বায়ামচৰ্চা । ! শ্রী রমেশচন্দ্র রায়, এল এম. এস. লিখিত । ] দেহের পক্ষে বায়ামের (পরিশ্রমের) ଏ>[[ଶ୍ୱର | মোটা কথায় বলিতে গেলে, আমাদের দেহে চারি প্রকারের श्चिमिष अi८छ ; य°il S BB DLD DBuuB KYSSqDBDBD DDB BDDS দের চলাফেরা ও বসা দাড়ান হয় এবং অস্থির মজার দ্বারা রক্তের ক্ষয় পরিপূরিত হয় অর্থাৎ রক্তস্রাবের পর আবার যে শরীরে রক্ত হয়, তাহাও মজ্জার সাহায্যেই হইয়া থাকে। ২ । মাংসপেশী ।-ইহারই সাহায্যে প্রকৃত চলাফেরার কার্য্য সংসাধিত হয় । ৩ । পাকাদিযন্ত্রের গ্রন্থিসমূহ (Glands) । ৪ । বসা বা চাকিব । অপরাপর যে যে অমূল্য যন্ত্রাদি আছে (মস্তিষ্ক ইত্যাদি), ৩াহাদের সঙ্গে এ প্রবন্ধে আমাদের প্রয়োজন না থাকায়, আমরা তাহাদিগের উল্লেখ করিলাম না । দেহ সুস্থ রাখিতে হইলে, অবশ্য দেহের সকল অংশই সুস্থ রাখা আবশ্যক ; নতুবা একটা ব্রণ ৷ হইলেও দেহ সুস্থ থাকিতে পারে না। সেরূপভাবে সুক্ষ্ম বিচার করা আমাদের উদ্দেশ্য নহে ; স্কুলবিচারে ও সাধারণভাবে আলোচনা করাই আমাদিগের উদ্দেশ্য এবং আমাদের প্রয়োজনমতই মাত্র চারিটি উপাদানের মধ্যে বসাকে বাদ দিব এবং মাংসপেশীর কথাই প্রত্যক্ষে আলোচনা করিব । ইতরপ্রাণীদিগের প্রতি দৃষ্টিপাত করিলে দেখা যায় যে, প্রত্যেক প্রাণীকেই পরিশ্রম করিয়া আহার্য্য সংগ্রহ করিতে হয় । আর যে যে প্রাণীকে তাহা না করিতে হয়, তাঙ্গাদের পক্ষে আত্মরক্ষা করিবার জন্য বহু আয়াস স্বীকার করা প্রাণিকুলের সাধারণ ধর্ম্ম। সিংহ, ব্যাঘ্র, শৃগালকে বহু দূর হইতে যাতায়াত করিয়া ও বহু আয়াসে শীকারকে ঠত করিয়া, ততোধিক আয়াস-সহকারে শীকারের মৃতদেহ সঙ্গন করিয়া লইয়া গিয়া ও প্রতিদ্বন্দ্বীর সহিত কলহ করিয়া, তবে উদরপূরণ করিতে হয়। খেচরপ্রাণীদের পক্ষে আঙ্গার্য্য সহজলব্ধ বটে, কিন্তু আহার করিতে করিতে দণ্ডে দণ্ডে প্রাণভয়ে পলায়ন করিতে হয়। গবাদি নিরীহ পশুদিগের পক্ষে আহার্য্য সুলভ হইলেও, বনে থাকিবার কালে তাহাদিগকে সততই ইতস্ততঃ পলায়নপর হইতে হয় এবং লোকালয়ে মানুষের সেবা করিতে হয়। মানুষকেও এক মূঠা আন্নের জন্য উদয়াস্ত পরিশ্রম করিতে হয়। কেবল স্বল্পসংখ্যক ধনীধ সস্তানকেই আরামে বসিয়া চর্ব্বা চোষা লোহা-পেয় ভোগ করিতে দেখা যায় । অতএব ইঙ্গা বেশ বুঝা গেল যে, পরিশ্রম করাই প্রাণিজীবনের মুখ্যধর্ম্ম । পরিশ্রমের ফলে পরিপাক দি দৈহিক ক্রিয়া নিয়মিতরূপে হইতে থাকায় দেঙ্গ সুস্থ ও সবল থাকে। অতএব স্থূলতঃ বলা যাইতে পারে যে, পরিশ্রম করিলেই সুস্থ থাকা সম্ভব, । নতুবা সুস্থ থাকা অসম্ভব। 