পাতা:অজাতশত্রু শ্রীমৎ স্বামী ব্রহ্মানন্দ মহারাজের অনুধ্যান - মহেন্দ্রনাথ দত্ত.pdf/১০৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৯০ অজাতশত্রু শ্রীমৎ স্বামী ব্রহ্মানন্দ মহারাজের অনুধ্যান ক্যাথলিক খ্রীষ্টিয়ানদিগের সর্বপ্রধান ধর্মগুরুদের ভিতর দেখতে পাওয়া যায় যে, মাথার ব্রহ্মতালু মুণ্ডন করে চতুর্দিকে বর্তৃলাকার চুল রাখে। তাকে ‘Papal tonsure (পেপাল ট ) বলে।” ব্রহ্মানন্দ হাসিয়া আমায় বলিল, “কি জানি, মাথার মাঝখানের চুল উঠে যাচ্ছে। কারণ নির্ণয় করিতে হইলে ইহা স্পষ্ট দেখা যায় যে, যাহারা জপ-ধ্যান করেন অর্থাৎ উচ্চ শ্রেণীর চিন্তা করেন এবং মন ‘সহস্রায়’ আনিতে পারেন, তাঁহাদিগের ব্রহ্মতালু সব সময় উষ্ণ থাকায় সে স্থানের চুল উঠিয়া যায়। ইহা হইল মহাধ্যানীদিগের এক চিহ্ন। যাহারা দার্শনিক চিন্তা লইয়া মস্তিষ্ক আলোড়িত করেন, তাঁহাদিগের মস্তকের সম্মুখদিকের চুল উঠিয়া যায়। ইহাকে “Grecian head (গ্রীসিয়ান হেড) বলা হয়। গ্রীক দার্শনিকদিগের মস্তকের এইরূপ লক্ষণ ছিল। প্রসঙ্গক্রমে এস্থলে উল্লেখযােগ্য যে, বুদ্ধদেবের ব্রহ্মতালু উচ্চ ছিল। এইজন্য, প্রস্তর মূর্তিতে বুদ্ধের মস্তকের উপরে একটা ঝােটনের মত দেওয়া হয়। বুদ্ধের মূর্তির বর্ণনায় আছে—Shaved, curly hair-চূর্ণকুন্তলবিশিষ্ট মুণ্ডিত মস্তক। অর্থাৎ বুদ্ধের মাথার চুল কোঁকড়ান-কোকড়ান ছিল এবং তিনি উহা মুণ্ডন করিতেন। বরানগর মঠ বা আলমবাজারের মঠে যুবা শশী সমস্ত কার্য্য পর্যবেক্ষণ করিত এবং সকলেই তাহার আদেশমত চলিত। এখন দেখিলাম, ব্রহ্মানন্দ সকল বিষয়েই নিজের