| । । ॥ - ।
। । " অগ্নিব্রহ্মের তত্ত্ব। ১৮ হইয়াছে। এই সাতদেবীর নান্নু, যথা:-কালী, করালী মনােজবা, সুলােহিত সুধূম্রবর্ণা, স্কুলিঙ্গা, বা স্কুলিঙ্গিনী এবং বিশ্বা।: ফলতঃ অগ্নিব্রহ্ম এই কল্পিত সাত জিহ্বা বা সাত অবস্থা দ্বারা 'ও গ্রহরূপী জনার্দন হইয়া সর্ব্ব কার্য্য করিতেছেন এবং মনুষ্যাদি জীবগণকে করাইতেছেন। অর্থাৎ এই জগৎ ব্রহ্মাণ্ডের তাবৎ কার্য দুই ভাগে বিভক্ত হইয়া সম্পন্ন হইতেছে। এক ভাগের কার্য্য দেবতারা অর্থাৎ গ্রহপতি সূর্যনারায়ণ এবং অন্যান্য গ্রহতারা নক্ষত্র ও ধূমকেতু প্রভৃতি জ্যোতিষ্কগণ করিতেছেন আর এক ভাগের কার্য মনুষ্যাদি জীবগুণ করিতেছে; কিন্তু সকল কর্মের কর্তা অগ্নি ব্রহ্ম। ঝড়, বন্যা, বৃষ্টি, নানা প্রকার বায়ু প্রবাহ বিদ্যুৎফুরণ, বজ্রপাত, মেঘগর্জন ঋতু পরিবর্তন ঋতু প্রভাব এবং ঋতুর সমতা রক্ষা, জোয়ার, ভাটা, ভূমিকম্প, এবং উল্কাপাত ইত্যাদি দৈবের কার্য্য। মনুষ্যাদি জীবগণের কর্ম্মফল রচনা করা এবং তাহা যথা সময়ে প্রদান করাও দৈবের হাত। মনুষ্যগণের কার্য্য-বিদ্যা অর্জন দাশ, পরিগ্রহ, সন্তান সন্ততি উৎপাদন, কৃষি, শিল্প, বাণিজ্যাদি দ্বারা সদুপায়ে, অর্থ উপার্জন, সদয়ভাবে ন্যায়মত সংসার প্রতিপালন, গৃহপালিত পশুদিগের প্রতি সদয় ব্যবহার, শাস্ত্র অধ্যয়ন, শাস্ত্র শবণ, ভগবানের নাম জপ, তাহার মহিমা কীর্তন এবং অগ্নিত্রোদি শুভকর্ম্ম ও দান পরােপকার ইত্যাদি। | মনুষ্যগণ যদি যথারীতি কৰ্তব্য সম্পাদন করেন, তাহা হইলে গ্রহরূপী জনার্দন সুবৃষ্টি সুবাতাস ইত্যাদি দিয়া মনুষ্যগণকে যথেষ্ট সুখী করেন। অতএব দৈবের অর্থাৎ গ্রহরূপী অগ্নি ব্রহ্ম সূর্য্যনারায়ণ জগৎপিতার সর্বাপেক্ষা প্রিয় কার্য যে যজ্ঞহােম এবং অগ্নিয়ােস্ত্র ব্রত, তৎ সাধনে সকলে মনােযােগী হউন। t ॥ ।
