পাতা:অগ্নি ব্রহ্মের তত্ত্ব ও আহুতি প্রকরণ - সাগরচন্দ্র কুণ্ডু.pdf/৫৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

F F । । 1 . | | । । | | |

অগ্নিব্রহ্মের তত্ত্ব ও আহুতি প্রকরণ। পঠন পাঠন করিতেছেন তাহারও ইয়ত্তা নাই। বর্তমান সময়ে ভারত বর্ষের স্কুল কলেজ সমূহের উচ্চশ্রেণীর ছাত্রগণকে জাতি নির্বিশেষে ষেরূপে বৈদিক জ্ঞান শিক্ষা দেওয়া হইতেছে, তাহাতে বেদের অপৌরুষত্ব এবং ব্রাহ্মণগণের একাধিকারিত্ব থাকিতেছে না বা খণ্ডিত হইয়া যাইতেছে। পরম জ্ঞানী শিবনারায়ণ স্বামী লিখিয়া গিয়াছেন, র্যাহার জ্ঞান লাভের ইচ্ছা আছে, তাহারই বেদপাঠে অধিকার আছে, ইহাতে জাতি-কুলের কোন বিচার নাই।” এ বিষয়ের তিনি অনেক উদাহরণ দিয়াছেন। বেদের মূল এবং সার যে ওঁকার প্রণব তাহাও এখন কত শূদ্রাদি উচ্চারণ এবং জপ করিয়া পরমার্থ সাধন করিতেছেন। | ব্রাহ্মণগণ কি ঐ সকলের এখন গতি রােধ করিতে পারেন? অতপর অগ্নিব্রহ্মে আহুতি দিবার অধিকার বিচার।-দুগন্ধযুক্তকয়লা, কেরােসিনতৈল এবং মনুষ্য, পশু ও কীট পতঙ্গাদির মল মূত্র, নিষ্ঠিবন, (থুথু বা গরল মিশ্রিত কাষ্ঠ আহরণ করিয়া নরনারীগণ অগ্নি জালিতেছে এবং সেই অগ্নিতে রন্ধনাদি করিতেছে। এইরূপে প্রতি দিন-রাত্র অগ্নিমুখে কত অমেধ্য ( অপবিত্র) পদার্থ পড়িতেছে তাহার পরিমাণ করা যায় না। কিন্তু ইহাতে কি কাহারও অপরাধ অর্থাৎ অগ্নিব্রহ্ম বা অগ্নি' রুষ্ট হইতেছেন এরূপ বােধ হইতেছে? অজ্ঞানতা বশতঃ অপরাধ এবং অপকার বােধ না হইলেও চক্ষু মনের অগােচরে অপরাধ এবং অপকার যে হইতেছে তাহাতে আর সন্দেহ নাই। অগ্নিব্রহ্মে ঘৃতাহুতি ইত্যাদি অৰ্পণ করিলে সেই অপরাধ এবং অপকার খণ্ডন হয়। পরম হংস স্বামী এমন পর্যন্ত বলিয়া গিয়াছেন যে, ‘অক্ষম ব্যক্তি (অগ্নিব্রহ্মে ঘৃতাহুতি দিতে অসমর্থ ব্যক্তি নিজের দৈনিক আহারের আহারীয় দ্রব্য কিঞ্চিৎ উনুনে আহুতি দিলে তিনি - - -