নাগপাশ (হেমেন্দ্রপ্রসাদ ঘোষ)/তৃতীয় খণ্ড/তৃতীয় পরিচ্ছেদ
তৃতীয় পরিচ্ছেদ।
সব ফুরাইল।
বিদেশে আসিয়া প্রথমে কমলের যে স্বাস্থ্যোন্নতি লক্ষিত হইয়াছিল, তাহা স্থায়ী হইল না। আবার দৈহিক দৌর্ব্বল্য বাড়িতে লাগিল। কমলের মন ভাল ছিল না। তাহার জন্য সকলে দেশত্যাগী হইয়াছেন ভাবিয়া সে দেশে ফিরিবার জন্য ব্যস্ত হইত; শিবচন্দ্রকে বলিত, “জ্যাঠামহাশয়, আমার শরীর সারিয়াছে, ফিরিয়া চলুন।” শিবচন্দ্র বলিতেন, “আর কয় দিন থাক; তাহার পর যাইব। কেন, আমরা ত সকলেই কাছে আছি, তবু যাইবার জন্য ব্যস্ত কেন, মা?” কমল সে কথার আর উত্তর দিতে পারিত না। কিন্তু শিবচন্দ্র বুঝিতে পারিতেন না, সকলে তাহার জন্যই প্রবাসী বলিয়া সে দেশে ফিরিবার জন্য অত ব্যস্ত হইত।
এই বিদেশে তাহার মনে হইত,—বঙ্গদেশের সেই পল্লীগ্রামে শরৎ সমাগত; তথায়, জলচরসঞ্চারচঞ্চলিত স্নিগ্ধনীলপরিসর নদীর তটভূমি কাশপুষ্পের শুক্লাম্বর ধারণ করিয়াছে! আকাশে-বর্ষণলঘু রজতশঙ্খগৌর মেঘমালা পবনের সহিত খেলা করিতেছে। প্রান্তরে স্বর্ণশীর্ষ হরিৎধান্য পবনে বিকম্পিত হইতেছে, যেন স্বর্ণচূড় হরিতের তরঙ্গ বহিয়া যাইতেছে; জলাশয় সকল মরকতমণিবৎ সুনির্ম্মল জলরাশিতে পূর্ণ; দিবাভাগ ছায়ালোকক্রীড়ামধুর; রজনী নক্ষত্রমালিনী, সুন্দরী; এই শরতে তাহার পল্লীভবন প্রাঙ্গন শিথিলবৃত্ত শেফালীকুসুমে আস্তৃত, সমস্ত গৃহ সেফালীর মৃদুমধুর সৌরভে আমোদিত। সেই কথা কমলের মনে পড়িত, আর তাহার হৃদয় সেই শতসুখস্মৃতিসমুজ্জল সুদূর পল্লীভবনে ফিরিবার জন্য ব্যাকুল হইত। তাহার মনে সুখ ছিল না।
কিন্তু দুঃখের আরও গুরুতর কারণ ছিল।—আপনার রোগ যক্ষ্মা জানিয়া অবধি কমল সাবধান হইয়াছিল; পুত্ত্রকে সর্ব্বদা কাছে আসিতে দিত না, পাছে তাহার রোগ পুত্ত্রকেও আক্রমণ করে। কিন্তু তাহাতে জননী-হৃদয় পদে পদে ব্যথিত হইত। সে পুত্ত্রকে যতই দূরে রাখিত, তাহার মাতৃহৃদয় তাহার জন্য ততই তৃষ্ণাতুর হইত। সে আকুল,—অসীম,—দারুণ তৃষ্ণায় কেবল যাতনা। পার্শ্বের কক্ষে বা বারান্দায় পুত্ত্রের কণ্ঠস্বর শুনিবার আশায় কমল সর্ব্বদা ব্যগ্র হইয়া থাকিত। পুত্ত্র কোনও কারণে ক্রন্দন করিলে সে ক্রন্দনে কমলা চমকিয়া উঠিত; সে ক্রন্দন যেন তাহার হৃদয়ে বিদ্ধ হইত। পুত্ত্রকে কিছু ক্ষণ দেখিতে না পাইলে তাহার চক্ষু ছলছল করিত; কিন্তু পুত্ত্র নিকটে আসিলে পুত্ত্রের অনিষ্ট আশঙ্কা করিয়া সে যেন পাষাণে হৃদয় বাঁধিয়া