বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:অন্ধকারের বন্ধু - হেমেন্দ্রকুমার রায়.pdf/১৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

আঙুলের গড়ন দেখলে তার প্রকৃতি আর পেশা বোঝা যায় । কিন্তু সাজাহানের আঙুলের গড়ন দেখ! শিল্পীর আঙুলের গড়ন এ-রকম হওয়া উচিত নয়—যে কোন সাধারণ লোকের হাতের ছাপ এ-রকম হ'তে পারে। ব'সে ব'সে এই কথাই ভাবছিলুম।”

 পুলিস জার্নালখানা রেখে দিয়ে দাঁড়িয়ে উঠে আমি বললুম, “ভাই, উত্তরদিকের জান্‌‌লা দুটো বন্ধ ক'রে দি। এই দুর্জ্জয় শীতের ওপরে কাল আবার বৃষ্টি হয়ে ঠাণ্ডা আরো বেড়ে উঠেছে। চট্ ক'রে এক পেয়ালা চায়ের হুকুম দাও।”

 কৌচের উপরে পাদুটো লম্বা ক'রে ছড়িয়ে দিয়ে হেমন্ত বললে, “তা যেন দিচ্ছি! কিন্তু দুর্জ্জয় শীতকে যদি এতই ভয়, তবে আজ তুমি গঙ্গাপার হয়ে বাগানে বেড়াতে গিয়েছিলে কেন?”

 চমৎকৃত হয়ে বলনুম, “এ কথা ভুমি কেমন ক'রে জানলে? কেউ বলেছে বুঝি?”

 —“তুমি তো সিধে ওপার থেকে এপারে নেমেই ধূলো-পায়ে আমার বাড়ীতে আসছ! এর মধ্যে খবর আর কে দেবে? কেমন, যা বলছি সত্যি কিনা?”

 —“হ্যাঁ ভাই, সত্যি। কিন্তু আমি কোন বাগানে বেড়াতে যাইনি! তুমি তো জানো, বেলুড়ে আমার ভগ্নীপতি থাকেন? তাঁর অসুখ শুনে দেখতে গিয়েছিলুম। তবে তাঁর বাড়ীর সামনে একটা বেশ বড় বাগান আছে বটে! কিন্তু

১৪