বিষয়বস্তুতে চলুন

নব্য জাপান ও রুষ জাপান যুদ্ধের ইতিহাস/ভৌগলিক বৃত্তান্ত

উইকিসংকলন থেকে

নব্য জাপান

রুষ জাপান যুদ্ধের ইতিহাস।

ভৌগলিক বৃত্তান্ত।

অবস্থান ও বিভাগ।

 এসিয়ার পূর্ব্বপ্রান্তে প্রশান্ত মহাসাগরবক্ষে কতকগুলি বৃহৎ ও ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র দ্বীপ লইয়া জাপান সাম্রাজ্য সংগঠিত হইয়াছে। তন্মধ্যে নীপন, কিউসিউ, সিকক্, যেশাে, ফরমােসা এই পাঁচটী দ্বীপ সর্ব্বাপেক্ষা প্রধান। এতদ্ভিন্ন কিউরাইল, লুচু, বােনিন প্রভৃতি বহুসংখ্যক ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র দ্বীপ ইহার অন্তর্গত।

 জাপান সাগর ও কোরিয়া প্রণালী পশ্চিমে থাকিয়া জাপান সাম্রাজ্যকে এসিয়াটিক রুষিয়া ও কোরিয়া উপদ্বীপ হইতে বিচ্ছিন্ন করিতেছে।

 ১২৯° হইতে ১৫০° অক্ষাংশের মধ্যে এই রাজ্য অবস্থিত।

 জাপান সাম্রাজ্যের পরিমাণফল প্রায় ২ লক্ষ ৫০ হাজার বর্গ মাইল। তুলনায় ইংলণ্ড, ওয়েলস্‌, স্কটলণ্ড ও আয়র্লণ্ডের দ্বিগুণ, এবং জর্ম্মণ সাম্রাজ্যের ও ফ্রান্সের সমতুল্য হইবে। লােকসংখ্যা ৪ কোটী ৭০ লক্ষর উপর।

 জাপান সাম্রাজ্য দুই ভাগে বিভক্ত। জাপান ও অধীন দ্বীপপুঞ্জ।

 জাপান বলিতে নীপন, কিউসিউ, সিকক্ ও কতকগুলি ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র দ্বীপ বুঝায়। ইহার মধ্যে নীপনের দৈর্ঘ্য ৯০০ মাইল ও প্রস্থ ১০০ মাইল। কিউসিউ দৈর্ঘ্যে ২০০ মাইল ও প্রস্থে ৮০ মাইল। সিককের দৈর্ঘ্য ১৫০ মাইল ও প্রস্থ ৮০ মাইল হইবে।

 অধীন দ্বীপপুঞ্জের মধ্যে যেশাে ও ফরমোসা সর্ব্বাপেক্ষা বৃহৎ। যেশো দৈর্ঘ্যে ৩০০ মাইল ও প্রস্থ ১০০ মাইল। ফরমােসা দৈর্ঘ্যে ২০০ ও বিস্তারে ৭০ হইবে।[]

রাজধানী ও প্রধান নগর।

 জাপানী ভাষায় নীপন শব্দের অর্থ সূর্যোদয়ের স্থান। এই দ্বীপ চীনবাসিগণের নিকট য়ংহু বা জিয়নউ নামে পরিচিত। প্রাচীন ভারতবর্ষের সুবর্ণযুগে এই দ্বীপের নাম সুদর্শন ছিল।[]

 জাপান সাম্রাজ্যের রাজধানী টোকিও নীপন দ্বীপে অবস্থিত। “টো” শব্দে প্রাচ্য ও “কিও” শব্দে রাজধানী বুঝায়। সুতরাং জাপানী ভাষায় টোকিও অর্থে প্রাচ্য রাজধানী বুঝিতে হইবে। এই নগরী কলিকাতা হইতে ৩২০০ মাইল উত্তর-পূর্ব্বে অবস্থিত। লােকসংখ্যা ১৪ লক্ষ হইবে।

 এই নগর এসিয়া মহাদেশের মধ্যে সর্ব্বাপেক্ষা উন্নত ও বাণিজ্য-প্রধান স্থান। যে সমস্ত সাগরশাখা সহরের মধ্যে প্রবেশ করিয়াছে, তাহার উভয়পার্শ্বে নানাবিধ সুন্দর সুন্দর বৃক্ষশ্রেণী রােপিত আছে। এখানে অনেকগুলি সেতু আছে। প্রধান সেতুর নাম নিপবস্‌। রাজপ্রাসাদ নগরের মধ্যভাগে অবস্থিত। সম্রাটের ব্যবহারের জন্য নানাস্থানে অনেকগুলি অট্টালিকা আছে। জাপানের অনেক প্রধান লােক এইখানে অতি মনােহর গৃহসকল নির্ম্মাণ করিয়াছেন। সাধারণ গৃহগুলি কাষ্ঠ নির্ম্মিত। এইখানে জাপানের পার্লামেণ্ট সভা, ইউনিভার্সিটী, ব্যাঙ্ক, নেভাল কলেজ, টর্পেডো স্কুল প্রভৃতি অবস্থিত। এখানকার বাজার, চক, উপবন ও ডক প্রভৃতি অতি সুন্দর। ১৮৮৯ খ্রীষ্টাব্দে এই সহরের লোক সংখ্যা ১৩৭৮১৩২ জন ছিল।

