জয়তু নেতাজী (১৯৫০)/ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামে বিদেশীর সাহায্য-গ্রহণ
ভারতের স্বাধীনতা-সংগ্রামে বিদেশীর
সাহায্য-গ্রহণ
[সিঙ্গাপুর হইতে, ১৯৪৫ সালের ২৬শে জুন তারিখে, এই বক্তৃতাটি সুভাষচন্দ্র বেতারযােগে দেশবাসীকে জানাইয়াছিলেন। তখন ওয়াভেল প্রস্তাব নামক মাকাল-ফলটির দিকে ভারতের বীরবৃন্দ লোলুপ দৃষ্টি হানিতেছিলেন; পরে সেই মাকাল ফলই ক্যাবিনেট মিশন নামক যাদুকরদিগের দ্বারা মায়া-কৌটায় আবদ্ধ হইয়া ‘স্বাধীনতা’ নাম ধারণ করিয়াছে।]
ভারতবর্ষের এমন একটি রাজনৈতিক সঙ্কট উপস্থিত যে, একটু ভুল করিলে ভারতের স্বাধীনতা-সংগ্রাম গুরুতর বাধাগ্রস্ত হইবে। ইহা ভাবিয়া আমি কত উদ্বিগ্ন হইয়াছি, তাহা বলিতে পারি না। প্রথমেই বলিয়া রাখি, শত্রুপক্ষের মিথ্যা প্রচারকার্য্য এমনই সফল হইয়াছে যে, যে সকল শক্তিশালী নেতা ইতিপূর্ব্বে স্বাধীনতা প্রায় করতলগত হইয়াছে বুঝিয়া, তাহা লাভ করিবার জন্য দেশকে মৃত্যুবরণ করিতে আদেশ দিয়াছিলেন, তাঁহারাই এক্ষণে বড়লাটের শাসন পরিষদে প্রবেশ করার যুক্তি করিতেছেন।
এই গুরুতর সঙ্কট-লগ্নে, আমরা যাহারা দেশের বাহিরে আছি―তাহাদের পক্ষে সমগ্র জগৎ ব্যাপার সম্বন্ধে যতখানি ওয়াকিবহাল হওয়া সম্ভব, ভিতরে যাঁহারা আছেন তাঁহাদের দৃষ্টি ততখানি মুক্ত ও স্বচ্ছ হইতে পারে না। অতএব আমাদেরই কর্ত্তব্য, তোমাদিগকে সকল বিষয়ে প্রকৃত ও সম্পূর্ণ সংবাদ দেওয়া এবং তদনুসারে কার্য্য করতে অনুরােধ করা। রেঙ্গুন হইতে আমাদের আস্তানা স্থানান্তরিত করিবার সময়ে, আমরা বর্ম্মার মধ্যেই আর কোন স্থানে তাহা স্থাপন করিতে পারিতাম, যেমন আমাদের সৈন্যচালনা-কালে স্বাধীন বর্ম্মা-গবর্ণমেণ্ট তাহাদের আবাস-স্থান সরাইয়া লইয়াছিল। কিন্তু আমরা ভাবিয়াছিলাম, শত্রুগণ য়ুরােপে ও বর্ম্মায় তাহাদের সদ্য-জয়লাভের পর, এক্ষণে নূতন করিয়া তাহাদের রণ-নীতি ও রাষ্ট্রনীতির আক্রমণ বিস্তার করিবে, অতএব তাহাদের সেই আক্রমণের ও প্রস্তুত হইবার জন্য এমন একটি স্থান নির্ব্বাচন করিতে হইয়াছে, যেখান হইতে আবশ্যক হইলে ভারতবর্ষের সহিত সংবাদ আদান-প্রদানের সুবিধা হইতে পারে। এই একটিমাত্র কাৰণে আমি এক্ষণে বর্ম্মা ত্যাগ করিয়া সিঙ্গাপুরে অবস্থান করিতেছি।
দেশের ঐ সঙ্কট ঘনীভূত হওয়ার কারণ এই যে,―যে সকল নেতা তিন বৎসর পূর্ব্বেও “হয় স্বাধীনতা, নয় মৃত্যু” বলিয়া উচৈঃস্বরে ঘােষণা করিয়াছিলেন, তাঁহারাই এক্ষণে লর্ড ওয়াভেলের প্রস্তাবিত সর্ত্তে ব্রিটিশ গবর্ণমেণ্টের সহিত রফা করিতে উদ্যত হইয়াছেন। এইরূপ ইচ্ছা দুই কারণে গর্হিত ও ভ্রমাত্মক। প্রথমতঃ, স্বাধীনতার বিষয়ে কোন রফাই চলিতে পারে না।দ্বিতীয়তঃ, বর্ত্তমান পরিস্থিতির সম্বন্ধে দেশবাসীর ধারণা যথার্থ নহে, আমরা যদি এখনও ব্রিটিশ সাম্রাজ্যবাদের বিরুদ্ধে সংগ্রাম চালাইয়া যাই, তবে যুদ্ধের শেষে স্বাধীনতা-লাভ অবশ্যম্ভাবী।
