পাতা:অনুক্রম - রাখালদাস বন্দ্যোপাধ্যায়.djvu/৬৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অতুক্রেম به وي একদিন বেলা একটার সময় একটি সুন্দরী সধবা স্ত্রীলোক যখন এক মুটের সঙ্গে আসিয়া দাড়াইল, তখন দেবনাথপুরার সমস্ত লোক আশ্চর্য্য হইয়া গেল । পাড়ায় পাড়ায় খপর রটিয়া গেল । বিখ্যাত৷ গেজেট-জাতীয় মহিলার দেবনাথপুরার সঙ্কীর্ণ গলির সম্মুখে আসিয়া জমিয়া গেলেন । যে সকল পুরুষ দিবা-নিদ্রার মায়া কাটাইতে পারিলেন, তাহারা ও বাড়ীর দ্বারে আসিয়া দাড়াইলেন । অনেক ডাকাডাকির পর বীরবল আসিয়া দ্বার খুলিয়া দিল এবং মোট লইয়া সকলের সম্মুখে বাড়ীর দ্বার আবার বন্ধ করিয়া দিয়া চলিয়া গেল । এক ঘণ্ট, দুই ঘণ্টা, ক্রমে সমস্ত দিনট কাটিয়া গেল, তথনও কেহ দেখা দিল না দেখিয়৷ কাশীর লোকে মণিরামের বাবুকে নিন্দ করিতে করিতে চলিয়া গেল । মণিমালিনী যখন আসিল, তখন তাহার মাতুল তারাপদ বাবু আহারাস্তে তামাক টানিতেছিলেন । স্ত্রীলোক দেখিলেই তিনি অত্যস্ত অসন্তুষ্ট হইতেন । সুতরাং দূর হইতে মণিকে চিনিতে না পারিয়া তিনি অত্যন্ত বিরক্ত হইলেন এবং বীরবলকে ডাকিতে আরম্ভ করিলেন । মণি আসিয়া তাহাকে যখন প্রণাম করিল, তখন আর তাহার বিস্ময়ের সীমা-পরিসীমা রহিল না । তিনি জিজ্ঞাসা করিলেন— *এলি তো খবর দিয়ে এলি না কেন ?” “খবর দেবার কি সময় পেলুম, মামা ?" বলিয়াই মণি নিতাইহুন্দরের শিলং-এ আবির্ভাব হইতে ক্ষীরোদ নাপতিনীর সিংহাসনচ্যুতির ংবাদ সবই বলিয়া ফেলিল । তারাপদ বাবু সমস্ত শুনিয়া জিজ্ঞাস। করিলেন, “চাকরি কি তবে ছেড়ে দিয়ে এসেছিস ?” “কি করবো মামা ? ঐ কীর্ত্তির পরে শিলংএ মুখ দেখানে ভার। তিনি থাকতে চেয়েছিলেন বটে, কিন্তু আমি পারিনি ।”