পাতা:অধ্যাপক - সুরেন্দ্রনাথ দাশগুপ্ত.pdf/২০৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ఫty অধ্যাপক হ’ল শ্রেষ্ঠ দান, শ্রেষ্ঠ ভিক্ষা । কিন্তু আমাদের মধ্যে প্রবেশ করেছে ইউরোপীয় অর্থ-মর্য্যাদা । তাই আমরা ত্যাগের মহিমা বিচার করি অর্থের পরিমাণগত ত্যাগের দ্বারা, ত্যাগ-প্রবৃত্তির আতিশয্যের দ্বারা নয় বা ত্যক্ত ধনের উপকারিতার দ্বারা নয় । আমাদের শাস্ত্রে বলে— ত্যাগটা অস্তরের বস্তু, ত্যাগ মরণের ধর্ম্ম নয়, জীবনের ধর্ম্ম, অমৃতত্বের ধর্ম্ম । ত্যাগের দ্বারা পাওয়া যায় অমৃতত্ব, ত্যাগের দ্বারা পাওয়া যায় শ্রেষ্ঠ ভোগ । লোভের দৈন্যে যে চিত্ত থাকে শতচ্ছিদ্র হয়ে সেই পূর্ণপাত্র থেকে প্রাপ্তি যায় জলধারার বেগে নিঃস্থত হয়ে । ত্যাগের প্রলেপে, অস্তরের রসে পাত্র আপনি হয়ে ওঠে পূর্ণ। সে জন্য শাস্ত্র বলেছে—ত্যাগের দ্বারা ভোগ করবে । কিন্তু আমাদের দেশে দেশহিতৈষণার সমস্ত ত্যাগবৃত্তিকে জাগ্রত করে তোলবার চেষ্টা হয়েছে শাসকদের প্রতি বিদ্বেষবহ্নিকে সন্ধুক্ষিত করে তোলবার জন্য । দেশহিতৈষণার সিংহাসনে বসানো হয়েছে রোষ এবং দ্বেষ । এষ্ট শাসকদের ব্যবহারকে ব্যর্থ করবার জন্য যে উপায়ই আমরা অবলম্বন করি না কেন, সেইটিকেই অনেক সময়ে মনে হয় দেশহিতৈষণার অমোঘ মন্ত্র । কোনও বিষয়ে কোনও ব্যক্তি যখন আপন মতপ্রকাশের জন্য ক্ষয়ক্ষতিলাঞ্ছনা বরণ করেন তিনি চিরদিন নমস্ত । কিন্তু যখন এই ক্ষয়ক্ষতি কেউ বরণ করে অপরের প্রতি দ্বেষকে চরিতার্থ করবার জন্য তখন তাকে আর এই মহাসিংহাসন দেওয়া যায় না । ক্রোধের বশবর্ত্তী হয়ে সহস্ৰ সহস্ৰ লোক প্রত্যহ ক্ষয়ক্ষতি সহ করছে। সে ক্রোধ কোন বিষয়কে অবলম্বন করে’ হয়েছে, পারিবারিক গগুীতে হয়েছে, ব্যবহারক্ষেত্রে হয়েছে, কি জাতিগত বিদ্বেষের জন্য হয়েছে, যেভাবেই হোকৃ না কেন, শক্র হিসাবে যারই প্রতিম্পৰ্দ্ধিতায় আমরা দাড়াই না কেন, সেই প্রতিস্পদ্ধিতার ফলে যে ক্ষয়ক্ষতি আমরা ভোগ করি তা যথার্থ