যাঁহারা আমার এই কথাগুলি বেতার-যোগে শুনিতেছেন তাঁহাদের মনে যদি এমন সন্দেহ থাকে যে, আমি জগতের সকল ঘটনার সম্পূর্ণ সংবাদ রাখি না, তবে আমি সে বিষয়ে একটিমাত্র প্রমাণ দিব। গত এক সপ্তাহে আমি বেতাবে যা সকল আলােচনা করিয়াছি, তাহা হইতে সকলেই ইহা লক্ষ্য করিয়া থাকিবেন যে,―ভারতবর্ষের প্রাত্যহিক ঘটনার কোনটাই আমার অজ্ঞাত থাকে না; ভারতের সংবাদও যদি আমার পক্ষে সুলভ হয়, তবে পৃথিবীর আর সকল স্থানের সর্ব্ববিধ সংবাদ আমার পক্ষে আবও কত সুলভ! অপর পক্ষে, যাহারা ভারতবর্ষের মধ্যে আছে, এবং সেই হেতু ইঙ্গ মার্কিন জগতের সংবাদ যাহাদের দুষ্প্রাপ্য, এবং যাহারা শত্রুগণের মিথ্যা প্রচার-কর্ম্মের দ্বারা প্রভাবিত না হইয়া পারে না, তাহারা সকল দিকের সব সংবাদ মিলাইয়া সারা পৃথিবীর পরিস্থিতি বুঝিয়া লইবে কেমন করিয়া?
আজ সমগ্র জগতের ভাগ্য পরিবর্ত্তিত হইতে চলিয়াছে, ভারতের ভাগ্যও অনেক পরিমাণে তাহার সহিত জড়িত আছে। জিজ্ঞাসা করিতে পারেন, দেশের কয়েকজন অগ্রগণ্য নেতাও যখন ভরসাহীন হইয়া পড়িয়াছেন, তখন আমি কোন কারণে কিছুমাত্র নিরাশ হই নাই? কারণ প্রধানতঃ দুইটি। আমরা ব্রিটিশ ও তাহার মিত্র-সেনার সহিত সশস্ত্র যুদ্ধ করিতেছি; বর্ম্মায় আমাদের কিঞ্চিৎ ভাগ্য বিপর্য্যয় ঘটিলেও, পূর্ব্ব-এশিয়ার বর্ত্তমান পরিস্থিতি আদৌ নৈরাশ্যজনক নয়। দ্বিতীয়তঃ, ভারতের সমস্যা এখন আন্তর্জ্জাতিক সমস্যা হইয়া দাঁড়াইয়াছে। যদি উহা ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের ভিতরই একটা পৃথক ঘরোয়া মিটমাটের বিষয় হইতে না পায়, তবে বাহিরে, জগতের দরবারে ঐ সমস্যার মীমাংসা হইতে বাধ্য। তোমরা কি কানে শুনিতে ও চোখে দেখিতে পাইতেছ না―'সিরিয়া ও লেবানন (Syria, Lebanon) এই যুদ্ধের সুযোগে তাহাদের দাবী উদ্যত করিয়াছে, এবং তদ্বারা সর্ব্বজাতি-সংসদে তাহারা কেমন মতানৈক্য সৃষ্টি করিয়াছে? আমরা কি সিরিয়া ও লেবাননের নেতাদের তুলনায় অজ্ঞ বা অদূরদর্শী। কিন্তু ভারতবর্ষের দাবী ঐরূপ ঘরােয়া মিটমাটের বিষয় না হইয়া যাহাতে উহা জাতিসংঘের বিচারাধীন হয় তজ্জন্য দুইটি কাজ করা একান্ত আবশ্যক। প্রথম, ব্রিটিশের সহিত ভিতরে ভিতরে কোনরূপ রফা কিছুতেই না করা; দ্বিতীয়, বৈঠকী আলাপ আলােচনার পরিবর্ত্তে, অস্ত্র-সাহায্যে সেই দাবিকে দৃঢ় কৰি তোলা।..