তাহাকে বলিত, “যাও, বাবা, খেলা করিতে যাও।” অমল জননীর ব্যবহারে বিস্মিত হইয়া বড় বড় চক্ষু মেলিয়া মা’র মুখে চাহিত। কমল কাঁদিয়া ফেলিত। তাহার ইচ্ছা হইত, পুত্ত্রকে তপ্তবক্ষে চপিয়া বক্ষ শীতল করে; তৃষিত চুম্বনে মাতৃহৃদয়ের প্রবল তৃষ্ণা তৃপ্ত করে। পুত্ত্র চলিয়া যাইলেও বহুক্ষণ তাহার নয়নে জল ঝরিত। কেবল আর কাহাকেও দেখিলে সে ত্রস্তে অশ্রু মুছিত; পাছে আর কেহ তাহার এই দারুণ দুঃখের কথা জানিতে পায়! সে স্নেহপ্রসূত বেদনা যে একান্ত তাহারই। আবার ভাহা জানিলে সকলে ব্যস্ত ব্যথিত হইবেন। কিন্তু সে প্রায়ই একক থাকিতে পাইত না, তাই মনের দুঃখ মনেই চাপিয়া রাখিত; আপনি বিষম বেদনা পাইত।
একদিন অমল নিকটে আসিলে কমল যখন তাহাকে খেলা করিতে যাইতে বলিল, তখন অমল মা’র গলা জড়াইয়া ধরিয়া জিজ্ঞাসা করিল, “মা, তুমি আমাকে কাছে আসিতে দাও না কেন?” কমল আর পারিল না; পুত্ত্রকে বক্ষে চাপিয়া ধরিল, তাহার পর উচ্ছ্বসিত বেদনায় কাঁদিতে লাগিল। কোমল কুসুম নিশার শিশিরসিক্ত হইয়া উঠিল। কিন্তু অমল কিছু বুঝিতে পারিল না। তথাপি ব্রততীর হৃদয়ের সহিত কোরকের হৃদয় এক সূত্রে বদ্ধ, ব্রততীর হৃদয়ে আঘাত লাগিলে কোরকের হৃদয়েও বেদনা বাজে। তাই জননীর ক্রন্দনে অমলও কাঁদিতে লাগিল। এই সময়-সতীশ কক্ষে প্রবেশ করিল; দেখিল, মাতাপুত্ত্র ক্রন্দনরত, —কাঁদিয়া উভয়েরই চক্ষু ফুলিয়া উঠিয়াছে। সতীশ জিজ্ঞাসা করিল, “কি হইয়াছে?” সে প্রশ্নে কমলের অশ্রু দ্বিগুণ রহিল। সতীশ পার্শ্বে বসিয়া তাহার অশ্রু মুছাইতে লাগিল; কিন্তু সে যত মুছায়, অশ্রু তত বহে; উচ্ছ্বসিত যাতনার মুক্ত উৎসমুখে সে অশ্রু বহিতেছিল। শেষে সতীশ পুত্ত্রকে ভুলাইয়া লইয়া গেল, এবং তাহাকেই জিজ্ঞাসা করিয়া কমলের ক্রন্দনের কারণ বুঝিল। সে পুত্ত্রকে রাখিয়া আসিয়া কমলের কাছে বসিল; নানা কথায় তাহাকে অন্যমনস্ক; করিবার চেষ্টা করিল। কমলের ক্রন্দন থামিল বটে, কিন্তু হৃদয়ের জ্বালা জুড়াইল না।
সেই দিন হইতে সতীশ সর্ব্বদা যেন কমলকে আগুলিয়া থাকিত; পাছে তাহার কোনও কষ্টের কারণ ঘটে। সে প্রায় সর্ব্বদাই কমলের কাছে থাকিত। কিন্তু কমল সহজেই তাহার উদ্দেশ্য বুঝিতে পারিল। যে রমণী সত্য সত্যই স্বামীকে সর্ব্বস্ব প্রদান করে, তাহার নিকট স্বামীর মনোভাব গোপন থাকে না; থাকিতে পারে না। সে নখদর্পণে স্বামীর হৃদয়ের সুখ, দুঃখ,— আশা, নিরাশা, হর্ষ বিষাদ,— ছায়া, আলোক,—ভাব, অভাব দর্শন করে। সতীশের এ ভাবও কমলের আর এক বেদনার কারণ হইয়া দাঁড়াইল; কিন্তু সে বেদনা সে ফুটিল না; হৃদয়ে রাখিল।
