হোমের কথা বলুন। বড়ই মন্দ খবর শুনছি।

 —কি রকম?

 —শুনেছি ব্রিটেন নাকি ফার্স্ট পাওয়ার থেকে থার্ড পাওয়ারে নেমে গেছে, চায়না আর একটু উঠলেই ব্রিটেন ফোর্থ হয়ে যাবে।

 —চিরকাল সমান যায় না নন্দীবাবু। ইণ্ডিয়া যদি মিলিটারি মাইণ্ডেড হয় তবে ব্রিটেন হয়তো ফিফথ পাওয়ার হয়ে যাবে।

 —গড ফরবিড। আরও সব বিশ্রী কথা শুনছি।

 —কি শুনছেন?

 ছোট ছেলের মতন হঠাৎ হাউ হাউ করে কেঁদে জয়রাম বললেন, ওই আমেরিকানরা সার। সিটিং অন দাই ব্রেস্ট অ্যাণ্ড পুলিং আউট দাই বিয়ার্ড বাই দি হ্যাণ্ডফুল, বুকে বসে দাড়ি ওপড়াচ্ছে। বিউটিফুল গার্লস ধরে ধরে নিজের দেশে নিয়ে যাচ্ছে। আর আমাদের হোলি গীতায় যা আছে—জায়তে বর্ণসংকরঃ। অ্যাটম আর হাইড্রোজেন বোমা চালাচালি করছে। বেশী মদ খেয়ে পাইলট যদি বেসামাল হয় তবে তো আপনাদের দেশের ওপরেই বোমা ফাটবে। তা হলে কি সর্বনাশ হবে সার!

 —যত সব ননসেন্স। ডোণ্ট ও রি নন্দীবাবু, আমরা নিরাপদে আছি।

 —নো সার, ভেরি গ্রেভ সিটুয়েশন। আপনারা এখানে চলে আসুন, অল ব্রিটিশ পিপ্‌ল, নেহরুজী আপনাদের আশ্রয় দেবেন, যেমন তিব্বতীদের দিয়েছেন। হিমালয় অঞ্চলে প্রচুর ঠাণ্ডা জায়গা আছে, সেখানে আরামে থাকবেন। আমেরিকা আর রাশিয়া ঝগড়া করে মরুক, লেট ইওরোপ গো টু হেল।

 —নন্দীবাবু, এই দেশ কি আমাদের পক্ষে খুব নিরাপদ? শুনেছি আপনাদের এক পাওআরফুল গড় আছেন, কল্কি অবতার, মিস্টার নেহরু কোনও রকমে তাঁকে ঠেকিয়ে রেখেছেন। নেহরু যখন থাকবেন না তখন ওই কল্কি অবতার এদেশে অবতীর্ণ হবেন, প্রকাণ্ড তলোয়ার দিয়ে সমস্ত ননহিন্দুকে কেটে ফেলবেন। তার চাইতে পাকিস্তানই তো ভাল, ওরা চিরকালই ফেথফুল, আমাদের তাড়াতে চায় নি।

 —পাকিস্তানে জায়গা পাবেন না সার, আমেরিকানরা আপনাদের থাকতে দেবে না। গুড ওল্ড ইণ্ডিয়াই আপনাদের পক্ষে ভাল। কোনও ভয় নেই, শুধু একটা ডিক্লারেশন সই করবেন যে আপনারা স্পিরিচুয়াল হিন্দু। আপনাদের পৈতৃক খষ্টিধর্ম, বীফ, পোর্ক, হুইস্কি কিছুই ছাড়বার দরকার নেই, তবে একখানি গীতা সর্বদা সঙ্গে রাখবেন।

 সিমসন বললেন, গুড আইডিয়া, ভেবে দেখব। গুড বাই নন্দীবাবু, আপনি বিশ্রাম করুন। এই এক বাক্স চকোলেট আপনার জন্যে এনেছি, খাবেন।

১৮৮১