বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:অথৈজল - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১৩৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
অথৈজল
১৩৬

ভুল করেছি। পান্নার অমৃত উপস্থিতিতে এ ঘরের বাভাস ভরে আছে—হঠাৎ তার সেই অদ্ভুত ধরনের দুষ্টুমির হাসিটা স্পষ্ট ফুটে উঠলো আমার চোখের সামনে। মন বড় চঞ্চল হয়ে উঠলো।

 সে কি সাধারণ চঞ্চলতা?

 অমন যে আবার হয় তা জানতাম না।

 পান্না এখানে ছিল সে গেল কোথায়? সেই পান্না, অদ্ভুত ভঙ্গি অদ্ভুত দুষ্টুমির হাসি নিয়ে? তাকে আমার এখুনি দরকার। না পেলে চলবে না, আমার জীবনে অনেকখানি জায়গা যেন ফাঁকা হয়ে গিয়েছে, সে শূন্যতা যাকে দিয়ে পুরতে পারে সে এখানে নেই—কতদূর চলে গিয়েছে। আর কি তাকে পাবো না?

 পান্নার অদৃশ্য আবির্ভাব আমাকে মাতাল করে তুলেচে। চেয়ারটাতে সেদিন সে বসেছিল। এখান থেকে ডিস্‌পেনসারি উঠিয়ে দিতে হবে।

 পকেট খুঁজে দেখি মোটে দুটে টাকা। বিষ্ণু সাধুখাঁর দোকান পাশেই। তাকে ডাকিয়ে বললাম—দশটা টাকা দিতে পারবে!

 —ডাক্তারবাবু, প্রাতঃপ্রণাম। কোথায় ছিলেন?

 —বাড়ি থেকে আসচি। টাকা ক’টা দাও তো?

 —নিয়ে যান।

 তার দোকানের ছোকরা চাকর-মাথার এসে একখানা মোট আরার হাতে নিয়ে গেল। আমি সাইকেলখান ডিস্‌পেনসারির