আমি বুঝিতে পারিতেছি, দেশের কোন কোন নেতা ব্রিটিশের সহিত ঐরূপ রফা করিবার জন্য উদ্গ্রীব হইয়াছেন, এবং আমার এইরূপ বিপক্ষতায় তাঁহারা আমার উপরে ক্রুদ্ধ হইয়াছেন। রােষের অন্য কারণ এই যে আমিই কংগ্রেস ও তাহার ওয়ার্কিং কমিটির বহু ভ্রম ও ত্রুটি ধরাইয়া দিয়াছি; আরও কারণ, আমি একটা অতি সত্য কথা জোরের সহিত বলিয়াছি, তাহা এই যে―ওয়ার্কিং কমিটির কয়েকজন ব্যক্তি তাহাদের দলগত মতকেই দেশের জনগণের, তথা কংগ্রেসের অন্তর্ব্বর্ত্তী জাতীয় প্রতিনিধিগণের মত বলিয়া ঘোষণা করিতে পারে না; ইহার মত অসাধু কাজ আর কিছুই হইতে পারে না। ইহারা প্রকারান্তরে সামাজ্যবাদেরই সমর্থক, তাই এই সকল ব্যক্তিই আমাকে গালি দিতেছে―আমি জাপানের সাহায্য গ্রহণ করিয়াছি বলিয়া আমি তজ্জন্য কিছুমাত্র লজ্জিত নই। বরং যাহার ব্রিটিশ গবর্ণমেণ্টের সহিত রফা করিতে উদ্যত হইয়াছে, এবং তদ্দ্বারা ব্রিটেনের রাজ-প্রতিনিধি ঐ ভারতীয় বড়লাটের আজ্ঞাধীন হইয়া থাকিতে চায়, তাহাদেরই লজ্জিত হওয়া উচিত। ঐ সহযােগিতার মূলে যদি এমন সর্ত্ত থাকিত যে,―ব্রিটেন এখনই ভাবতের একটি পূর্ণ স্বাধীন জাতীয় গবর্নমেণ্টকে মানিয়া লইবে, তবে কোন কথাই থাকিত না। জাপান তারো চেয়ে বড় উপকার করিয়াছে―সে আমাদের চিরশত্রু ঐ ব্রিটিশের সহিত যুদ্ধ করিবার জন্য অস্ত্র-শস্ত্র সরবরাহ করিয়া সৈন্যদল-গঠনে আমাদিগকে প্রভূত সাহায্য করিয়াছে। ঐ সৈন্যদল আমাদেরই; এই আজাদ-হিন্দ্ ফৌজকে যুদ্ধ শিক্ষা দিয়াছে আমাদেরই ভারতীয় সেনাধ্যক্ষ, সে শিক্ষার ভাষাও ভারতীয় ভাষা। ঐ সৈন্য যে পতাকা বহন করে, তাহা ভারতীয় পতাকা, উহারা যে রণ-বাক্য উচ্চারণ করে তাহা ভারতেরই জাতীয়তা-ব্যঞ্জক। উহার সেনানীগণ সকলেই জাতিতে ভারতীয়। যুদ্ধক্ষেত্রে ইহারা স্বদেশীয় সেনাধ্যক্ষের অধীনে তাহাদেরই আদেশ পালন করে। এই সেনার নাম যদি “পরের হাতের পুতুল” হয়, তাহা হইলে ইংরেজের অধীন ভারতীয় সেনাকে কি নাম দেওয়া উচিত? তাহারা তাে কখন―বিদেশী প্রভু-সেনাপতির অধীনভাবে আদেশ পালন করা ছাড়া কেহই সেই