 ওসাকা জাপানের দ্বিতীয় সহর। এই নগর সমুদ্রতীরে অবস্থিত অতি সুরক্ষিত বন্দর। ইহার লােকসংখ্যা ৫ লক্ষ হইবে। এইখানে যুদ্ধোপযােগী বিবিধ অস্ত্র, গােলা, বারুদ প্রভৃতি প্রস্তুত হয়। অনেকে ইহাকে জাপানের উলউইচ্ বলিয়া থাকেন। এই নগরের অধিবাসিগণ ধনাঢ্য ও বিলাস পরায়ণ। জাপানীরা এই সহরকে প্রমােদ ভবন বলিয়া থাকে।

 মিয়াকো বা কিয়াটো। বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য প্রসিদ্ধ। জাপানের প্রধান ধর্ম্মযাজক এইখানে বাস করিয়া থাকেন। সকলে তাঁহাকে দৈরি বলিয়া থাকে। এই নগরে জাপানের প্রাচীন যুগের অনেক নিদর্শন পাওয়া যায়। কিয়াটো পূর্ব্বে সমগ্র রাজ্যের রাজধানী ছিল।

 ইয়াকোহামা। জাপানের সর্ব্ব প্রধান সামুদ্রিক বন্দর। এই স্থানে ইংরাজ, ফরাসী প্রভৃতি বৈদেশিকগণের বাণিজ্যপােতসকল নঙ্গর করিয়া থাকে।

 হিওগো। অন্তর্বাণিজ্যের কেন্দ্রস্থান।

 সিমনসেকি। সাগরতীরবর্ত্তী সুরক্ষিত বন্দর। এই নগরে চীন জাপান যুদ্ধের সন্ধিপত্র স্বাক্ষরিত হয়।

 মেজারু। এখানে একটী গবর্ণমেণ্টের ডক আছে। এই নগরে জলযুদ্ধের উপযোগী অস্ত্রাদি নির্ম্মিত হইয়া থাকে।

 নাগাসাকি। অতি সুরক্ষিত বন্দর, কিউসিউ দ্বীপে অবস্থিত। এখানকার ডকগুলি অতি উৎকৃষ্ট। নাগাসাকিতে প্রচুর পরিমাণে কয়লা রক্ষিত হইয়া থাকে। ইংরাজ, মার্কিণ, প্রভৃতি জাতিরা এইখানে বাণিজ্য করিয়া থাকে। এই স্থানের গৃহসকল অতি সুন্দররূপে নির্ম্মিত, প্রতি গৃহেই বারাণ্ডা আছে। এই নগরের মধ্যে ও বাহিরে অনেক বৌদ্ধমঠ দৃষ্টিগােচর হয়।

 সেসাবাে। জাপান সাগরীয় রণতরী শ্রেণীর প্রধান আশ্রয় স্থান। এইখানে গবর্ণমেণ্টের ডক আছে। এই বন্দরে বড় বড় জাহাজ, লাইনার, টর্পেডো বােট প্রভৃতি গঠিত হয়।

 এতদ্ভিন্ন সঙ্গ, কোকুরা, কতসীমা, হামাতা প্রভৃতি উন্নতিশীল নগর আছে।

 হাকোডোট। সুগারু প্রণালীর উত্তরতীরস্থিত অতি সুরক্ষিত বন্দর। এখানে জাহাজ গঠনোপযােগী কতকগুলি উৎকৃষ্ট ডক আছে।

 মাটসমৈ। জেসো দ্বীপের শাসনকর্ত্তা এইখানে অবস্থিতি করেন। জাপান সম্রাট সময়ে সময়ে এই নগরে বাস করিয়া থাকেন। সহরটী ক্রমনিম্ন ও চারিদিকে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র পাহাড় দ্বারা পরিবেষ্টিত। দেখিতে অতি সুন্দর।

 মারোয়ান। অতি সুরক্ষিত সামুদ্রিক বন্দর।

 এতদ্ভিন্ন জেসােদ্বীপে ফুকুসমা, ওসিমা, অকেশী প্রভৃতি প্রধান প্রধান নগর আছে।

 তৈবান। চীনের দক্ষিণ পূর্ব্ব উপকূলে অবস্থিত ফরমোসা দ্বীপের প্রধান নগর। এইখানে জাপানের রাজপ্রতিনিধি অবস্থান করেন। পূর্ব্বে চীনের উৎকট অপরাধীরা এইখানে নির্ব্বাসিত হইত। ফরমোসার অন্য আর একটী সমৃদ্ধিশালী নগর তাকাও।