আর এক দিন অমল জননীকে জিজ্ঞাসা করিল, “মা, আমরা কবে বাড়ী যাইব?” শিশু কি ভাবিয়া কি জিজ্ঞাসা করে, কে বলিবে? কমল কি বলিতে যাইতেছিল; কিন্তু অশ্রুর উচ্ছ্বাসে কথা ফুটিল না। সেই সময় নবীনচন্দ্র আসিলেন। তখন কমলের চক্ষু ছলছল করিতেছে। নবীনচন্দ্র ব্যগ্রভাবে জিজ্ঞাসা করিলেন, “কাঁদিতেছিস্?” কমল কষ্টে আত্মসংবরণ করিয়া বলিল, “কৈ!” কিন্তু দুই ফোঁটা অশ্রু তাহার নয়ন হইতে গড়াইয়া পড়িল। নবীনচন্দ্র কন্যার কষ্টের কারণ জানিতে পারিলেন না, কিন্তু তাহার সেই দুই ফোঁটা অশ্রু যেন অগ্নিস্ফুলিঙ্গের মত তাঁহার হৃদয় স্পর্শ করিয়া যাতনা জ্বালাইল। তিনি কন্যার নিকটে বসিলেন, হৃদয়ের বেগ সংবরণ করিয়া তাহার সহিত অন্য কথা কহিতে লাগিলেন।
এক এক সময় অতিক্ষুদ্র কথায়,——অতি তুচ্ছ ঘটনায় চিন্তার উৎস উচ্ছ্বসিত হইয়া উঠে, ভাবনার প্রবাহ ভিন্ন পথে প্রবাহিত হয়। পুত্ত্রের কথা শুনিয়া কমল ভাবিতে লাগিল। সে শিবচন্দ্রকে বলিল, “জ্যাঠা মহাশয়, দেশে চলুন।” শিবচন্দ্র বলিলেন, “মা, তুমি আর একটু সারিয়া উঠ।” কমল বলিল, “আমি যাইবার মত সারিয়াছি।” শিবচন্দ্র বলিলেন, “ডাক্তার বলুক।” কমল জিদ করিল। তাহার আবদার জ্যেষ্ঠতাতের কাছে। ছোট মেয়েকে যেমন করিয়া ভুলায়, শিবচন্দ্র তেমনই করিয়া কমলকে ভুলাইতে লাগিলেন।
ইহার পর একদিন কমল সতীশকে বলিল, “দেশে চল।” সতীশ বলিল, “এত ব্যস্ত কেন?” কমল বলিল, “তুমি আর কত দিন এমন করিয়া পথে পথে ফিরিবে? আমার জন্য তুমি দেশ, ঘর ছাড়িয়া আসিয়াছ; অর্থ, বিশ্রাম, স্বাস্থ্য, সুখ, সব হারাইয়াছ। আমি তাহা আর সহিব না।” সতীশ সস্নেহে কমলের রূক্ষ কেশজালের মধ্যে অঙ্গুলিসঞ্চালন করিতে করিতে বলিল, “কমল, তুমি কেন মন খারাপ করিতেছে? তোমার কাছে আমার কোনও কষ্ট নাই। তুমি সারিয়া উঠিলে আমার কিসের অভাব? তুমি দুর্ভাবনা মনে স্থান দিও না।” কমলের দুই চক্ষু জলে পূর্ণ হইয়া আসিল। সে বলিল, “আমাকে লইয়া তোমার কোনও সুখ হইল না। আমি—” সতীশ সাগ্রহে পত্নীর মুখচুম্বন করিয়া তাহার বাক্য বন্ধ করিল। স্বামী, স্ত্রী, উভয়েরই নয়ন অশ্রুকলুষিত।
সতীশ মনে মনে বলিল,—অর্থ, বিশ্রাম, স্বাস্থ্য, সুখ—হায়! তুমি এ সকল হইতে কত অধিক আকাঙ্ক্ষিত। তোমার জন্য আমি কি দিতে প্রস্তুত নহি?
