আদিকাণ্ডে তৃতীয় অধ্যায়। ২৫ যদি লহ তপোধন। হেনকালে দুরে দেখে বিভাণ্ডক মুনি । তপস্যা হইতে গৃহে আসিছেন তিনি। কপট তপস্বী তবে মাগিল বিদায়। সন্ধ্যাছলে ছদ্মবেশী নিজ স্থলে যায়। বিভাণ্ডক আসি পুন্ত্রে বিষগ্ন দেখিয়া । জিজ্ঞাসে কারণ ভারে বিস্মিত হইয়া ঋষ্যশৃঙ্গ বলে তাত কর অবধান । তপস্যায় যদা তুমি করিলে প্রয়ান আসিলেন তদা এক ঋষি তপোধন । মনোহর রূপ তার মধুর বচন। অতিথি করি তাহারে দিয়া বন ফল। সম্ভাষণ উভয়ের হইল সকল ৷ বদন সরোজ সম ললাটে অরুণ। তপস্যার ফল বক্ষে করেন ধারণ সুবেশী সুঠাম হেরি ভূষিত কাঞ্চন। সুনির্ম্মল জটা ভার মস্তকে ধারণ ৷ কর্দম সমান দিল মৃত্তিক দেশের। না খাই এমত মিষ্ট গুন মুনিবর। চক্রাকার দিল হাতে বৃক্ষের পল্লব। নানাজাতিগোলাকার বৃক্ষের উদ্ভব। এমত মধুর মিষ্ট না খাই কখন। যদি আজ্ঞ। কর পিতা দেখি সে ভৰন । বিভাণ্ডক বলে তাত শুন ঋষ্যশৃঙ্গ। কদাপি এমন জনে না করিহ সঙ্গ মায়াপি রাক্ষসী সর্ব্ব চরে বনে বনে । হরিয়া লইয়া যায় মুনি পুত্র গণে ॥ ধর্ম্ম নষ্ট করে তারা ধর্ম্ম সনাতন। এমন জনের সনে না থেকে কখন ৷ কদর্ঘ্য সকল কর্ম্ম সদা কদাচার। হারাবে তাদের সনে ঋষি ব্যবহার । অকালে হুইবে মৃত্যু শুন বাছাধন । হারাইলে সর্ব্ব জ্ঞান পাপেতে পতন । প্রভাত হুইল নিশি উদিত অরুণ ।
পাতা:অধ্যাত্ম রামায়ণ - মহেশচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.pdf/২৯
অবয়ব