পাতা:অধ্যাপক - সুরেন্দ্রনাথ দাশগুপ্ত.pdf/২৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অধ্যাপক ミ> না, হরিণীর লোচনের সঙ্গেও উপমা দেওয়া যায় না । তার প্রেক্ষিতকে হয় ত চটুল সফরোৎবর্তনের সঙ্গে কিংবা খঞ্জনার নৃত্যের সঙ্গে উপমিত করা যেতে পারে । সেই চোখ যেন সর্ব্বদাই কোনও গুপ্ত কিছুর অন্বেষণে ঘুরছে। তাতে কৌতুক তেমন প্রকাশ পায় না যেমন প্রকাশ পায় আগস্তুককে আবিষ্কার করার চেষ্টা । নাকটি তেমন স্থ চালো নয়, বুদ্ধির শুচিতার চেয়ে তাতে প্রকাশ করে বুদ্ধির প্রাথর্ঘ্য । ভুরু দু’টি টানা, কপালটি সরু এবং কাণ দু’টি অপেক্ষাকৃত ছোট । সমস্ত শরীরের মধ্যে একটা সজাগ ভাব, একটা স্বাভাবিক লীলায়িত পটুতা প্রকাশ পায় । সাজসজ্জার বাহুল্য নেই কিন্তু পারিপাট্য আছে । কপালের কুস্কুমেব ফোটাটি থেকে আরম্ভ করে হাত রাখার ভঙ্গি পর্য্যস্ত কোথাও কোন অনবধানতা নেই । মুজাতার চেয়ে সে বয়সে কিছু বড়, কিন্তু তার চেয়ে অনেক বেশী বড় মনে । তার মুখের দিকে তাকালে যে কোন অভিজ্ঞ ব্যক্তি অনায়াসেই বলতে পারত যে সে আর যাই হোক, মুগ্ধ নয় । সে তার দেহ ও মনকে যে বেশ ভাল করে জানত তার স্বচ্ছন্দ প্রকাশ ছিল তার মুখভঙ্গির মধ্যে । তার মুখে লাবণ্য ছিল প্রচুর কিন্তু সেই মাধুর্য্য ব্যাহত হয়েছিল তার শীর উগ্রতায়, অথচ সে ছিল অত্যন্ত মিষ্টভাষিণী । মিথ্যাকেও সে এমন করে প্রকাশ করতে পারত যে সত্যের চেয়ে তা হ’ত অনেক বেশী চিত্তাকর্ষক । তার পিতা করতেন কোনও মফঃস্বল সহরে ওকালতি এবং সৎ ও তদিতর উপায়ে কিছু অর্থও সঞ্চয় করে রেখে গিয়েছিলেন । তার মা তার পিসীমাকে নিয়ে থাকতেন কলকাতায় একটা বাসা ভাড়া করে । পড়াশুনার স্থবিধার জন্য সে নিজে প্রায়ই থাকৃত মেয়ে কলেজের হোষ্টেলে । সুজাতা আসবার আগে থেকেই সে পড়ত ঐ কলেজে । সুজাতাকে সে কি চোখে দেখল বলা যায় না । সে ছে৷ মেরে তাকে