পাতা:অনুক্রম - রাখালদাস বন্দ্যোপাধ্যায়.djvu/২৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

૨૨ অসুক্রম হরেন্দ্র বাবু উত্তর দিলেন না দেখিয় ধীরেন বলিয়া গেল, “আপনার জীবনটা তো যেতেই বসেছিল, কেবল সময় খুকতে হাসপাতুল পাঠানো হয়েছিল বলেই না এ যাত্র রক্ষা পেয়ে ...t. দেখুন, স্ত্রীর মুখ চেয়ে, ছেলেমেয়েগুলির মুখ চেয়ে এ কাজ আর করবেন না !" “ হরেন্দ্র বাবু মাটার দিকে চাহিয়া বলিলেন, “ন।" তখন ধীরেন তাহাকে ছাড়িয়া দিল । তিনি চলিয়া গেলেন । তথন আগু পম দেখিল, তাহার ও ভরকোটের পকেটে একটি বড় জিনিস রহিয়াছে, সেটার আকার অনেকটা বড় বোতলের মত । সেদিন হারাণ সকলকে নিমন্ত্রণ করিয়ছিল । সকলে যখন তাহার বাড়ীতে গেল তখন রাত্রি ই ইয়াছে । ধীরেন ও অল্প পমকে বহিরে বসাইয়া হারাণ কাপড় ছাড়িতে গেল , কিন্তু ফিরিতে বিলম্ব হইতেছিল । ধীরেন তখন ডাকিতে আরম্ভ করিল, কিন্তু উত্তর পাইল ন । তাল্পক্ষ পরেই তাহারা দুইজনে শুনিতে পাহল, চাপ গলায় বচস হইতেছে ; কিন্তু তাহার দুই-একটা কথা ক্রমশঃ চড় আ ওয়াজে বাহির হইতেছে । “আমি শুনেছি সে ডাইনী, তা নইলে এত মাংস সহজে তার বশ হয় কেন ! আমি কখৃথনে তোমাকে তার কাছে যেতে দেব না। যদি আর কোন দিন শুনি যে তুমি তার কাছে গেছ তাহলে বাড়ী ফিরে রক্তগঙ্গা দেখতে পাবে ।” ধীরেন হাসিয়া অতুপমের মুখের দিকে চাহিয়া জিজ্ঞাসা করিল, “ডাইনীটা কে রে ?” অনুপম মুখখানা বাকাইয়া বলিল, “এ কি মণির কথা হচ্ছে ?” ধীরেন বলিল, “দূর পাগল ! তাকে কি বোমা কখনো ডাইনী লতে পারেন? তার সঙ্গে মণি-দিদির কত আলাপ ”