পাতা:অধ্যাপক - সুরেন্দ্রনাথ দাশগুপ্ত.pdf/৫২৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

むミ等 অধ্যাপক ছিলেন নিবারণ। র্তার তাম্রাভ করতলে ভানুময়ুখৰিশোষিত মন্দাকিনীপুষ্করবীজমাল। তিনি অর্পণ করেছিলেন ধ্যাননির্মুক্ত মহাযোগীন্দ্রের করপুটে । চক্রীকৃতচারুধম্বা মন্মথ ছিলেন এই অবসরকে লক্ষ্য করে’ উার বাণপ্রয়োগের জন্য। মহাযোগীন্দ্র চন্দ্রোদয়ারম্ভে অম্বুরাশির স্যায় হয়েছিলেন কিঞ্চিং পরিলুপ্তধৈর্য্য, বারংবার ত্রিলোচনের লোচনত্রয় আকৃষ্ট হচ্ছিল বিম্বফলাধরোষ্ঠা পার্ব্বতীর মুখমণ্ডলের দিকে । ক্ষুরদ্বালকদম্বকল্প শিহরণে শিহরিত হচ্ছিল পার্ব্বতীর সমগ্র দেহ অনুরাগফুরণে। তারপর পুথিবীতে কতবার কত স্থলে কত দেশে ঘটেছে এই মহাসত্যের অভিনয় । গিরিলোক থেকে গিরিজা কতবার তা দেখে ঈষংহাস্তে চেয়েছিলেন সপকলাপী শিবের দিকে, লজ্জিত হয়েছিলেন রূপের দ্বারা গিরীশের প্রতি আপনার ভগ্নমনোরথ আকর্ষণের চেষ্টার কথা স্মরণ করে । আজও বুঝি সেই লগ্নকাল হয়েছিল উপস্থিত। বসন্তপুস্পাভরণা পৃথিবী স্বজাতাকে নারীলোকের প্রতীক করে ক্ষোভিত করে তুলেছিল কানাইয়ের ক্ষুদ্র হৃদয়-সমুদ্রের কল্লোল । বননিকুঞ্জের মধ্যে চক্রীকুতচারুধম্বা মন্মথ যেন আজও কোনখানে প্রতীক্ষা করছিল তার বাণ প্রয়োগাবসরের, বিস্তৃত হয়েছিল সে তার পূর্ব্বজীবনের দুর্ভাগ্যের কথা । হঠাৎ আবেগে কানাই চেপে ধরলে স্বজাতার হাত । সুজাতা কোন কথা বল্পে না, জলভারাবনম্ৰ হ’ল তার দুটি চক্ষু। কানাই বল্লে— “তুমি আমার ” - 驚 স্বজাত রইল চুপ করে । আবার কানাই বল্লে—“বল, তুমি আমার ।” সুজাতা ধীরে ধীরে বল্লে—ংলগ্ন গিয়েছে পার হয়ে ।” কানাই বল্লে—“আমার হৃদয়ে পাচ্ছি তোমার হৃদয়ের সাড়া, এই ত চিরন্তন লোকের আদিকালের লগ্ন ।”