পাতা:অন্ধকারের আফ্রিকা.djvu/১১১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ow অন্ধকারের আফ্রিকা মনে হল উত্তর বংগের কোনও হতশ্রী গ্রামে এসেছি। লোকজন অতি অল্প। লোকের মাঝে যেন প্রাণ নাই। তারাও উত্তর বংগের গৃহস্থদের মতই ঘর তৈরী করে তাতে বাস করছে। স্ত্রী পুরুষ সবাই ধুতির মতই এক টুকরা কাপড় কোমরে জড়িয়ে রেখেছে। অনেকক্ষণ দাড়িয়ে গ্রামের ঘর বাসন এবং লোকের আচার ব্যবহার দেখে মনে হল বাংলা দেশের কোথাও পাইচারী করছি। কিন্তু একটা কথা এখানে আমাকে বলতেই হবে, সেই কথাটি হল বাংলার দরিদ্র লোকের সংগে এখানকার নিগ্রোদের বেশ মিল’ আছে। নিগ্রোরা অসভ্য বর্ধর, তাদের সম্বন্ধে অনেক বাজে কথায় পূর্ণ বই বের হয়েছে আর বাংলার দরিদ্র চাষীদের সম্বন্ধে সেরূপ’বই বের হয়নি। দরিদ্র বাংগালী যেমন নিরক্ষার এরাও তেমনি নিরক্ষর। প্রভেদটা কিন্তু আমার চােখে খুব কমই পড়ল। এরাও যেমন প্রিমিটিভ ষ্ট্রেজে জীবন কাটিয়ে যাচ্ছে আমাদের দেশের পাড়াগায়েও ঠিক তেমনি অবস্থা দেখা যায়। এরাও লম্বা একটা কাপড় যার নাম আমি জানিনা তাকে জাতীয় পোষাক বলে “গ্ন আমরা ধুতিকে জাতীয় পোষাক বলি। আমাদের সংগে ওদের যেমনতর প্রভেদাই থাকুক না কেন তাদের দেশকে বাংলা দেশের মতই মনে হছিল । • মোল্লার মুরগী কেনা হয়ে গেছে। মোল্লা চলে গেলেন জাহাজে আর আমি চললাম একটি গভীর জংগলে। জংগলে চলেছিলাম। আমি একা। যে পথ দিয়ে চলেছিলাম সেই পথে পেতেছিলাম পুরাতন ইট আর পাটকেল। আমি ইট হাতে নিয়ে তাই পরীক্ষা করতেছিলাম। সিমুটিক অর্থাৎ আরব, জু, সিথিয়ান যে রকম ইট প্রস্তুত করে এই ইট সে রকমের নয়। স্নাভ, সেকুশন, রোমান, গ্রীক, ইরাণী, আর্যাবতবাসী ধরণের ষে ইট পুৱাতন যুগে ব্যবহার করত এই ইটের সংগে, তার কোন