1829, 23.57 হস্তের যে যে পেশীগুলিদ্বারা মুষ্টিবদ্ধ করা যায়, একবার সেগুলির কথা স্মরণ করুন । শিশুর জন্মকাল হইতে মষ্টিবদ্ধ থাকে অর্থাৎ যে পেশীগুলির দ্বারা মুষ্টিবদ্ধ করিতে হয়, সেই সেই পেশীগুলি প্রতিনিয়তই সন্ধুচিতভাবে থাকে। তাহার পরে যতই দিন যায়, ততই বেশী সংখ্যায় আমা— দিগকে মুষ্টিবদ্ধ করিতে হয়। যদি ত্রিশ বৎসর বয়স্ক কোনও ব্যক্তি হিসাব করেন, গড়ে কত বার করিয়া তিনি মুষ্টিবদ্ধ করেন, তবে জন্মকাল হইতে অদ্যাবধি কত লক্ষ বার যে র্তাহার মুষ্টিবদ্ধকারী পেশীগুলিকে সন্ধুচিত করিতে হইয়াছে, তাহার হিসাব করিলে তিনি বিস্মিত হইবেন । অথচ যদি সন্ধুচনের সংখ্যার অনুপাতে ঐ সকল মাংসপেশীর উন্নতির কথা ভাবি, তবে স্তম্ভিত হইয়া যাই যে, লক্ষ লক্ষ বার একটি মাংসপেশীকে পরিশ্রম করাইয়াও উহার যথারীতি উন্নতি করিতে পারি নাই। ইহার মূল কারণ কি ? কারণ,- অমনোযোগিতা । যে ব্যক্তি মনোযোগের সহিত পাঠাভ্যাস করে, তাহার সহজেই ঐ পাঠ আয়ত্ত হয় ; কিন্তু অমনোযোগিতার সহিত সহস্ৰ বার আবৃত্তি করিলেও কস্মিনকালে সামান্য পাঠও ধারণা ভুক্ত হয় না ! ইহা হইতে স্পষ্টই উপলব্ধ হইতেছে যে, অমনোযোগের সহিত কেবল কর্ম্মবুদ্ধিপ্রেরণায় কলের মত মাংসপেশীকে পরিশ্রম করাইলে কস্মিনকালে উহার উন্নতি হয় না। মাংসপেশার উন্নতি করাহঁতে হইলে প্রত্যেক মাংসপেশীর উপরে ষোল আনা মন ন্যস্ত করিলে তবে তাহার উন্নতি সম্ভাবনা । যে ব্যক্তির মাংসপেশী সবল, তাহার কার্য্য করিবার ক্ষমতা, আত্মরক্ষার ক্ষমতা ও সমস্ত দেহের উন্নতি বেশী ; যাহার মাংসপেশী সবল নাচে, সে দুর্বল-পরমুখাপেক্ষী । অতএব এই কর্ম্মকোলাহলমুখরিত, “বলং বলং বাহুবলং”এর দিনে, “জোর যার, মুল্লক তার”-যুগে, তীব্র প্রতিযোগিতার কালে, প্রতিদ্বন্দ্বিতারঘাত-প্রতিঘাতের সন্ধিস্থলে মাংসপেশীর প্রাধান্য সহজেই বোধগম্য হওয়া উচিত। মাংসপেশীকে সবল করিতে হইলে, মনোযোগের সহিত মাংসপেশীর সঞ্চালনা একমাত্র উপায় ।