যুদ্ধের চালনা করিতে পারে না। ইহাও কি বিশ্বাস করিতে হইবে যে, ঐ ভারতীয় সৈন্যের ২,৫০০,০০০ জনের মধ্যে অতিশয় নগণ্য দুই-চারিজন মাত্র সেই ‘ভিক্টোরিয়া ক্রস’ লাভ করিবার যোগ্য, যাহা ব্রিটিশ সৈন্যের সর্ব্বশ্রেষ্ঠ বীরত্বের নিদর্শন? আজ পর্য্যন্ত একজনও ভারতীয় সেনা-নায়ক জেনারেল-পদের উপযুক্ত বলিয়া বিবেচিত হয় নাই।
বন্ধুগণ, আমি আবার বলিতেছি যে জাপানের সাহায্য গ্রহন করিয়াছি বলিয়া আমি কিছুমাত্র লজ্জিত নই। আমি আরও বেশী করিয়া বলিতে পারি যে যদি মহাশক্তিমান্ ব্রিটিশজাতি জানু পাতিয়া আমেরিকার সাহায্য ভিক্ষা করিতে পারে, তবে আমাদের মত একটা নিরস্ত্র ও নির্জ্জীব জাতি কোন মিত্র জাতির সাহায্য লইতে কুণ্ঠিত হইবে কেন? শুধু জাপানের কেন,―আজ যেমন জাপানের সাহায্য লইতেছি তেমনই, যদি আবশ্যক ও সম্ভব হয়, তবে ভারতের হিতার্থে কাল আমরা অপর যে কোন জাতির সাহায্য লইব―কিছুমাত্র দ্বিধা করিব না। যদি বিদেশী অন্য জাতির সাহায্য ব্যতিরেকে ভারত-উদ্ধার সম্ভব হইত, তবে তাহাতে আমি আর কাহারও অপেক্ষা কম আনন্দ, কম গৌরব-বোধ করিতাম না। কিন্তু আধুনিক জাতিসকলের ইতিহাসে আমি এমন একটিও দৃষ্টান্ত খুঁজিয়া পাই নাই, যেখানে কোন পরজাতি-পীড়িত দেশ অপর এক জাতির সাহায্য না লইয়া দাসত্ব-শৃঙ্খল মােচন করিতে পারিয়াছে। যাহারা ভারতের মহাশত্রু তাহাদেরই কোন একটা রাজনৈতিক দলের অনুগ্রহ প্রার্থনা করা অপেক্ষা, সেই মহাশত্রুর শত্রু যাহারা তাহাদের সহিত যােগ দেওয়া বহুগুণে সম্মানজনক। আমাদের সর্বাপেক্ষা বিপদ হইয়াছে এই যে,―আমরা এহেন শত্রুর প্রতিও আমাদের হৃদয়ে মর্মান্তিক জ্বালা অনুভব করি না। আমাদের নেতারা ঐ শত্রুর সহিত মিতালি করিতে সর্ব্বদাই উৎসুক।
ঐ নেতারা বাহিরের জগৎ-সভায় সাম্রাজ্যবাদের বিরুদ্ধে বিষ উদ্গিরণ করিয়া থাকেন, অথচ ঘরের ভিতরে সেই সাম্রাজ্যবাদী মহাশত্রুকেই প্রেমালিঙ্গন করেন,―ইহার মত ধিক্কার ও লজ্জার বিষয় কি হইতে পারে? বন্ধুগণ, আমি যদি আরাম-কেদারায় বসিয়া কেবল রাজনীতির সৌখিন বাক্য-বিলাস করিতাম