—কেন যাবেন না? আমি মাথা কুটবো আপনার সামনে এখুনি। আসুন।
—না।
—তবে দেখবেন? এই দেখুন—
সত্যিই ও হঠাৎ নিজর শরীরকে মাটির দিকে ঝুঁকিয়ে মেজের ওপর হাঁটু গেড়ে বসতে যেতেই আমি তাড়াতাড়ি বলে উঠলাম—থাক্ থাক্, যাচ্ছি আসরে—তুমি যাও!
পান্না কোনো কথাটি আর না বলে ভাল মানুষের মত চলে গেল।
একটু পরেই নেপাল মশারি নিয়ে ঘরে ঢুকলো।
বললে—কোথায় চললেন? ঘরে কিসের গন্ধ!
—কি?
নেপাল মুখ ইতস্তত ফিরিয়ে নাক দিয়ে জোরে নিঃশ্বাস টেনে টেনে বললে—সেণ্ট মেখেছেন বুঝি? সেণ্টের গন্ধ।
—তা হবে।
পান্নার কাণ্ড। সস্তা সেণ্ট মেখে এসে ঘরময় এই কীর্ত্তি করে গিয়েছে। তবুও গন্ধটা যেন বড় প্রিয় আমার কাছে। ও যেন কাছে কাছে রয়েছে ওই গন্ধের মধ্যে দিয়ে।
বললাম—শোব না। একটু আসরে যাচ্ছি।
—কি দেখতে যাবেন ডাক্তার বাবু। যাবেন না।
—তা হোক, কানের কাছে গোলমালে ঘুম হয় না। তার চেয়ে আসরে বসে থাকা ভালো।