পাতা:অন্ধকূপ-হত্যা-রহস্য - মুজিবর রহমান.pdf/১১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্রথম পরিচ্ছেদ অবস্থানকালে নবাব এ সংবাদ পান এবং তৎক্ষণাৎ সসৈন্যে কলিকাতা অভিমুখে যাত্রা করেন। পথে কাসিমবাজার আক্রমণ করিয়া সেখানকার কুঠীর অধ্যক্ষ ওয়াটস ও কোলেট সাহেবকে বন্দী করেন এবং কাসিম বাজার কুঠীতে তালা দিয়া ৪ঠা জুন তারিখে কলিকাতা অভিমুখে অগ্রসর হন ; সঙ্গে ওয়াট এবং কোলেট সাহেব বন্দী ছিলেন। কিন্তু তাহাদের স্ত্রী-পরিবারের হাতে কোন ক্ষতি না হয়, সেই বিষয়ে লক্ষ্য রাখিয়া তাহাদিগকে কাসিমবাজারস্থিত ফরাসী কুঠীর অধ্যক্ষ মসিয়ে ল্য’এর জিম্মায় রাখিয়া দেন। ১৭ই জুন তারিখে নবাবের সৈন্যগণ বর্ত্তমান ইডেন গার্ডেনের নিকট দিয়া ফোর্ট উইলিয়াম অক্রমণ করেন। পরে বাগবাজার, চিৎপুর ও লালবাজার প্রভৃতি স্থান হইতে ইহা আক্রমণ করা হয়। বেগতিক দেখিয়া গভর্ণর ড্রেক অনেক সৈন্য ও কর্মচারীসহ নৌকাযােগে দুর্গ হইতে পলায়ন করেন। হলওয়েল এবং আরও কিছু সৈন্য ও কর্মচারী পলাইবার কোন সুবিধা করিতে না পারিয়া, ৩০ ঘণ্টা পর্যন্ত দুর্গরক্ষা করিয়া ২০শে জুন তারিখে সন্ধ্যার পূর্বে নবাবের নিকট আত্মসমর্পণ করেন। ড্রেক’এর পলায়নের পর তাহার সহিত যে সব সৈন্য ও কর্মচারী ছিল, তাহার। অনেকেই দুর্গরক্ষাকালে প্রাণ হারায় ; কেহবা দুর্গের পতনের পূর্বেই নবাবের নিকট আত্মসমর্পণ করে ; কেহ কেহ দুর্গ হইতে পলাইয়া যায়। অবশিষ্ট কয়েকজনের মধ্যে হলওয়েল নবাবের সহিত সাক্ষাৎ করেন। তিনি যে সময়ে নবাবের নিকট ছিলেন, তখন কতকগুলি ইংরাজ সৈন্য মদ্যপান করিয়া এক মহা গণ্ডগােলের সৃষ্টি করে। তখন সন্ধ্যা উত্তীর্ণ হইতেছিল ; রমজান মাস,নবাব ও তঁাহার কর্মচারিগণ বােধ হয় রোজা এফতারের জন্য সুভাভঙ্গ করেন এবং সেই মাতাল সৈন্যগণকে সেই রাত্রির জন্য একটা ঘরে বন্দী করিয়া রাখিতে বলেন। এই বন্দিগণের মধ্যে

E