পাতা:অধ্যাপক - সুরেন্দ্রনাথ দাশগুপ্ত.pdf/২৪১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

২৩৪ অধ্যাপক অধ্যক্ষ বল্পেন—“না, আমি কোনটিকেই নূ্যন বলে মনে করি না । আমি শুধু এইটুকু বলি যে এই কাজে নামার পূর্ব্বে মেযেদের আমার সঙ্গে বিচার করে দেখা উচিত ছিল যে পূর্বের দু'টির সঙ্গে অবিরোধে শেষেরটি সম্পন্ন করা যায় কিনা । হয়ত তা সম্ভব হ’ত যদি মেঘেরা যথার্থ ভক্তি ও শ্রদ্ধার চক্ষে আমাদের দেখত । সমাজ, রাষ্ট্র প্রভৃতি বড় বড় কথা বাদ দিলেও একটা সহজ কথা রয়েছে যে ছাত্রীরা আমার আদেশ অমান্য করে বিদ্যালয়ের নিয়ম ভেঙ্গেছে ।” - মুকুমার আবার বল্লে—“কিন্তু সেজন্য কি তাদের ক্ষমা করা যায় না ?” অধ্যক্ষ বল্লেন—“নিশ্চয় ক্ষমা করতে হবে, নইলে কি বলে শত শত অপরাধ নিয়ে আমরা প্রভূ যীশুর চরণমূলে ক্ষমার দাবী করব ? কিন্তু ক্ষমা পাওয়ার পূর্ব্বে চাই ক্ষমা চাওয়া, চাই অনুতাপ । বিনা অমুতাপে কেউ ক্ষমার যোগ্য হয় না ।” স্বকুমার দেখলে যে আর তর্ক করা বৃথা । অধ্যক্ষের দৃঢ়তা এবং সদাশয়তা দেখে সে মুগ্ধ হয়ে ফিরে গেল, বলবার উপযুক্ত আর কোনও কথা তার মুখে যোগাল না । মুকুমার যখন ছাত্রীবাহিনীর অগ্রণীরূপে স্বজাতাকে দেখল তথম পুলিশের সঙ্গে দ্বন্দ্ব আশঙ্কা করে। তার চিত্ত হয়ে উঠেছিল আতঙ্কিত। মুকুমার সাহসী ছিল কিন্তু কর্ত্তব্য নির্ণয় করতে তার হ’ত বিলম্ব । তার শক্তি ছিল বঁধে ঘেরা শক্তি, বাধ কেটে খাল না করে দিতে পারলে সে শক্তি আপন নিগমপথ খুজে পেত না । নদীর জল যখন অকস্মাৎ তার গতির পথে একটা পর্ব্বতে প্রতিহত হয় তখন সে ছলছল করে বেড়ে উঠতে থাকে, ফিরেও যেতে পারে না, অগ্রসরও হতে পারে না, কিংবা পাশ্বস্থ পথেও প্রবাহিত হতে পারে না । সে থাকে থমকে স্বকুমারেরও মনের