জীবন বীমা/চতুর্থ পরিচ্ছেদ
চতুর্থ পরিচ্ছেদ।
অফিসের কাগজ পত্র দেখিয়া জানিতে পারিলাম, হরেকৃষ্ণ নামক এক ব্যক্তি ভিন্ন ভিন্ন বীমা অফিসে এক মাসের মধ্যে তাহার জীবন ত্রিশ সহস্র মুদ্রায় বীমা করিয়াছে। বীমা করিবার পর নিয়মিত চাঁদার টাকা এক মাস প্রদান করিয়াছে, উহার পরেই তাহার সমস্ত বীমা ব্রজবন্ধু নামক এক ব্যক্তির নিকট বিক্রয় করিয়াছে। ব্রজবন্ধু হরেকৃষ্ণের তরফ হইতে দুইবারের চাঁদার টাকা সেই সমস্ত অফিসে জমা দিয়াছে। ইহার পরেই হরেকৃষ্ণ মরিয়া যায়। মরিবার পর ব্রজবন্ধু ঐ ত্রিশ সহস্র টাকা পাইবার নিমিত্ত বীমা অফিসে আবেদন করিয়াছে। ঐ আবেদনের সঙ্গে হরেকৃষ্ণের পীড়ার সময় যে ডাক্তার তাহার চিকিৎসা করিয়াছিল, তাহার সাটিফিকেট আছে। সজ্ঞানে তীরস্থ হইবার পর গঙ্গার ঘাটে যে ডাক্তার তাকে দেখিয়াছিল ও যাহার সম্মুখে হরেকৃষ্ণ মরিয়া গিয়াছে, তাহারও সার্টিফিকেট আছে। তৎব্যতীত যাহাদিগের সম্মুখে হরেকৃষ্ণের নিকট হইতে ব্রজবন্ধু জীবন বীমা খরিদ করিয়াছিল, তাহাদিগের নামস্বাক্ষরিত ও বীমা অফিসের অনুমোদিত বিক্রয়-পত্র তাহার সহিত প্রদত্ত হইয়াছে। এই সমস্ত অবস্থা ও কাগজ পত্র দেখিয়া কেহই অনুমান করিতে পারেন যে, ইহার ভিতর কোনরূপ জুয়াচুরি আছে। যে পর্যন্ত বেনামা পত্র প্রাপ্ত হওয়া না গিয়াছিল, সেই পর্যন্ত কাহারও মনে উদয় হয় নাই যে, ইহার ভিতর কোনরূপ জুয়াচুরি আছে।
অনুসন্ধানের ভার আমার উপর প্রদত্ত হইলে ও সমস্ত কাগজ পত্র আমার হস্তগত হইলে, আমারও মনে উদয় হইয়াছিল যে, ইহার ভিতর কোনরূপ জুয়াচুরি নাই। ইহার পরেই আমি ব্রজবন্ধু সহিত সাক্ষাৎ করিলাম। তিনি একটী জমিদার, সহরের নিকটবর্তী কোন স্থানে তাহার বাসস্থান। তিনি একজন বড় জমিদার না হইলেও তাঁহার বাৎসরিক পাঁচ, ছয় হাজার টাকা আয় আছে। তৎব্যতীত সময় সময় ব্যবসা বাণিজ্যও করিয়া থাকেন। তিনি অতিশয় মিষ্টভাষী। কোন ব্যক্তি কোনরূপে বিপদাপন্ন হইয়া তাহার শরণাগত হইলে, যেরূপে হউক, তিনি তাহার মতামত তাহার সাহায্য করিতে ক্রটী করেন না। ঐ স্থানের অধিকাংশ লোকই তাহার বশীভূত ও অনুগত। যে গ্রামে তাহার বাড়ী, সেই গ্রামে তাঁহারই সমতুল্য আরও একজন জমিদর আছেন। তিনিও তাঁহার মত ব্যবসা করিয়া থাকেন। কিন্তু তাহার সহিত ব্রজবন্ধু বাবুর বনিবনা নাই। উভয়ে উভয়ের শত্রু। পরস্পর পরস্পরকে বিপদে ফেলিতে কোনরূপ ক্রুটী করেন না। উভয়ের মধ্যে কেন যে এরূপ মনোমালিন্য, তাহার কারণ গ্রামের কেহই বলিতে পারে না, কিন্তু সকলেই জানে—উভয়ে উভয়ের পরম শত্রু!
