চিঠিপত্র (দশম খণ্ড, ১৯৬৭)/দীনেশচন্দ্র সেন —লিখিত পত্রাবলী/৯
৯
শ্রীহরি
Baghbazar,
Calcutta
ভক্তিভাজনেষু,
অরুণ বলিতেছে, আপনি পরীক্ষকের কাজ গ্রহণ করিবেন না, এইরূপ চিঠি লিখিয়া পাঠাইবেন বলিয়া অভিপ্রায় প্রকাশ করিয়াছেন। প্রশ্ন একজনে করেন, আর একজনে দেখিয়া দেন, ইহাই সাধারণ রীতি। সে অনুসারে আপনার কাজ আপনি করিয়াছেন, প্রত্যেকটি প্রশ্ন দেখিয়া দিয়াছেন। এবং আপনার অনুমোদন লইয়া আমি আশুবাবুকে বলিয়া আসিয়াছি। সুতরাং ব্যাপারটা একবারে সমাধা হইয়া গিয়াছে। এখন যদি অন্যরূপ করেন, তবে কর্তৃপক্ষ মনে করিবেন, আমি আপনার কোনরূপ বিরক্তির কারণ দিয়াছি—ইহা আমার পক্ষে বড়ই খারাপ হইবে। আশুবাবু আমাকে গালমন্দ দিবেন, যেহেতু সব হইয়া গিয়াছে বলিয়া আমি তাঁহাকে জানাইয়াছি। যে প্রশ্নটি বাদ দিতে বলিয়াছিলেন, তাহা বাদ দিয়াছি। দ্বিতীয়তঃ যদি এখন আপনি অস্বীকার করেন, তবে আর একজন যোগ্য পরীক্ষককে নিযুক্ত করিতে হয়, কারণ প্রত্যেক Paperএ দুইজন করিয়া পরীক্ষক থাকেন। আপনি না করিলে আর একজন হইবেন। আমার আবার তাঁহার কাছে যাইয়। প্রশ্ন দেখাইয়া অনুমোদন গ্রহণ করিতে হইবে। আমি অতিশয় অসুস্থ, আমার কাজ তাহা হইলে আরও বাড়িয়া যাইবে ও বড় ঝঞ্ঝাটে পড়িব। মহাশয় দয়া করিয়া যাহা অনুমোদন করিয়া দিয়াছেন, তাহা বহাল রাখিবেন। কাগজ দেখা সম্বন্ধে অসুবিধা বোধ করিলে সেই কাজ অস্বীকার করিয়া চিঠি দিতে পারেন। যাহা শেষ করিয়া দিয়াছেন এবং আমি তদনুসারে জানাইয়াছি, তাহা বহাল রাখিতে আজ্ঞা করিবেন। আমি বড়ই অসুস্থ, তাহা না হইলে প্রণতিপূর্ব্বক এই নিবেদন জানাইতে নিজেই যাইতাম আমার অসুস্থ অবস্থায় আমার দুঃখের মাত্রা বাড়াইবেন না। আমার প্রণাম জানিবেন।
[১৯১৯?]
শ্রীদীনেশচন্দ্র সেন