'। । - - অজাতশত্রু শ্রীমৎ স্বামী ব্রহ্মানন্দ মহারাজের অনুধ্যান ১৫৩ ক্ষমতা ছিল। কার্যের অনুরােধে নিতান্ত আবশ্যক হইলে, সে মামলা মকদ্দমাও করিতে পারিত। পুরীধামে দেখিয়াছি যে, এমন কি উকিলরা পর্যন্ত আসিয়া তাহার পরামর্শ লইয়া যাইত। ঠিক যেন সে একজন পুরাদস্তুর জমিদার এবং জমিদারী সেরেস্তার কার্যাদি তাহার জানা আছে। কাহাকেও না চটাইয়া, কি করিয়া অর্থাদি সংগ্রহ করিতে হয়, তাহাও তাহার বেশ জানা ছিল। সে পুরাতন জমিদার বংশের ছেলে বলিয়া এই সকল ভাব তাহার ভিতর দেখা গিয়াছিল। ১৯০১ খৃষ্টাব্দ হইতে চারি পাঁচ বৎসর পর্যন্ত ব্রহ্মানন্দ একেবারেই স্নান করে নাই, কেবলমাত্র গামছাটা নিংড়াইয়া গা-টা মুছিয়া ফেলিত; কিন্তু টাইফয়েড অসুখের পর হইতে সে স্নান করিতে লাগিল। চৌকি পাতিয়া বসিয়া তেল মাখিত, অপরে স্নান করাইয়া দিত – ঠিক যেন একজন গ্রাম্য জমিদার । দুপুরবেলা ভাতের সঙ্গে লুচি খাইত ; রাত্রে দুধ, ফল ও মিষ্টান্নাদি খাইত। দুধে কখনও কখনও সে নুন দিয়া খাইত। এ বিষয়ে জিজ্ঞাসা করিলে বলিত, “দুধে মুন দিলে দুধের দোষ কেটে যায়। এসকল হইল তাহার পৈত্রিক গুণ। বংশের ধারা (Heredity) কেহ লােপ করিতে পারে না। ব্রহ্মানন্দের ভিতর তাহার বংশের ধারাটী খুব ফুটিয়া উঠিয়াছিল। দেখিলেই, প্রথম মনে হইত, যেন একজন বড় জমিদার বসিয়া আছেন। অজাতশত্রু কথাবার্তায় ব্রহ্মানন্দ অতিশয় ভদ্র আচরণ করিত। যাহাকে