তীর্থরেণু/ভাবান্তর
ভাল রীতি তব ওহে ভালবাসা!
রয়েছ আমারে ভুলে!
তোমার লাগিয়া আমি পথ চাই,
তুমি তো এস না মূলে!
আপন ভাবিয়া নিকটে গেলাম
চ’লে গেলে পায় পায়,
কমল ভাবিয়া ধরিতে ধাইমু,
কাঁটায় বিধিলে হায়!
সাথী সমঝিয়া মুখ চাহিলাম
বিরক্ত হ’লে, বঁধু,
বেজার হইলে, বুকে চাপাইলে
পাষাণের ভার শুধু!
আশা পথ চেয়ে তবুও রহিম,
রহিনু জন্ম ধ’রে,
ছলনা যে হায় ব্যবসায় তব
বুঝিনু তা’ ভাল ক’রে!
শতবার তুমি ক’রেছ ছলনা,—
করেছ শতেক ভাবে,
দুঃখ কেবল এ ব্যাভার তব,—
স্মরণে রহিয়া যাবে।
সুখের লাগিয়া পাহাড়-আড়ালে
লইলাম আশ্রয়,
সুখ দূরে থাক্, সিংহ আসিয়া
হিয়া উপাড়িয়া লয়!
তাড়াতাড়ি ক’রে হ’লনা শিঙার
ফেলে এনু ফুল-ডালা,
তাই কি আমায় পরাইলে সখা
বিষম জালার মালা?
শিকারের মত ক্ষত বিক্ষত
করিলে আমারে বাজ!
জোর জবরিতে পরাণে মারিলে,
এই কি উচিত কাজ?
নিম্খুন্ করি’ কাটারি রুখিলে
পূরে কি মনস্কাম?
ভ্রুকুটি করিয়া যে ছুরি হানিলে
তাহাতেই মরিলাম।
ওগো মনোচোর! মনের মানুষ!
কেন তুমি চঞ্চল?
চিরদিন কি হে নিরাশ করিবে
চিরদিন নিষ্ফল?
স্তম্ভিত হই, নিশ্বাস ফেলি।
পূর্ব্বের কথা স্মরি,
কহে ঝিন্দ, তবু দেখা নাই,
বিরলে ঝুরিয়া মরি।