বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:অদ্ভুত ফকির - প্রিয়নাথ মুখোপাধ্যায়.pdf/৩৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
অদ্ভুত ফকির।
৩৫

 এই বলিয়া আমি গৌরীবাবুর দিকে ফিরিলাম। দেখিলাম, তিনি আমার কথায় শিহরিয়া উঠিলেন। তখন আমি তাঁহাকে বলিলাম, “গৌরীবাবু! আপনি আমার কথায় চমকিত হইতেছেন? আশ্চর্য্য নহে। কিন্তু আপনার এই ভয়ানক শত্রু এতকাল আপনারই আশ্রয়ে ছদ্মবেশে বাস করিতেছিল। যদি আপনার ম্যানেজার তাহাকে খুন করিয়া থাকে, তাহা হইলে সে বাস্তবিকই আপনার উপকার করিয়াছে,—অপকার করে নাই। ইহা আমার অনুমান মাত্র; আমি এখন ঠিক করিয়া কোন কথা বলিতে পারিতেছি না।”

 আমার কথা শুনিয়া খাঁ সাহেব অত্যন্ত আশ্চর্য্যান্বিত হইল। সে আমার মুখের দিকে একদৃষ্টে চাহিয়া রহিল। গৌরীবাবুর মুখ বিবর্ণ ও পাংশুবর্ণ ধারণ করিল। তিনি কিছুক্ষণ পরে জিজ্ঞাসা করিলেন, “হুজুর! তাহা কেমন করিয়া সম্ভব হইতে পারে। হরশঙ্কর আমার যমজ ভাই। আমার আকৃতির সহিত তাহার আকৃতির কোন প্রভেদ নাই। আমরা উভয়েই দেখি এক রূপ। ফকিরের চক্ষু ও মুখ হরশঙ্করের মত নহে। আপনি স্বয়ং ফকিরের চক্ষু ও মুখ দেখিয়াছেন; তাহারা কখনও আমার মত নহে।”

 আমি ঈষৎ হাসিয়া উত্তর করিলাম, “লোকে—সাধারণে সেইরূপই মনে করিবে বটে। কিন্তু আমি যেরূপ বুঝিয়াছি, তাহাতে আমার দৃঢ় বিশ্বাস যে, ফকির সামান্য লোক নহে। সে অনেক প্রকার ছদ্মবেশ ধারণ করিতে পারিত।”

 গৌরী বাবু কোন উত্তর করিলেন না দেখিয়া আমি বলিতে লাগিলাম, “এই দুই পাত্রে যে দুই প্রকার তরল পদার্থ দেখিতেছেন, উহাদ্বারাই সে আপনার সর্ব্বাঙ্গ রঞ্জিত করিত। আর চক্ষু