পাতা:অধ্যাপক - সুরেন্দ্রনাথ দাশগুপ্ত.pdf/৫০৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ć o e অধ্যাপক গৌরবের স্বপ্নময় চিত্র প্রোজ্জল করে । অধ্যাপকের সেবার সঙ্গে সঙ্গে সে কানাইয়েরও একটু একটু সেবা যত্ন আরম্ভ করল । কানাই ও সুজাতার মধ্যে এমন একটি ভাব দাড়াল যে কানাই মনে করত যে গবেষণার ক্ষেত্রে স্বজাত। তার চেয়ে শ্রেষ্ঠ । অপরদিকে সুজাতা মনে করতে লাগল যে কানাই তার তুলনায় গবেষণাক্ষেত্রে অনেক শ্রেষ্ঠ । এমনি করে’ গড়ে উঠতে লাগল পরস্পরের প্রতি পরম্পরের শ্রদ্ধা । এতদিন সুজাতা কানাইকে প্রধানত: শ্রদ্ধা করত তার চরিত্র, তার দৃঢ়তা এবং তার মহানুভবতার দিক থেকে, তার সঙ্গে এখন যুক্ত হ’ল তার বুদ্ধি ও বিদ্যার প্রতি শ্রদ্ধা । মুজাতার সন্নিধিতে এসে অবধি কানাই আদর্শ নারীচরিত্র বলে তাকে শ্রদ্ধা করত । সুজাতার বুদ্ধি, মেধা ও কল্পনার কথা তার তেমন কিছু মনে হয় নি, কিন্তু আজ গবেষণাক্ষেত্রে তার প্রত্যক্ষ সাফল্য দেখে তার মনে শ্রদ্ধা ও পূজার একটা নূতন হিল্লোল বয়ে গেল । বিদ্যা, বুদ্ধি ও কর্ম্মঠতার দিক দিয়ে আমরা চিরদিনই মেয়েদের দেখি একটু ছোট করে । সে বিষয়ে তাদের কোন অভাব থাকৃলে আমরা তা গণনার মধ্যে আনতে চাই না । মেয়েদের মধ্যে মেয়েসুলভ গুণ পেলেই আমরা তাদের গৌরব করে থাকি । যেখানে যা সাধারণতঃ দেখা যায় না সেখানে তা দেখলে বিস্ময়রসে আমাদের মন আপ্লুত হয় । এই বিস্ময় রসের মধ্য দিয়ে যখন কারুর কোন যথার্থ গুণ আমরা দেখতে পাই তখন আমাদের দৃষ্টির রেখা স্থানচ্যুত হয় । শুধু যে স্থানচ্যুত হয় তা নয়, তা, অনেক বৃহত্তররূপে আমাদের সামনে প্রতিভাত হয় । অনেক সময় দেখা যায় যে ছেলেবয়সে অনেকে গানবাজনা বোঝে বা অঙ্ক কষতে পারে । কেউ বা তেরো বৎসর বয়সে ম্যাটিক পরীক্ষণ দিয়ে প্রথমস্থান লাভ করে । আমরা এই সব ছেলে