কমল মনে করিল, এই প্রেমসুখসুরভিত জীবন ত্যাগ করা বড় দুঃখ! কিন্তু এই অবিচলিত প্রেমের অটল বিশ্বাস লইয়া মরিতে পারাও সৌভাগ্য প্রার্থনীয়।
কয় দিন যাইতে না যাইতে কমলের শরীর অত্যন্ত অসুস্থ হইয়া পড়িল। দৌর্ব্বল্য অত্যন্ত বাড়িয়া উঠিল। আসন্ন মৃত্যুর ঘনান্ধকার ঘনাইয়া আসিল। চিকিৎসক সে কথা বলিলেন। পত্নীর শয্যাপার্শ্বে বসিয়া সতীশ দেখিতে লাগিল,—কমলের দৌর্ব্বল্য দিন দিন বাড়িয়া উঠিতেছে,—দীপশিখা ক্ষীণ হইতে ক্ষীণতর হইতেছে, সঙ্গে সঙ্গে তাহার জীবনের সকল সুখের আশা শেষ হইয়া আসিতেছে। এ চিন্তা বড় যাতনার। জীবনে যাতনার শেষ হইবে না জানিয়া সে যাতনার আস্বাদন করা বড় কষ্টের। নীরবে সে যাতনা সহ্য করা আরও কষ্টসাধ্য।
সতীশের এই কষ্ট কমল লক্ষ্য করিল; আপনি কষ্ট পাইল।
কমলের শরীর ভাঙ্গিয়া পড়িল। এই অবস্থায় কয় দিন অতিবাহিত হইলে এক দিন কমলের বোধ হইল, যেন সে একটু সুস্থ বোধ করিতেছে। সে শিবচন্দ্রকে বলিল, “জ্যাঠা মহাশয়, আমি সুস্থ বোধ করিতেছি। বাড়ী চলুন।” শিবচন্দ্র সস্নেহে তাহার মস্তকে করতল সংস্থাপিত করিয়া বলিলেন, “মা, আর একটু ভাল হও।”
সে নবীনচন্দ্রকে বলিল, “বাবা, বাড়ী চলুন। দাদা বলিয়াছিল, আসিয়া আমাদের লইয়া যাইবে। দাদাকে আসিতে লিখুন, আজই লিখুন। দাদা আসিলেই আমরা যাইব।” নবীনচন্দ্র কষ্টে দীর্ঘনিশ্বাস সংবরণ করিলেন।
সে সতীশকেও বলিল, বাড়ী যাইতে হইবে।
কমল সংবাদ দিয়া গজদন্তের ও শৃঙ্গের দ্রব্য-বিক্রেতাদিগকে আনাইল। আপনি বাছিয়া শোভার জন্য, শচীর জন্য, অমলের জন্য নানা দ্রব্য কিনিল। মাদ্রাজের শাটী নূতন প্রকার; সে শোভার জন্য সর্ব্বোৎকৃষ্ট শাটী কিনিয়া লইল।
চিকিৎসক বলিলেন, সুস্থ হইবার বিষয়ে এইরূপ বিশ্বাস মৃত্যুর পূর্ব্বলক্ষণ। তিনি গৃহের সকলকে সাবধান থাকিতে বলিলেন,—দুর্ব্বল হৃদয়ের ক্রিয়া সহসা বন্ধ হইয়া যাইতে পারে; মৃত্যুর অতর্কিত আবির্ভাব কেহ অনুভব করিতে পারিবে না। সকলেই দুশ্চিন্তায় কাতর হইলেন। সকলেরই হৃদয়ে দারুণ যন্ত্রণা। পাছে কমল জানিতে পারে, এই আশঙ্কায় সকলেই তাহার সম্মুখে দুশ্চিন্তার ছায়া গোপন করিবার চেষ্টা করিতেন। বিরলে তপ্ত অশ্রুধারায় হৃদয়ের বেদনা প্রকাশ পাইত। হায় স্নেহের বেদনা!
