পাতা:অধ্যাপক - সুরেন্দ্রনাথ দাশগুপ্ত.pdf/৩৮৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

9ግw অধ্যাপক পরিষ্কারভাবে দেখা যায়। তিনি মুজাতাকে কাছে বসিয়ে জিজ্ঞাসা করলেন—“তুমি কেন এসেছ, মা, আমার কাছে ?” মুজাতা বল্লে—“আপনি আমাকে চেনেন না, তবু আপনার নাম শুনে সাহস করে এলুম আপনার কাছে । আমার একটু পরিচয় আগে আপনার কাছে দেওয়া আবশ্বক ৷”—এই বলে সে আপনার ছোট জীবনের প্রধান কথাগুলি তাকে সংক্ষেপে জানাল । তারপর বল্লে-- “আমার জীবনে প্রধান উপদ্রবটাই হচ্ছে আমার হৃদয়ের চাঞ্চল্য ও অস্থিরতা। সাধারণ দশজনে যেমন লেখাপড়া করে সে রকম আমিও করেছি এবং বরাবরই পরীক্ষার যাচাইয়ে প্রথম স্থান পেয়েছি কিন্তু আমার মধ্যে নিরস্তর একটা আকুল আকুতি জন্মাচ্ছে—ততঃ কিম, ততঃ কিম্। যেটুকু জীবন আমি অতিক্রম করেছি সেটুকুতে যা কিছু লাভ করেছি সমস্তই মনে হচ্ছে অর্থহীন ।” অধ্যাপক বল্পেন—“তুমি দেখছি প্রাচীন মৈত্রেয়ীর মত ব্যাকুল ংহয়ে উঠেছ। মৈত্রেয়ী বলেছিলেন—তেনাহং কিং কুর্য্যাম যেনাহ নামৃত স্যাম, তা দিয়ে আমি কি করব যা দিয়ে আমি অমৃতত্ব লাভ না করতে পারব ?” স্বজাত বল্লে—“এ কথাটা আমিও শুনেছি কিন্তু এর অর্থ বুঝি নি। এর মানে কি ?” অধ্যাপক বল্পেন—“তাকেই বলি আমরা মৃত যা অন্যের সঙ্গে হারিয়ে ফেলে তার অঙ্গাঙ্গিসম্বন্ধ, যেটা পাওয়া যায় সচলতার মধ্যে । যখন আমরা জীবিত থাকি তখন আমাদের দেহের সমস্ত যন্ত্রগুলি পরম্পরের সঙ্গে একযোগে কাজ করে । প্রত্যেকে পায় তার সার্থকতা, তায় আপন উদ্বেপ্তের সফলতা অপরের ক্রিয়ার মধ্যে । ফুসফুসের মধ্য দিয়ে বায়ু প্রবেশ করে যদি তার ভিতরের অক্সিজেন দিয়ে রক্তকে