পাতা:অধ্যাপক - সুরেন্দ্রনাথ দাশগুপ্ত.pdf/৫০৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8:Sb. অধ্যাপক তার তৈলনিষেক । কামনার আকুলত অনুভব করে তার সমস্ত हर्मष्ठ বিদ্রোহ করে উঠল তার ক্লিন্ন স্বভাবের প্রতি এবং সে মনে মনে পণ করলে যে কিছুতেই সে তার অন্তরের এ দৈন্যটুকু জানতে দেবে না স্বজাতাকে । এমনি দু’জনের মনে চলল দু'রকমের দ্বন্দ্ব, হৃদয়ের সংস্থানভেদে তা প্রবাহিত হ’ল সম্পূর্ণ দু’দিকে । ঋতুর পর ঋতু আসতে লাগল তাদের সৌভাগ্য সম্পদ নিয়ে, পৃথিবী চলল বারংবার আবর্ত্তিত হয়ে সূর্য্যের চারিদিকে, কিন্তু উভয়ের হৃদয় বাধা রইল আপন আপন অস্তরের সংস্থানের মধ্যে । বর্ষের পর বর্ষে বর্ষিত হ’ল নব নব জলধারা, প্লাবিত হ’ল পৃথিবীর বক্ষ, কিন্তু এই দু’টি হৃদয়ের মধ্যে নামূল ন৷ এমন প্লাবন যা উভয়ের ধারাকে একটি অখণ্ড ধারায় করতে পারে মিলিত । ষোড়শ পরিচ্ছেদ এমনি করে চলতে লাগল বিদ্যামন্দিরের কাজ, মুজাতা যে কেবল অধ্যাপকেরই দেখাশুনা করত তা নয়, সে তার গবেষণায়ও অনেক সাফল্য লাভ করল । তার অনেক আবিষ্কার ইউরোপীয় বড় বড় বৈজ্ঞানিক পত্রে প্রকাশিত হ’তে লাগল এবং দু’টি একটি পণ্ডিতসভা থেকে তাকে দেওয়া হ’ল সম্মানিত সভ্যের স্থান এবং বিশেষ বিশেষ পদক পুরস্কার । ইউরোপের এই খ্যাতি বেশ একটা ঝড় বইয়ে গেল ভারতবর্ষের সংবাদপত্রগুলির উপর দিয়ে । , এটা সকলেই আশা করতে লাগৃল যে, যে সোপানাবলি বেয়ে স্বজাত উঠতে আরম্ভ করেছে তার অবশেষে তার জন্য অপেক্ষা করছে প্রভূত মান ও যশ । মামুষের চিত্ত যতই নিস্পৃহভাবে আপন কর্ম্মে প্রবৃত্ত হোক না কেন,