নীতিকণা/সন্তোষ
সন্তোষ
কৃষক, পদ বা প্রভুত্ব আশায়,
ফিরো না ভুলো না সংসার মায়ায়।
লতার নিকুঞ্জ হরিত বরণে,
শোভিত ক’রেছে তোমার প্রাঙ্গণে।
তোমার রোপিত বৃক্ষ অগণন,
প্রকৃতির শোভা করে সম্পাদন।
শস্য-ক্ষেত্র তব শোভন যেমন,
উজ্জ্বল প্রাসাদ কভু কি তেমন?
এ সব ছাড়িয়া আর কিবা চাই?
আমি যাহা বলি, কর দেখি তাই!
যেন দুশ্চিন্তায় সময় না হর,
আপন কুটীরে সুখ-ভোগ কর।
কৃষি পাশুপাল্য ছেড়ো নাকো ভাই!
পদ বা প্রভুত্বে শান্তি পাবে নাই।
তোমার দশায় তুমি সুখী অতি,
তোমার সমান নহে লক্ষপতি।
পদ প্রভুত্বাদি দেখিতেছ যাহা,
তিলেকের সুখ নাহি দেয় তাহা।
নগরের দৃশ্য চিত্ত-আকর্ষক,
ভিতরে জেনো তা কেবল চটক!
তথা আছে সুখ, ভাবিও না মিছে,
কলহ কুচিন্তা পীড়া বিরাজিছে।
সে সুখের আশা ক’রে কাজ নাই,
আমি যাহা বলি, কর দেখি তাই।
যেন দুশ্চিন্তায় সময় না হর,
আপন কুটীরে সুখভোগ কর।
কৃষি পাশুপাল্য ছেড়ো নাকো ভাই,
পদ বা প্রভুত্বে শান্তি পাবে নাই।