পাতা:অন্ধকারের আফ্রিকা.djvu/১০৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ন্যাসালেণ্ড . ܬܬ চালের দর ঠিক হওয়া মাত্র ক্রেতারা তারাজু নিয়ে চাল ওজন করে স্ত্রীলোকদের টাকা দিয়ে যখন বিদায় করে দিল তখন স্ত্রীলোকগণ একে একে উঠে নিকটস্থ ভারতীয় দোকানো গিয়ে তাদের দরকারী জিনিস কিনে বৃষ্টিতে ভিজে, রৌদ্রে পুড়ে আপন আপনি বাড়ীর দিকে - রওয়ানা হল । পথে প্রেমিকের দল তাদের পেছন নিল । যখনই স্ত্রীলোকের প্রেমিকের দ্বারা বিরক্ত হচ্ছিল তখনই উত্তাক্ত স্ত্রীলোকটি একটা হাঁটু মাটিতে ছায়ান মাত্র প্রেমিক ভিন্ন পথ দিয়ে চলে যাচ্ছিল। এদের বিবাহের কোনরূপ বাধ্য স্বাধকতা নাই। ধর্মের এখানে আদেশ নাই, সমাজে এখানে অন্যায় আবদার নাই, মেয়েলোক এখানে অন্য মেয়েলোককে কািঢ়বাক্য অথবা চুপি চুপি • নিন্দা করে না, এখানে স্ত্রীলোক স্বাধীন । মায়া একটি ছোট গ্রাম । গ্রাম ইউরোপীয় ধরণে গঠিত। গ্রামে গৃহপালিত পশু রাখবার নিয়ম নাই । ন্যাসারা আবার কুকুর বিড়ালও পুষে না । তারা পুষে বেজি। যাদের স্ত্রীলোক দিগম্বরী, যারা মরতে ভয় করে না। তারা নিশ্চয়ই পশু ভাবাপন্ন এবং যা তা খায়। তাই বোধহয় আমার জাত ভাইরা ধারণা করবেন। কিন্তু সে ধারণা যেন পোষণ না করেন । ন্যাসারা ভাত, সবজী, কখনও সামান্য মাংস এবং মদ খায় । মাছ দ্যাসারা খুব কমই, পছন্দ করে। তারা দুধ, দই, মাখন, ক্রম প্রচুর খায় আর খায় ভুট্টার রুটি । এরা বড়ই দয়ালু এবং তাদের বাড়ীতে গেলে গরম -জলি এবং গুড় খেতে দেয়। কিন্তু ভারতবাসীদের পক্ষে একটি কথা মনে রাখা সমূহ দরকার সেই কথাটি হল ওদের স্ত্রীলোকেরু প্রতি কখনও বক্র দৃষ্টিতে না চাওয়া। যদি কোন কুমতলবী থাকে তবে চোখ, ত যাবেই, উপরন্তু ঘাড়ের সংগে মাথার সংযোগও