অনুসন্ধান
বিভিন্ন ক্লাসে ঢুকে পরীক্ষা করেন। প্রথমে ক্ষেত্রবাবুর ক্লাস। ক্ষেত্রবাবু সসন্ত্রমে উঠে দাঁড়ান। বলেন, পড়িয়ে যান—আমি শুনি। বাংলা সাহিত্য পড়াচ্ছেন ক্ষেত্রবাবু। সুরমশায় বলেন, ও সব কি আর কবিতা? কবিতা ছিল সেকালে যদু মুখুয্যের। কুজ্বপৃষ্ঠ নুজদেহ উষ্ট্র সারি সারি, কি আশ্চর্য্য শোভাময় যাই বলিহারি ইত্যাদি। কৌটো খুলে পান খান ক্লাসের মধ্যেই।
তারপরে যদুবাবুর ক্লাস। ইতিহাস পড়াচ্ছেন যদুবাবু, মন দিয়ে শিবাজির জীবনী বর্ণনা করচেন ছেলেদের কাছে। মাখন সুর এক অবান্তর প্রশ্ন করে বসলেন—বলো দিকি, দাশুরায় পাঁচালি লিখেছিলেন কত সালে? মাস্টার বলে দাও না ওদের। দাশুরায়—আহা, আমন গান আর কেউ বাঁধতে পারবে না—
তারপরে নারাণবাবুর ক্লাস। নারাণবাবু মশগুল হয়ে গিয়েচেন অধ্যাপনায়; কিন্তু তিনি অঙ্ক ছেড়ে রবীন্দ্রনাথের কবিতা আবৃত্তি করচেন ক্লাসে। মাখন সুর ঢুকে জিজ্ঞাসা করলেন,—আপনি না অঙ্কের মাস্টার? আমি শুনেচি আপনি ক্লাসের পড়া না করিয়ে ছেলেদের কাছে বাজে গল্প করেন।
নারাণবাবু বললেন,—কথাটা উঠলো। কিনা, আবৃত্তি, সর্ব—
১২