পাতা:অধ্যাপক - সুরেন্দ্রনাথ দাশগুপ্ত.pdf/৪৯০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অধ্যাপক 8bሎ¢ করতে পারি সকলের সঙ্গে । কাউকে কাছে ঘেঁষতে দেব ?” স্বজাত বল্লে—“বেশ ত, তোর ধন তুই বাক্সে পুরে রাখিস, কেউ যাবে না সেখানে লোভ করতে । তা তুই এখন তোর সে ধন নিয়ে করবি কি ?” প্রভা আবার হেসে বল্লে—“সব করব । ধোওয়াব, মোছাৰ, খাওয়াব, শোওয়াব, পূজো করব, আবার আনব ধূলোর মধ্যে টেনে— আমার যা ইচ্ছে তাই করব”—বলে’ খিলখিল করে হাসতে লাগল। সুজাতা এই পতিসৌভাগ্যবতীকে দেখে খুলী হ’ল । কিন্তু পরক্ষণেই তাব মনে হ’ল যে এ ত প্রেম নয়, এ ত ভোগ আর খেলা । একটা ভোগের বস্তুতে মানুষ যখন তার দথলী স্বত্ব বিস্তার করে তখন ভোগের আনন্দের চেয়ে দথলী স্বত্বের আনন্দ হয় বেশী । আমারই এ আছে দখলে এই অভিমান থেকেই ভোগের আস্বাদ যায় বহুগুণ বেড়ে । তার মনে পড়ল মঞ্জরীর সঙ্গে তার একদিন যে আলোচনা হয়েছিল যে মেয়ের চায় পুরুষকে সম্পূর্ণভাবে আচ্ছন্ন করতে, তার শাড়ীর ভাজে ভজে বিভক্ত করে’ তাকে বেধে রাখতে চায় ব্যাপ্ত করে তার আপন পরিধেয় বস্ত্রের মত । স্বামীর ধন সম্পত্তি, লোক জন, মান, গৌরব, সমস্ত ব্যাপ্ত করতে চায় আপন নিঃশ্বাসে প্রশ্বাসে । এই ব্যাপ্তির মধ্যে আত্মার ব্যাপ্তি কোথায় ? এর মধ্যে ছোট নেই, আছে মুঠোর মধ্যে পাওয়ার পরিসমাপ্তি । সোণার চকচকে বাটিতে চেতনা ও হৃদয়ের শ্রেষ্ঠ মণি পড়ে ঢাকা, শুধু বাটির চাকচিক্যে ও ঝকমকিতে মোহমুগ্ধ হয় মন, পার্থীর ডান হয় পঙ্গু সোণার ধাচাতে । তার মনে হ’ল, যেখানেই আমাদের মনে আসে এটি স্বামার’ এই অভিমান, সেখানেই মনকে নিয়ে আসা হয় জড় করে ; জড়বস্তু পঙ্গু, অক্ষম সে চলতে, তাই তাকে দখল করতে চায় সচেতন পুরুষ। যে কারুর