আদিকাণ্ডে তৃতীয় অধ্যায়। ২১ উৎপতি। তপস্যায় সে দেবর্ষি ছিলেন বসিয়া। কশ্যপের মহা হৃদে যোগে মন দিয়া ৷ দীর্ঘ কাল পরি শ্রান্ত যোগে দিয়া মন । মিলিতাক্ষী উর্ব্বশীরে করে নিরীক্ষণ। তাহাতে তাহার রেত হইল পতন । বনের ভূষিত মৃগী করিল ভক্ষণ। বারিতে পড়িল রেত বারি সহ খায়। অমোঘ ঋষির রেতে মূগি গুবী তায় ত্রিলোকের কর্ত্ত ব্রক্ষা করিলা সৃজন। দেব কন্যা মৃগী সেই শুনহ রাজন ! মুনির আগ্রেতে পুত্র প্রসব হইল। ত্যজিয়া আপন দেহ স্বর্গে মৃগী গেল। অমর ঋষির পুত্র দেবতা নির্মিত। মহা ঋষি মৃগী অংশে হইল! উদিত৷ পিতৃ অংশে ঋবি তিনি মাতৃ অংশে শৃঙ্গ। এরূপে হইল তার নাম ঋষ্য শৃঙ্গ । তপ্লোনিষ্ঠ মহা ঋষি বনে বৰ্দ্ধমান। জন্মাবধি মহা নি তেজস্বী বিশ্বান | বনেতে হইয়া জন্ম বন পশু হতে। লোকের সমাজ তেই না দেখে পূর্ব্বেতে। পিতা বিনা অন্য জন না দেখে কখন । এ কারণ ব্রহ্ম চর্ঘ্যে সদা তাঁর মন । অতএব তব সখা পূর্বে মহামতি। বিফল দেখিয়া যজ্ঞ প্রজার রক্ষাতে । করিলা যে সর্ব্ব যজ্ঞ ব্রাহ্মণ কহিল । বিফল দেখিয়। তাহা ব্রাহ্মণে ত্যজিল ৷ পুরোহিতে জিজ্ঞাসা যে করিল। রাজন। রাজ্যের মঙ্গল ষাতে বরিষে छौदन ॥ नब বর্ষ রাজ্যে নাহি হইল বর্ষণ। ইহার উপায় বল। কি করি এখন। প্রজার যে রূপ কষ্ট অধিক পীড়ন ।
পাতা:অধ্যাত্ম রামায়ণ - মহেশচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.pdf/২৫
অবয়ব