দুই দিন গেল। তৃতীয় দিন সন্ধ্যার পরই কমল কেমন অসুস্থ বোধ করিতে লাগিল । কমল প্রকাশ করিবার পূর্ব্বেই সকলে তাহা লক্ষ্য করিলেন। সকলে সতর্ক হইয়াছিলেন। সে রাত্রিতে সকলেই জাগিয়া রহিলেন। কমল পুনঃ পুনঃ সকলকে ঘুমাইতে বলিল। কিন্তু সকলেই উদ্বিগ্নহৃদয়ে সেই শয্যাপার্শ্বে বসিয়া রহিলেন। সকলেই শঙ্কিত; কমলের সামান্য চাঞ্চল্যে সকলেই বাস্ত হইয়া উঠেন;—সকলেরই দৃষ্টি কমলের মুখলগ্ন।
কমল নবীনচন্দ্রকে জিজ্ঞাসা করিল, “বাবা, দাদাকে আসিতে লিখিয়াছ?”
নবীনচন্দ্র বলিলেন,“কল্য লিখিব।”
“আমিও তাহাকে লিখিব,যেন পত্র পাইয়াই আসে।”
কিছু ক্ষণ পরে, তখন মধ্যরাত্রি অতীত হইয়াছে,—কমল বক্ষে একটু বেদনা অনুভব করিল। সে জিজ্ঞাসা করিল, “অমল কোথায়?” সেই ক্ষুদ্র জিজ্ঞাসায় মাতৃহৃদয়ের যে আকুল তৃষ্ণা আত্মপ্রকাশ করিল,— সতীশের তাহা বুঝিতে বিলম্ব হইল না। সে উঠিয়া যাইয়া সুপ্ত পুত্ত্রকে অঙ্কে লইয়া আসিল। পিসীমা অমলকে জাগাইবার চেষ্টা করিতেছিলেন। কমল বারণ করিল। সে নিশার তিমিরস্পর্শে সঙ্কুচিতদল পদ্মের মত সুপ্ত পুত্ত্রের মুখের দিকে চাহিল,—তাহার নয়ন অশ্রুপূর্ণ হইয়া আসিল। সে আপনার করতল পুত্ত্রের কুঞ্চিতকুন্তলশোভিত মস্তকে সংস্থাপিত করিল।
বক্ষে বেদনা কিছু প্রবল বোধ হইল। —যেন নিশ্বাসরোধ হইয়া আসিতে লাগিল। কমলের দৃষ্টি পুত্ত্রের মুখ হইতে স্বামীর মুখে আসিয়া স্থির হইল। সেই সময় কমলের নয়ন হইতে দুই ফোঁটা অশ্রু গড়াইয়া পড়িল। দেখিতে দেখিতে নয়ন মুদিয়া আসিল। সব ফুরাইল।