পাতা:অধ্যাপক - সুরেন্দ্রনাথ দাশগুপ্ত.pdf/৩৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অধ্যাপক ՀԳ স্বজাত বল্লে—“কই, আমি তেমন কিছুই টের পাই না । কি ভাব মনে এল আর কি ভাব মনে আসতে দিলুম ন—তুই এ সব কি ইঙ্গিত করছিস্ ?” “তুই যে ইচ্ছা করে’ মনের ভাব চেপেছিস সে কথাত আমি বলছি না । তাই যদি হবে তবে আর কথা চাপা হ’ল কই ? মনের রঙ্গমঞ্চে যে ঢুক্ল তাকে ত দেখতেই পাওয়া গেল যে সে রাবণ এসেছে না হনুমান এসেছে । তাকে তখন চাপতে গেলে তার চাপ হ’ল কই ? কিন্তু যে ভাবটা খুব ভাল লাগে সেই ভাবটাকেই মানুষ সহজে স্বীকার করতে চায় না । সে যতক্ষণ থাকে অস্ফুট ততক্ষণ তার এমন পরিচয় থাকে না যার দাবীতে সে রঙ্গমঞ্চে ঢোকে। বঙ্গমঞ্চে যারা ভিড় করে আছে, পরিচয়ের অভাবে সে তাদের মধ্য দিয়ে ঠেলে’ নিজের পথ করে নিতে পারে না, উণ্টে ঠেলা খেয়ে নিজেই ছিটুকে পড়ে সাজঘরের মধ্যে । এই ঠেলাঠেলির ফলে হয় ত বা কোনদিন ছিটুকে রঙ্গমঞ্চের মধ্যে প্রবেশও করে ফেলতে পারে । তখনও তার পূর্ণ পরিচয়ের পরোয়ানা নেই । রঙ্গমঞ্চের কেউ পারে না তাকে চিনতে । নাটকে তার স্থান কোথায় তা সে নিজেই ভাল করে’ জানে না । পার্টও হয় নি তার তৈরী, তাই তাকে হটে চলে যেতে হয় আবার পিছনে। কিন্তু ঐ ষে এক-আধবার ছিটকে আসে তাতেই রঙ্গমঞ্চের সকলে মুখ চাওয়াচাওয়ি করে, একটু অস্বস্তিও বোধ করে—এটা আবার কে এসেছিল রে ? পরে যখন তার পূর্ণ পরিচয় নিয়ে সে আসে তখন রঙ্গমঞ্চে তার স্থান হয়ে যায় সুনিদিষ্ট । তখন আর তার পিছু হটবার ভয় থাকে না ।” “তোকে ত এতদিন সাদাসিধে বেশ ভাল মাহুষ বলে জানতুম, মনোরাজ্যের তত্ত্ব বিশ্লেষণ করতে শিখলি কেমন করে’ ?”