পাতা:অজাতশত্রু শ্রীমৎ স্বামী ব্রহ্মানন্দ মহারাজের অনুধ্যান - মহেন্দ্রনাথ দত্ত.pdf/১৪৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১৩: অজাতশত্রু শ্রীমৎ স্বামী ব্রহ্মানন্দ মহারাজের অনুধ্যান পূৰ্বস্তৃতি লােপ ও পূৰ্বস্মৃতি জাগ্রত করিবার ক্ষমতা ব্রহ্মানন্দ নিজের ছেলেবেলাকার এমন অনেক কথা হাস্যকৌতুকচ্ছলে আমায় বলিত, যাহা সাধারণ লােকে বিস্মৃত হইয়া যায়। দেখিতাম, তাহার এই কথাগুলি নির্ভুল ও নিশ্চিত হইত। ইহা কিরূপে সম্ভব হইতে পারে ? এস্থলে প্রশ্ন হইতে পারে ‘স্মৃতি’ ও ‘বিস্মৃতি’ কাহাকে বলে ? | মনস্তত্ত্ব বুঝিতে হইলে, পরিদৃশ্যমান জ্ঞান-ক্ষেত্র বা Conscious plane, অতীত জ্ঞান-ক্ষেত্র বা Sub-conscious plane এবং অতীন্দ্রিয় জ্ঞান-ক্ষেত্র বা Super-conscious plane - এই তিন স্তরের বিষয় কিছু বুঝা আবশ্যক। যে সকল চিন্তা অভ্যন্তর হইতে উদ্ভূত হইতেছে বা বাহ্যিক জগৎ হইতে যে সকল চিন্তাধারা বা শক্তিধারা প্রতিঘাত হইতেছে, সেই সকল প্রতিঘাত বা চিত্র বর্তমান কালের জন্য প্রতিফলিত ও প্রতিবিম্বিত হইতেছে। এই ক্ষেত্রে বর্তমান কালের যে সকল চিন্তা, সে সকলই প্রস্ফুটিত হয়; কিন্তু বর্তমান অতীত হইলে, কাল যেমন অতীত বা পুরাতন অবস্থায় চলিয়া যায়, সেইরূপ, সমস্ত চিত্র বা প্রতিঘাত মনের নিম্নস্তরে, অতীত বা অন্তঃস্তরে চলিয়া যায়। প্রত্যেক চিত্র বা প্রক্রিয়া এক একটা স্নায়ুতে প্রতিঘাত হইয়া থাকে। কার্য্যের সমাধান হইলে, সেই স্নায়ুর প্রক্রিয়া সেই সময়ের মত বন্ধু হইয়া যায়, অর্থাৎ, প্রদীপ্ত বা জাগ্রত স্নায়ু সুষুপ্ত অবস্থায় চলিয়া যায়। কোন প্রতিঘাত বা চিত্র