৫৪ আদি কাণ্ডে ষষ্ঠ অধ্যায় । সীতা নুপুর চরণে। অরুণ সদৃশ বস্ত্র করিয়া ধারণে | বস্ত্রে আচ্ছাদিত র্তার পীন পয়োধর । কোটি চন্দ্র দীপ্ত করে রূপ মনোহর সকল রমণী মিলি জানকী লইয়া । সমপণ শ্রীরামেরে করিলা আনিয়া | রাজার রমণী সবে হয়ে আনন্দিত। নানা আভরণে সবে হইয়। ভূষিত গৰাক্ষ দ্বার হইতে করে নিরীক্ষণ শশধর পতি রাম মদন মোহন কেহ দেখে শরীরেতে ব্রহ্মাগু বিরাজে । কোটি২ স্বর্য্য কেহ দেখে তার মাঝে । কেহ বলে অতুল্য সে উপমা রহিত । কেহ বলে রূপে গুণে অব্যক্ত প্রমিত জনক রাজন পরে কহে মুনিবরে । শীঘ্রগামী দুত যায় অযোধ্যা নগরে ৷ সমাচার দেও মুনি রাজা দশরথে। শীঘ্রকরি আসিবারে পুত্র লয়ে রথে সঙ্গে করি আনে রাজা দার মন্ত্রিগণ । বিবাহ সঙ্কপে লক্ষ্মী প্রাপ্ত নারায়ণ এতেক শুনয় মুনি রাজার বচন । শীঘ্রগামী দুত এৰু করেন প্রেরণ । অযোধ্যানগরে দুত হয়ে উপনীত । প্রণি পাত দশরথে করিয়া ত্বরিত। রামের কল্যাণ বাভা ক-র নিবেদন । তাড়ক মরণাবধি ধনু বিভঞ্জন ৷ রমের শুনিয়; শুভ রাজা দশরথ । আনন্দে কহেন শীঘ্র সাজাইতে রথ | মিথিলী যাইতে সবে হও অগ্রসর হস্ত আশ্ব পদাতিক সহ অনুচর শীঘ্রগতি আন রথ করিয়া সুজন । মিথিলা নগরে অদ্য করিব গমন ; বশিষ্ঠ অগ্রেতে যান দারা অগ্নি লয়ে ।
পাতা:অধ্যাত্ম রামায়ণ - মহেশচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.pdf/৫৮
অবয়ব