তবে আপনাদিগকে এইরূপ কঠিন সত্য কথা শুনাইতাম না। আমি এবং আমার সহচরগণ এক্ষণে ভীষণতম যুদ্ধে ব্যাপৃত আছি―আমার সঙ্গীরা রণক্ষেত্রে সাক্ষাৎ-মৃত্যুর সহিত খেলা করিতেছে। যাহারা এখনও সেই স্থান হইতে দূরে আছে তাহাদের জীবনও প্রতিমুহুর্ত্তে সঙ্কটাপন্ন, তাহারাও যখন-তখন আমার চক্ষের সম্মুখে শত্রুর বােমা ও মেশিন-গানের দ্বারা হত, আহত ৩ ছিন্নাঙ্গ হইতেছে। রেঙ্গুন শহরের আজাদ হিন্দ্ ফৌজের হাসপাতাল একেবারে সমভূম হইয়াছে―শয্যাশায়ী অসহায় আহতগণও শত্রুর সেই নিষ্ঠুরতায় প্রাণত্যাগ করিয়াছে। আমি ও আমার সহিত আরও বহুজন যে আজিও বাঁচিয়া আছে তাহা দৈবের কৃপায়। এই যে মৃত্যুকে মুখামুখি করিয়া আমরা বাঁচিবার, কর্ম্ম করিবার ও যুদ্ধ করিবার প্রাণপণ প্রয়াস করিতেছি―ইহারই জোরে তােমাদিগকে আমার কথা শুনাইবার ও অনুরোধ করিবার অধিকার আমার আছে। তােমাদের মধ্যে অনেকেই বােমা কি বস্তু জানে না; অতি নিম্নে উড্ডীয়মান্ বােমারু বিমান হইতে মেশিনগানের গুলি-বর্ষণ যে কিরূপ ভীষণ এক মহা-মার তাহা অনেকের ধারণা নাই, অনেকেরই সে অবস্থা হয় নাই, যখন অসংখ্য বন্দুকের গুলী তীব্র শব্দে বায়ু ভেদ করিয়া ডাহিনে-বামে ছুটাছুটি করিতে থাকে। যাহারা এই সকলের মধ্যে জীবন যাপন করিয়াও সম্পূর্ণ নির্ভয় থাকিতে পারে, তাহারা লর্ড ওয়াভেলের ঐ প্রস্তাবে কর্ণপাত করিতেও ঘৃণাবোধ করিবে।
বন্ধুগণ, এইবার আমি আজিকার মত আমার কথা শেষ করিব। তৎপূর্ব্বে আর একটি কথা তােমাদিগকে স্মরণ করাইতে চাই। তাহা এই যে,―বিপ্লববাদী বলিতে কেবল সেই মানুষকে বুঝায়, যিনি প্রাণের সহিত বিশ্বাস করেন,―পরিণামে তাঁহার জয় অবশ্যম্ভাবী। যিনি পরাজয়ে নিরুৎসাহ হইয়া পড়ে, তিনি খাঁটি বিপ্লবী নহেন। “সিদ্ধিলাভ হইবেই। যদি নাও হয়, তাহাতে দুঃখ নাই”—ইহাই বিপ্লবীর ধর্ম্মমন্ত্র। আমার এ বিশ্বাস আছে যে,―যদি আমি যুদ্ধ চালাইতে পারি, এবং আন্তর্জ্জাতিক রাজনৈতিক পরিস্থিতির সুবিধা গুলি কাজে লাগাইতে পারি, তবে এই যুদ্ধের পরে আমরা নিশ্চয় স্বাধীনতা লাভ করিব।
“জয়-হিন্দ্”