ব্রজবন্ধু বাবুর সহিত সাক্ষাৎ করিয়া, যে নিমিত্ত আমি সেই স্থানে গিয়াছি, তাহা তাঁহাকে কহিলাম ও ঐ সম্বন্ধে তাহার সহিত অনেক কথাবার্তাও হইল; কিন্তু তাহার কথাবার্তা শুনিয়া আমি কোনমতেই বিশ্বাস করিতে পারিলাম না যে, এই কার্যের ভিতর কোনরূপ জুয়াচুরি আছে। আমি মনে করিয়াছিলাম, ব্রজবন্ধু বাবুর মনে যদি কোনরূপ পাপ থাকে, তাহা হইলে আমার সহিত ঐ সম্বন্ধে কথাবার্তা হইবার সময় তাহার ভাব-ভঙ্গি অবলোকন করিয়া, তাঁহার মুখশ্রী পর্যালোচনা করিয়া অনায়াসেই বুঝিতে পারি যে, ব্রজবন্ধু বাবুর অন্তর পাপে পূর্ণ কি না। কিন্তু তাহার সহিত ঐ সম্বন্ধে যতই আমার কথা হইল, ততই তাহাকে নিস্পাপী বলিয়া অনুমান হইতে লাগিল। আঁহার কথায় কোনরূপ সন্দেহ বা মুখ শ্রীর কোনরূপ পরিবর্তন পরিলক্ষিত হইল না। অধিকন্তু কাগজপত্র যাহা কিছু জানিতে পারিয়াছিলাম, তাহার সমস্ত কথাই যে তিনি এক এক করিয়া প্রমাণ করাইতে পরিবেন, তাহা তিনি অকুতোভয়ে, কহিতে লাগিলেন। তিনি কারও কহিলেন, হরেকৃষ্ণ যে তাহার জীবন বীমা করিয়াছিল ও সেই জীবনবীমা যে তাঁহার নিকট বিক্রয় করিয়াছে, এ সম্বন্ধে ভুরি ভুরি অপর প্রমাণ থাকিলেও সেই সকল প্রমাণ বোধ হয় উপস্থিত করিবার প্রয়োজন হইবে না। কারণ যে যে অফিসে হরেকৃষ্ণ তাহার জীবন বীমা করিয়াছিল, সেই সেই অফিসের কর্মচারীগণ ও কর্মাধ্যক্ষ সাহেব সকল তাহার প্রমাণ দিতে পারিবেন। আবার যখন তাহার জীবন বীমা হয়, ও যখন সে জীবনবীমা বিক্রয় করে,—তখন সেই সকল অফিসের ভিতরেই তাহাদিগের সম্মুখে ও তাহাদিগের স্বাক্ষর অনুযায়ী হইয়াছিল, সুতরাং এ সম্বন্ধে কোনরূপ সন্দেহই হইতে পারে না। আর হরেকৃষ্ণ যে মরিয়া গিয়াছে, সে বিষয়েও কিছুমাত্র সন্দেহ নাই। যে বাড়ীতে সে বাস করিত, পীড়িত অবস্থায় যে চিকিৎসক তাহার চিকিৎসা করিয়াছিল, যে চিকিৎসকের সম্মুখে সে মানবলীলা সরণ করে, হারা সকলেই এখনও বিদ্যমান। তাঁহারা দেশের মধ্যে গণ্য মান্য ও প্রসিদ্ধ লোক। তাহাদিগের খ্যাতি সহ বিদিত। তাহারা কোনরূপ মিথ্যা কহিবার লোক নহেন। তাঁহাদিগের নিকট জিজ্ঞাসা করিলেই আপনার মনে আর কোনরূপ সন্দেহ থাকিবে না।
ব্রজবন্ধুর কথা শুনিয়া আমি তাঁহাকে জিজ্ঞাসা করিলাম, “তাঁহাদিগের সহিত কোথায় ও কখন দেখা হইতে পারে?”
