পাতা:অধ্যাপক - সুরেন্দ্রনাথ দাশগুপ্ত.pdf/২০৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

૨૦ ૦ অধ্যাপক বিক্ষোভ উঠুল চরম সীমায়। প্রধান নেতার আদেশ ছিল অহিংস প্রতিরোধ। তাই দলে দলে ছেলেরা গিয়ে শুয়ে পড়ল গেটের সামনে । পুলিশ এসে ঘা কতক করে রুলের বাড়ি দিয়ে তাদের অহিংস বুদ্ধিকে জর্জরিত করে তুলল এবং চ্যাংদোলা করে prison vanএ ভর্ত্তি করে’ তাদের চালান করতে লাগল লালবাজার । দরজার সামনে অহিংস প্রতিরোধের অনেক ফ্যাসাদ দেখে ছেলেরা কলেজের হাতার মধ্যে অহিংস প্রতিরোধ স্থরু করল । বলা বাহুল্য, পুলিশের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ অহিংস হ’লেও সতীর্থদের সম্বন্ধে সকল সময় অহিংস থাকৃত না। কিন্তু ব্যাপার এখানে শেষ হ’ল না । শ্বেতমুখ নন্দীভৃঙ্গীরা কলেজের হাতার মধ্যে ধাওয়া করে গিয়ে ছেলেদের ধরপাকড় আরম্ভ কবে? দিল। একটা ছেলের মাথায় দিলে বাড়ি, মাথা কেটে একটু রক্তপাত হ’ল । রব উঠুল যে দোতলা থেকে সাহেব অধ্যক্ষ দেখিয়ে দিয়েছিল সার্জেণ্টদের ঐ ছেলেটিকে মারবার জন্য । সাগরের বন্যা উঠল তুমুল হয়ে কলেজের মধ্যে । কাতারে কাতারে ছেলে দাড়িয়ে গেল কলেজের প্রাঙ্গণে, সোপানে এবং বারান্দার উপরে । এই ভিড়ের প্রধান কেন্দ্র হ’ল অধ্যক্ষের উপবেশন-গৃহের দরজায় । ‘মাব মার ধ্বনি উঠতে লাগৃল চারিদিকে । ছেলেদের ঘন ঘন ধ্বনি উঠতে লাগল—অধ্যক্ষের রক্ত চাই, সেই রক্ত মেশাতে হবে ঐ আহত ছেলেটির রক্তের সঙ্গে । পুণ্যব্রত ছাত্রদের সেদিন প্রধান তৰ্পণ হবে অধ্যাপকের রক্তে । অনেক মান্তগণ্য অধ্যাপক চেষ্টা করলেন ছেলেদের থামাতে, তাদের ভাগ্যে জুটুল কীল, চড়, চাটি । স্বয়ং ডিরেক্টর সাহেব উপস্থিত হলেন রণাঙ্গনে কিন্তু এসেই দেখলেন যে তার সেখানে উপস্থিতি একান্ত misdirection । তিনি পলায়ন করলেন অশুচিগৃহের অশুচি সোপান দিয়ে । অধ্যাপক জীবনে ছাত্রদের হাতে লাঞ্ছনাভোগ করবার সৌভাগ্য