 উপরােক্ত নগরগুলি ভিন্ন জাপান সাম্রাজ্যে কোব, হিরোসিমা, কুরি, নিগাটা প্রভৃতি কয়েকটী উল্লেখযােগ্য নগর আছে।

জলবায়ু।

 জাপানের প্রায় সমগ্র ভাগই শীতমণ্ডলের অন্তর্গত। উত্তরাংশে ইয়ুরােপের ন্যায় অতি তীব্র শীত অনুভূত হয়। ডিসেম্বর ও জানুয়ারি মাসে তাপমান যন্ত্রের পারদ ২৮° ডিক্রির নিম্নে পতিত হয়। দক্ষিণাংশে বায়ুর তাপ অতি গ্রীষ্মের সময় ৯৮° হইয়া থাকে। কিন্তু দিবাভাগে দক্ষিণদিক হইতে এবং রজনীতে পূর্ব্বদিক হইতে সমুদ্র বায়ু প্রবাহিত হওয়ায় গ্রীষ্মের তাপ অনুভূত হয় না। এ দেশের ঋতু অত্যন্ত পরিবর্তনশীল হইলেও জলবায়ু সাধারণতঃ স্বাস্থ্যকর। পূর্ব্ববায়ু অপেক্ষা, দক্ষিণবায়ু সমধিক সুখস্পর্শ। বর্ষাকালে জাপানে প্রচুর বারিবর্ষণ হইয়া থাকে। এখানে ঝড়ের বেগ অতি প্রচণ্ড।

 জাপানে ঝটিকা, বজ্রপাত, সমুদ্রপ্লাবন ও ভূমিকম্প সর্ব্বদাই হইয়া থাকে।

ভূমি ও উৎপন্ন।

 জাপানের ভূমি সাধারণতঃ উর্ব্বরা। সর্ব্বত্রই কৃষিকার্য্য অতি সুন্দররূপে সম্পন্ন হয়। জাপানীদিগের ন্যায় কৃষিকুশল জাতি পৃথিবীতে দৃষ্ট হয় না। ইহারা একখণ্ড ভূমিও বৃথা ফেলিয়া রাখে না। সুবিধা হইলে পাহাড়ের অতি উচ্চস্থান পর্য্যন্তও কর্ষণ করিয়া থাকে। জাপানে পূর্ব্বে ব্যবস্থা ছিল, যে ব্যক্তি পতিত জমি আবাদ করিবে, তাহাকে দুই বৎসরের মধ্যে কোনরূপ কর প্রদান করিতে হইবে না; আর যে অলস ব্যক্তি এক বৎসর নিজ জমি চাষ করিবে না, সে তাহার জমির যাবতীয় অধিকার হইতে বঞ্চিত হইবে।

 জাপানে ধান্য, যব, গম, চা, তুলা, রেশম, পাট, তামাক প্রচুর পরিমাণে জন্মিয়া থাকে। ধান্যের চাষই অধিক পরিমাণ ভূমিতে হইয়া থাকে। এখানে এক প্রকার অতি উৎকৃষ্ট তণ্ডুল আছে, তাহা কিয়ৎক্ষণ শীতল জলে রক্ষা করিলে অন্ন প্রস্তুত হয়। যে যে স্থানে তামাক উৎপন্ন হয়, তন্মধ্যে নাগাসাকি ও সাস্‌মার তামাকই উৎকৃষ্ট ও সুগন্ধযুক্ত। জাপানীরা অতি উত্তমরূপে, তামাকের চাষ করিয়া থাকে। যাহারা কোন তামাক ব্যবহার করিতে পারে না, তাহারাও এদেশের তামাক ব্যবহার করিতে পারে। জাপানে মূলা, শশা, ফুটী, তরমুজ, আলু, কাফি, চা প্রভৃতি যথেষ্ট জন্মিয়া থাকে। নানাপ্রকার বাঁশ, কর্পূর ও বার্ণিষ উৎপাদক বৃক্ষ প্রভৃতি নানাবিধ আশ্চর্য্য উদ্ভিদ এখানে পাওয়া যায়। এক প্রকার বৃক্ষ হইতে দুগ্ধের ন্যায় শ্বেতবর্ণ রস নিঃসৃত হয়। সুখাদ্য ফলের মধ্যে কমলা, লিচু, আঙ্গুর, কুল, চেরি, আখরােট, পেয়ারা, পিচ প্রভৃতি উৎপন্ন হয়। বৃহৎ বৃক্ষের মধ্যে ওক, পাইন, দেবদারু, মেহগ্নি প্রভৃতি দৃষ্ট হয়। জাপানে নানাশ্রেণীর অতি মনোহর পুষ্প উৎপন্ন হইয়া থাকে। এখানে পশমের অভাব নাই। এখানকার তুতজাত রেশম সর্ব্বত্র প্রসিদ্ধ।