ব্রজ। তাঁহারা সর্ব্ব পরিচিত লোক, ইচ্ছা করেন তো তাঁহাদিগের ঠিকানা আমার নিকট হইতে পারেন, ও আপনি তাঁহাদের সহিত সাক্ষাৎ করিয়া সময় বিষয় অবগত হইতে পারেন। আর বলেন ত আমি আপনাঞ্চসহিত যাইয়া তাহাদিগকে দেখাইয়া দিই। আপনি নিশ্চয়ই জানিকে, আর এ কার্য্যের ভিতর কোনরূপ প্রতারণা নাই, আমার নিতান্ত সৌভাগ্য যে, আপনার হস্তে ইহার তদন্তের ভার অর্পিত হইয়াছে। কারণ অনুসন্ধানে আপনি জানিতে পারিবেন, ইহা প্রতারণাই কারবার, সুতরাং আমার টাকা পাইতে আর অধিক বিলম্ব হইবে না।
আমি। ইহার ভিতর যদি কোনরূপ প্রতারণা না থাকে, তাহা হইলে বীমা অফিস আপাকে টাকা দিতে গােলযোগ করিতেছে কেন?
ব্রজ। অনেক বীমা অফিস ন্যায্য টাকা দিবার সময় নানারূপ গোলযোগ উত্থাপিত করিয়া যাহাতে ঐ টাকা প্রদান না করিতে কয়, তাহার চেষ্টা করিতে ত্রুটী করে না। যাহার টাকা এইরূপে ঐ সকল অফিসে প্রাপ্য হয়, তিনি যদি দুর্বল হয়েন, তাহার যদি সেরূপ অভিভাবক না থাকে, তাহা হইলে তিনি প্রায় ঐ অর্থে বঞ্চিত হন। এই জন্যই অর্থ প্রদান করিবার সময় উহারা নানারূপ গোলযোগ উঠাইয়া থাকে।
আমি। যদি আপনার টাকা ন্যায্য প্রাপ্য হয়, তাহা হইলে এইরূপ গােলযোগ উঠাইয়া উহারা আপনার কোনরূপ ক্ষতি করিতে পারিবে না, ইহা আপনি নিশ্চয়ই জানিবেন; কিন্তু ইহার ভিতর যদি কোনরূপ জুয়াচুরি থাকে, তাহা হইলে ইহাও আপনি নিশ্চয় জানিবেন যে, ঐ জুয়াচুরিকার্যের নিমিত্ত আপনাকে শ্রীঘরে বাস করিতে হইবে।
ব্রজ। আমার এই কার্যে যদি কোনরূপ জুয়াচুরি প্রকাশ পায়, তাহা হইলে আপনি নিশ্চয়ই জানিবেন যে, জেলে যাইতে আমার কিছুমাত্র আপত্তি না। একটু অনুসন্ধান করিলেই আপনি অনায়াসে জানিতে পারিবেন যে, বীমা অফিস মিথ্যা গোলযোগ বাধাইয়া আমার প্রাপ্য অর্থ হইতে বঞ্চিত করিবার চেষ্টা করিতেছে।
আমি। সে বিষয়ে আপনি নিশ্চিন্ত থাকুন, সাধ্যমত আমি নিরপেক্ষ ভাবে অনুসন্ধান করিতে ত্রুটী করিব না। আমার অনুসন্ধানে আপনার প্রাপ্য অর্থ যদি প্রকৃত হয়, তাহা হইলে অনায়াসেই উহা প্রাপ্ত হইবেন। এখন আমি আপনাকে দুই একটা কথা জিজ্ঞাসা করিতে ইচ্ছা করি, আপনি তাহার প্রকৃত উত্তর দিতে প্রস্তুত আছেন কি না?
