দ্বিতীয় পরিচ্ছেদ।
নরেন্দ্রকৃষ্ণের স্ত্রীর মাতুলালয় সহরের মধ্যে। নরেন্দ্রকৃষ্ণ বাহির হইয়া যাইবার পর তিনি সংবাদ পান যে, তাহার মাতুল অতিশয় পীড়িত, এমন কি, কখন তাহার মৃত্যু হয়, তাহার স্থিরতা নাই। আরও জানিতে পারেন যে, মৃত্যুর পূর্ব্বে তাহার মাতুল তাহাকে একবার দেখিবার প্রার্থনা প্রকাশ করিয়াছেন, বিলম্ব হইলে তাহার সহিত সাক্ষাৎ হইবার সম্ভাবনা নিতান্তই অল্প। সুতরাং বাধ্য হইয়া স্বামীর বিনা অনুমতিতেই তাহাকে মতুল দর্শন নিমিত্ত গমন করিতে হয়। একজন পরিচিত গাড়োয়ানকে ডাকাইয়া ও তাহার একমাত্র পুত্রকে সঙ্গে লইয়া তিনি মাতুলালয় উদ্দেশে গমন করেন। সেই স্থানে উপস্থিত হইয়া মাতুলকে শেষ দর্শন দিয়া সন্ধ্যার প্রাক্কালে তিনি পুনরায় আপন বাড়ীতে প্রত্যাগমন করিতে থাকেন। স্বামির বিনা অনুমতিতে তিনি গমন করিয়াছেন, সুতরাং সেই স্থানে রাত্রিবাস করিতে তাহার সাহস হয় না, বিশেষ যাইবার সময় বাড়ীর কোনরূপ বন্দোবস্ত করিয়া যাইবারও সাবকাশ পান নাই, কাজেই তাহাকে প্রত্যাগমন করিতে হয়; ইচ্ছা ছিল, যদি তাহার মাতুল আরও দুই এক দিবস জীবিত থাকেন, তাহা হইলে তাহার স্বামীকে বলিয়া ও সুবিধা হইলে তাহার স্বামীকেও লইয়া যাইয়া পুনরায় মাতুলালয়ে গমন করিবেন।