পাতা:অদ্ভুত ভিখারী - প্রিয়নাথ মুখোপাধ্যায়.pdf/২৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
অদ্ভুত ভিখারী।
২৭

ইতিপূর্ব্বে জানিতেন না। আজ আপনারা এই তিনজনে প্রথমে আমার এই অদ্ভুত কাহিনী শ্রবণ করিতেছেন। আমার পিতা কোন একটি গবর্ণমেণ্ট বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ছিলেন। তিনি একজন পণ্ডিত লোক। আমিও পিতার কৃপায় যথেষ্ট বিদ্যা শিক্ষা করিয়াছিলাম। বিদ্যা শিক্ষা করিলেই যে অর্থ উপার্জ্জন হয়, এমন কোন কথা নাই। আমি যদিও যথেষ্ট বিদ্যালাভ করিয়াছিলাম, তথাপিও অনেকদিন পর্যন্ত একটা পয়সার মুখ দেখিতে পাই নাই। অবশেষে অনেক কষ্টের পর একখানা খবরের কাগজের সম্পাদকপদে প্রতিষ্ঠিত হইলাম। একদিন আমি এই সংবাদ পাইলাম যে, যে লোক ভিক্ষাবৃত্তি সম্বন্ধে একটী উৎকৃষ্ট প্রবন্ধ রচনা করিতে পারিবেন, তিনি পুরষ্কৃত হইবেন। আমি সেই সুযোগ ত্যাগ করিতে পারিলাম না। মনে করিলাম, কেবল স্বকপোলকল্পিত কতকগুলি আবর্জ্জনা না লিখিয়া প্রকৃত তথ্য অনুসন্ধান করিয়া এই কার্য্যে নিযুক্ত হওয়াই কর্ত্তব্য। আমি পূর্ব্বে একটি সখের থিয়েটারে কার্য্য করিতাম। ছদ্মবেশ আমার চির অভ্যস্ত ছিল। ছদ্মবেশে আমি এমন সিদ্ধহস্ত ছিলাম যে, আমাকে আমার অত্যন্ত আত্মীয়, এমন কি, আমার পিতা মাতা পর্য্যন্ত চিনিতে পারিতেন না। প্রবন্ধ লিখিবার সময় আমার সেই সকল বিষয় স্মরণ হইল। আমি তখন ছদ্মবেশ ধারণ করিলাম। এক অদ্ভুত আকৃতি করিয়া রাজধানীর প্রশস্ত পথে আসিয়া দণ্ডায়মান হইলাম। যে অকৃতিতে আমি সকলের দয়া উদ্রেক করিয়াছিলাম, তাহার আর অধিক কি বর্ণনা করিব। আমার সেই অদ্ভুত কদাকার মূর্ত্তি আপনারা স্বচক্ষেই দেখিতে পাইয়াছেন। সেই কদাকার