পাতা:অথৈজল - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৪৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

; سxسمبر “অথৈমল’ a --তাদের অসীম ধন্যবাদ। বাড়ী গিয়ে ডাবের জল খেল্পে ঠাণ্ড হোতে বলে। নিমন্ত্রণের আসরে ভিন্ন গ্রামের বা লোকের সমাগম । দুতিনটি চাকর অভ্যাগতদের পদধৌত করবার জন্যে ব্যস্ত হয়ে ছুটোছুটি করাচে । মন্তবড় জোড়া সতরঞ্চি পড়েচে চণ্ডীমণ্ডপের দাওয়ায়। উঠোনজোড়া নীল সামিয়ান টাঙানো । একপাশে দুটি নতুন জলভরাতিত জালা, জালার মুখে পেতলের ঘাট, জালার পাশে একরাশ মাটির গেলাস । আমায় ঢুকতে দেখে মুখুজো জ্যাঠামশায় কেমন একটু অবাক হয়ে গেলেন। তখুনি সামলে নিয়ে আমার দিকে চেয়ে বললেন-আরো শশাঙ্ক যে ! এলো car -একটু দেরি হয়ে গেল জ্যাঠাবাবু। রুগীপাত্তর দেখে আসতে -ঠিক ঠিক, তোমার পাশার আজকাল-আচ্ছা, আমি একবার রায়াবায়ার দিকে দেখে আসি কি রকম হোল । --যাও যাও, তোমাদেরই তো কাজ বাবা । সেই থেকে বিষম খাটুনি শুরু করলাম । মাছের টুকরো কতবড় করে কাটা উচিত, চাটনিতে গুড় পড়বে না চিনি, বাইরের অভ্যাগতদের নিজের হাতে জলযোগ করানো, খাওয়ার আলগা করা, বালতি হাতে মাছের কালিয়া ও পায়েন্স শান্ধিবেশন, আবার এরই মধ্যে ভোজসভায় এক , গােঁয়ে।