পাতা:অধ্যাপক - সুরেন্দ্রনাথ দাশগুপ্ত.pdf/৩২৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অধ্যাপক ৩১৭ বিবিধ গ্রন্থ করেছিলেন তিনি পাঠ, কিন্তু পাঠ করে তিনি কখনও খুলী থাকতেন না, যা পড়তেন, চাইতেন তা অনুভবের সঙ্গে মিলিয়ে নিতে। বইয়ের মধ্য দিয়ে যা আমাদের কাছে আসে তা আসে কঠিন পাথরের মত হয়ে , তা জমা করলে হয় ভার, সে ভারে ছিন্ন হয় মনের থলি, ব্যথা করে তা ধারণ করে’ রাখতে ; কিন্তু অনুভবের সঙ্গে মেলাতে গেলেই সে সমস্ত শক্ত তুড়ি তরল হয়ে যায়, পরিপাক পেয়ে যায় যেন শরীরের রক্তের মধ্যে, মনের মধ্যে যেন প্রবেশ করে নাড়ীধাতুরূপে । যে প্রকৃতির মধ্যে আমবা বাস করি তার ফুল ফল, লতা বনস্পতি, জন্তু পাখী, এরা আমাদের একান্ত স্বাভাবিক বন্ধু, স্বাভাবিক জ্ঞাতি, এদের সঙ্গে হয়ে আছি আমরা আবদ্ধ ! বই পড়ে যারা উড়ো জ্ঞান আনতে চায় অথচ "চারিপাশের বস্তুর প্রতি যাদের কোনও দরদ নেই, তাদের মধ্যে স্বাভাবিক জ্ঞানের, স্বাভাবিক রতির প্রকাশ কোথায় ? অবিনাশবাবু হয় ত গভীর রাত্রে তার ঘরের ছাদের উপর বসে’ আকাশের নক্ষত্র অবলোকন করতেন । দিনের বেলা হয় ত ঋতুতে ঋতুতে আমাদের মাথার উপরে আকাশের তারালোকের যে নব নব আবির্ভাব ঘটে তার সঙ্গে তিনি আপন পরিচয় ঘটিয়ে তুলতে চেষ্টা করতেন । র্তার ছাদে একটা টেলিস্কোপ নিয়ত খাটানো থাকত, যখন চোখ দিয়ে পরিচয় না বুঝতে পারতেন তখন এই টেলিস্কোপ দিয়ে সমস্ত আকাশমণ্ডলীর সঙ্গে তিনি পরিচিত হতেন। এমএ পরীক্ষা পাশ করবার কিছুদিনের মধ্যেই তিনি গিয়ে যোগ দিয়েছিলেন মেডিক্যাল কলেজের Anatomy ও Physiologyর ক্লাশে । সেখানে গিয়ে গভীর উৎসাহের সঙ্গে নিজেব হাতে কাটাছেড়া করে তিনি দেখতেন প্রাণিলোকের জৈব প্রক্রিয়া, তৎপর হয়ে পর্য্যবেক্ষণ করতেন