ব্রজ। কেন উত্তর দিব না, আপনি আমাকে যাহা জিজ্ঞাসা করিবেন, তাহার উত্তর অবশ্যই আমার নিকট হইতে প্রাপ্ত হইবেন।
আমি। আপনি কহিয়াছেন যে, হরেকৃষ্ণনামক একব্যক্তি তাহার জীবন বীমা করে ও আপনি তাহার জীবন বীমা খরিদ করিয়া লয়েন।
ব্রজ। হাঁ, এ কথা আমি বলিয়াছি।
আমি। হরেকৃষ্ণ কে?
ব্রজ। হরেকৃষ্ণ যে কে, তাহা আমি ঠিক বলিতে পারি না। বাল্যকালে তাঁহার সহিত একত্রে ও এক স্কুলে আমি অধ্যয়ন করিতাম, তখন তিনি একটা বাসায় অপর ছাত্রগণের সহিত বাস করিতেন। স্কুল পরিত্যাগ করিবার পর তিনি যে কি কার্য্য করিতেন, তাহা আমি অবগত নহি। কিন্তু মধ্যে মধ্যে প্রায়ই তাহার সহিত সাক্ষাৎ হইত। তিনি সর্ব্বদাই নিজের গাড়ী চড়িয়া বেড়াইতেন। তাহাকে দুই একবার আমি জিজ্ঞাসা করিয়াছি যে, তিনি কি কার্য্য করিয়া থাকেন। তাঁহার কথার উত্তরে এই মাত্র বুঝিয়াছিলাম যে, তাঁহার স্থাবর বিষয় হইতে যে আয় হইয়া থাকে, তাহাই তাঁহার পক্ষে যথেষ্ট,অপর কোন কার্য্য করিবার প্রয়োজন হয় না। আমি আরও জানিতাম যে, তাহার জন্মভূমি বাখরগঞ্জ জেলার অন্তর্গত কোন একটা পল্লিতে। গ্রামটীর নামও আমি তাহার নিকট শুনিয়াছিলাম, কিন্তু এখন আমার সে নাম মনে হয় না। আমি তাহার জন্মভূমিতে কখনও যাই নাই, তিনিও তাহার দেশে খুব কমই যাইতেন। তাঁহার থাকিবার প্রধান স্থান—এই কলিকাতা সহরই ছিল। সময় সময় স্থানে স্থানে বাড়ী ভাড়াও করিয়া তিনি বাস করিতেন। আমি কিন্তু তাহার বাসাবাড়ীতে ইতিপূর্বে কখনও যাই নাই। যে সময় তিনি তাহার জীবন বীমা আমার নিকট বিক্রয় করেন, সেই সময় তিনি জানবাজারের একটা বাড়ীতে বাস করিতেন। ঐ বাড়ীতে আমি গিয়াছিলাম ও আপনি ইচ্ছা করেন তো আপনাকে সেই বাড়ী দেখাইয়া দিতে পারি।
আমি। আপনি যাহাকে উত্তমরূপে চিনেন না, তাহার জীবন বীমা আপনি খরিদ করিলেন কেন?
ব্রজ। আপনি বোধ হয় অবগত আছেন যে, ব্যবসা কার্যে আমি বিশেষরূপে নিযুক্ত। যাহা কিছু আমি বিষয় সম্পত্তি করিয়াছি, তাহার সমস্তই আমার ব্যবসা হইতে; সুতরাং ব্যবসার খাতিরে আমি হরেকৃষ্ণের জীবন বীমা খরিদ করিয়াছিলাম।
আমি। হরেকৃষ্ণ যে সময় তার জীবন বীমা করিয়াছিল, সেই সময় সে কোথায় খাকিত? ব্রজ। শুনিয়াছি, জানবাজারের বাড়ীতেই তখন তিনি বাস করিতেন।
আমি। যে সময় সে তাহার জীবন বীমা করে, সে সময় আপনি উহা জানিতেন কি?