আকরিক।

 আকরিকের মধ্যে স্বর্ণ, রৌপ্য, তাম্র, টিন, পাথুরিয়া কয়লা প্রচুর পাওয়া যায়। লৌহ অধিক পাওয়া যায় না। লৌহের অনেক কার্য্য তাম্র দ্বারা সম্পন্ন হইয়া থাকে। এখানকার তাম্রের ন্যায় উৎকৃষ্ট তাম্র পৃথিবীর কুত্রাপি পাওয়া যায় না। জাপানীরা ইহা এক ইঞ্চ মােটা ও এক ফুট লম্বা পাত করিয়া বিক্রয় করে। অপকৃষ্ট তাম্র ইষ্টকাকারে বিক্রীত হয়। জাপানে তামার খনিতে সময়ে সময়ে স্বর্ণ পাওয়া যায়। সম্রাটের অনুমতি ব্যতীত কেহই স্বর্ণখনির কার্য্য করিতে পারে না। এখানকার টিন রৌপ্যের ন্যায় শুভ্র ও উজ্জ্বল। জাপানের নানাস্থানে একরূপ মৃত্তিকা পাওয়া যায়, তাহা হইতে মনােহর বাসন প্রস্তুত হয়। চীনাবাসন বলিয়া ইহা পৃথিবীর নানাদেশে বিক্রয় হইয়া থাকে।

জীবজন্তু।

 জাপানে অশ্ব, মহিষ, গবাদি গ্রাম্য জন্তু দৃষ্ট হয়। এখানকার অশ্ব সকল বলিষ্ঠ, কিন্তু বৃহৎ নহে। মৃত্তিকাকর্ষণ ও শকটচালন জন্য গরু ও মহিষ ব্যবহৃত হয়। ছাগ, মেষ, হরিণ, শূকর, ভল্লুক প্রভৃতি নানাস্থানে দেখা যায়। জাপানে পক্ষী অতি বিরল, এই পার্থিব অমরাবতীতে হংস, কুক্কুট ও ভরত পক্ষী ভিন্ন উজ্জ্বল বর্ণবিশিষ্ট বিহঙ্গ দেখিতে পাওয়া যায় না। এখানে সর্প অতি অল্পই দেখিতে পাওয়া যায়। ফিনাকারী ও তিতাকাজি নামে দুই শ্রেণীর সর্প আছে, উহারা এদেশীয় গােখুরা ও কেউটে সাপ অপেক্ষাও ভীষণ। ইহারা কাহাকেও দংশন করিলে দষ্ট ব্যক্তির নিশ্চয়ই মৃত্যু হয়। এই দুই শ্রেণী ভিন্ন জাপানে আর দুই তিন প্রকার সর্প আছে, তাহারা বিষাক্ত নহে। এই দ্বীপে উঁই বড়ই প্রবল। ইহার অত্যাচারে জাপানীরা ব্যতিব্যস্ত হইয়া থাকে। ইহারা বলে, গৃহের চারি পাশে লবণ ছড়াইয়া দিলে কিয়দ্দিবসের জন্য উঁইয়ের দৌরাত্ম নিবারিত হয়।

 জাপানের সমুদ্র, নদী ও বিল প্রভৃতিতে প্রচুর মৎস্য পাওয়া যায়। জাপান সমুদ্রে ঠিক মানুষের ন্যায় এক রূপ মৎস্য আছে। ইহার মস্তক বৃহৎ, বক্ষদেশে ও মুখমণ্ডলে আঁইস নাই। ইহার পায়ে বালকের ন্যায় ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র অঙ্গুলি আছে। টোকিও উপসাগরে ইহা অধিক পাওয়া যায়। এখানকার জলাশয়ে কুম্ভীর ও কচ্ছপাদির অভাব নাই। জাপান সমুদ্রে শুক্তি, নানাবর্ণের প্রস্তর ও প্রবালাদি পাওয়া যায়।

  1. যেশো দ্বীপ এক্ষণে হােকাইদো নামে অভিহিত হইয়া থাকে। ফরমােসা চীনসাগরে অবস্থিত। গত চীনজাপানের যুদ্ধে (১৮৯৪-৯৫) জাপানীরা চীনের নিকট হইতে এই দ্বীপ লাভ করিয়া সাম্রাজ্য ভুক্ত করে।
  2. সুদর্শন দ্বীপের বিস্তৃত বিবরণ “জাপানের পূর্ব্বকথা” অধ্যায়ে বিবৃত হইয়াছে।