. “অন্ধকূপ-হত্যা”-রহস্য ফিরিবার পথে তাহাদিগকে ২৮শে জুন তারিখে চন্দননগরে মুক্তি দিয়া ফরাসীগণের নিকট শিবিকাযােগে প্রেরণ করেন; এবং ফরাসীরা যাহাতে তাহাদের প্রতি কোন অত্যাচার করিতে না পারে, এজন্য তাহাদের নিকট হইতে নবাব একখানি লিখিত মুচলেকাপত্র গ্রহণ করেন। ইহা হইতে স্পষ্ট প্রমাণ হয় যে, তিনি তাহাদের প্রতি কিরূপ ব্যবহার করিয়াছিলেন, তাহারা আরও বলেন যে, ইচ্ছা করিলে নবাবের সঙ্গে একটা মিটমাট হইয়া যাইত, কিন্তু ড্রেক সাহেবের তাহা করিবার ইচ্ছা ছিলনা। তাহারা যে অন্ধকূপে আবদ্ধ বন্দিগণের সংখ্যার উল্লেখ করিয়াছেন, গ্রে সাহেবেও ঠিক তদ্রুপ উল্লেখ করিয়াছেন। গ্রে সাহেবের যে পত্রে এই সংখ্যার উল্লেখ এবং অন্ধকূপের বর্ণনা আছে, সেই পত্রখানিও ওয়াটস্ সাহেব তাহাদের পত্রের মধ্যে করিয়াই ইংলণ্ড পাঠাইতেছেন। এ পত্রের পূর্বে ওয়াট সাহেব আরও অনেকগুলি পত্র তাহার বন্ধুবান্ধব ও উচ্চপদস্থ কর্মচারীর নিকট প্রেরণ করিয়াছিলেন, কিন্তু উহাতে অন্ধকূপের কোনই উল্লেখ নাই। এবং গ্রে সাহেবের ২রা জুলাই তারিখে চন্দননগরে আগমনের পূর্বে চনননগর হইতে বিদেশে যে শত শত পত্র গিয়াছে তাহাতেও এই অন্ধকূপের কোন উল্লেখ নাই। ১ জুলাই তারিখে ওয়াটু ও কোলেট সাহেব মাদ্রাজে যে পত্র লিখিতেছেন, তাহাতেও ইহার কোন উল্লেখ নাই। সে পত্রে তাহারা মাত্র বলিতেছেন “হলওয়েল সাহেব বন্দী হইয়াছেন এবং তাহার অধীন অন্যান্য কর্মচারীর অবস্থা যে কি হইয়াছে, তাহাও ভালরূপে জানা যায় না। কিন্তু জনরব যে তাহাদের সর্বস্ব লুষ্ঠিত হইয়াছে এবং ড্রেক সাহেবের পলায়নের পর যাহারা দুর্গে ছিল, তাহারা প্রায় তাদের হস্তে প্রাণ হারাইগাছে বা যুদ্ধে নিহত হইয়াছে। তাহারা স্পষ্টভাবে বলিতেছেন যে তাহারা যাহা যাহা স্বচক্ষে দেখিয়াছেন তাহা সঠিক ও সত্য, কিন্তু জনরবে যাহা শুনা গিয়াছে সে সম্বন্ধে তাঁহারা নিশ্চিত নহেন। এই জনরবের মধ্যে অন্ধকূপ | ১৬
পাতা:অন্ধকূপ-হত্যা-রহস্য - মুজিবর রহমান.pdf/৩৪
অবয়ব