ব্রজ। না~~-আমি জানিতাম না। ঐ জীবন বীমা যখন তিনি বিক্রয় করিতে প্রস্তুত হন, তখনি আমি প্রথম জানিতে পারি যে, তাহার জীবন বীমা করা আছে।
আমি। আপনার নিজের জীবন বীমা করা আছে কি?
ব্রজ। আছে, কিন্তু অতি অল্প টাকায়।
আমি। কত টাকায়?
ব্রজ। পাঁচ শত টাকায়।
আমি। হরেকৃষ্ণের জীবন বীমা খরিদ করিবার পর হইতে যখন আপনাকে চাঁদার দেয় টাকা প্রদান করিতে হইতেছে, তখন আরও অধিক অর্থে নিজের জীবন বীমা করিতে অনায়াসেই পারিতেন, তাহা না করিয়া পরের জীবন বীমা খরিদ করিলেন কেন?
ব্রজ। আমি সে চেষ্টাও করিয়াছিলাম, কিন্তু তাহাতে কৃত-কার্য্য হইতে পারি নাই। কারণ এখন আমার শরীরের যেরূপ অবস্থা, তাহাতে কোন ডাক্তার আমার স্বাস্থ্য সম্বন্ধে সাটিফিকেট দিতে পারেন না। বিশেষ আমাদিগের দেশীয় লোকের যে বয়স পর্যন্ত জীবন বীমা হইয়া থাকে, আমার সে বয়ঃক্রম অতীত হইয়া গিয়াছে, সুতরাং নিজের জীবন বীমা করিতে অসমর্থ হইয়া পরের জীবন বীমা খরিদ করিতে প্রবৃত্ত হইয়াছি।
আমি। হরেকৃষ্ণের আর কে আছে?
ব্রজ। তাহা আমি বলিতে পারি না। জানবাজারের বাড়ীতে আমি যতবার গিয়াছি, তাঁহাকে একাকীই দেখিয়াছি। পরিবারবর্গের মধ্যে অপর আর কাহাকেও আমি সেই বাড়ীতে দেখি নাই, দেখিবার মধ্যে কেবল দুই একটী ভৃত্যকে ঐ বাড়ীতে দেখিতে পাইতাম।
আমি। মৃত্যুর পূর্বে আপনি তাহাকে ঐ বাড়ী হইতে স্থানান্তরিত করিয়াছিলেন না?
ব্রজ। হাঁ, আমিই তাহাকে তীরস্থ করিয়াছিলাম।
আমি। তাহার যে সকল ভৃত্য ছিল, তাহারা এখন কোথায়?
ব্রজ। তাহা আমি বলিতে পারি না, তাঁহার মৃত্যুর পর তাহারা কে কোথায় চলিয়া গিয়াছে।
আমি। আপনি কহিলেন যে, তাহার আর কেহই ছিল না, তাহা হইলে যে সকল দ্রব্যাদি রাখিয়া হরেকৃষ্ণ ইহজীবন পরিত্যাণ করে, সে সমস্ত দ্রব্যাদি কে গ্রহণ করিয়াছে, তাহাও কি আপনি লইয়াছেন?
ব্রজ। না, তঁহার পরিত্যক্ত দ্রব্যাদি আমি কিছুই গ্রহণ করি নাই। যাহার বাড়ীতে তিনি বাস করিতেন, বাড়ী ভাড়ার নিমিত্ত তাঁহার কিছু অর্থ হরেকৃষ্ণের নিকট পাওনা ছিল, সেই অর্থের জন্য তিনি তাহার পরিত্যক্ত সমস্ত দ্রব্য গ্রহণ করিয়াছেন।