পাতা:অধ্যাপক - সুরেন্দ্রনাথ দাশগুপ্ত.pdf/৫১৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অধ্যাপক ( Q సె বোলে প্রচুর ধন আসবে তা থেকে। সে সমস্তই আমি দিতে চাই এই একই কার্য্যে ।” উভয়ে উভয়ের দিকে চাইলে সম্মিত উজ্জল দৃষ্টিতে। একটি দৃষ্টির মধ্য দিয়ে উভয়ের সর্বস্বধন অধ্য হয়ে পৌছল একই দেবতার পাদমূলে, যেন গ্রথিত হ’ল দু’টি হৃদয় একটি অভিষেকমন্ত্রে । অধ্যাপক অত্যন্ত আনন্দিত হ’লেন । কিন্তু বল্লেন—“তোমাদের সর্বস্ব দেবে তোমরা এর পিছনে ?” স্বজাত বল্লে—“আপনিই শিখিয়েছেন যে প্রেমের দান দান নয়, সে পাওয়া । আমাদের এ পাওয়া হচ্ছে দু'রকম । একটা হচ্ছে এই যে আপনার এই বিদ্যামন্দিরকে সার্থক করে তোলা আমাদের জীবনের পরম প্রিয় পদার্থ বলে মনে করি । এই পরম প্রিয়ের জন্য যা ত্যাগ করব তার দ্বারা আমাদেরই পাব আমরা ফিরে, আমাদেরই হবে পূর্ণত । কিন্তু এর আরো একটি দিক আছে, সেটি আমাদের উপরি পাওনা ।” কানাই বিস্মিত হয়ে স্বজাতার মুখের দিকে চাইলে, ভাবলে— কি বলতে চায় এ ! সুজাত বল্লে—“আপনার হৃদয়ের সঙ্গে বেঁধে দিয়েছি আমাদের হৃদয়, তাই আপনার কল্পনাতে এই বিদ্যামন্দিরের অজস্র মঙ্গলের ' সম্ভাবনার মধ্যে ও সেই মঙ্গল সম্পাদনের মধ্যে আপনি যে আননা পাবেন আমবা বিনা আয়াসে সে আনন্দ উপভোগ করব আপনার মধ্য দিয়ে ।” অধ্যাপক বল্পেন—“এসব কথা তুমুি শিখলে কোথায়, মা ?” স্বজাত বল্লে—“আমার এমনিই মনে হয়েছে। এই দুই রকমেই যে আনন্দ পাই তা আমি নিজেই অন্তরে অনুভব করেছি।” অধ্যাপক আবার হেসে বল্পেন—“প্রেমের এটা একটা গভীর রহন্ত ।