| তৃতীয় পরিচ্ছেদ বেসরকারীভাবে তিনি যে সব পত্র লেখালেখি করেন, কেবল তাহাতেই তিনি ইহার উল্লেখ করেন। | ২১ সেক্রেটারী ‘জন কুক’ বর্ণিত অন্ধকূপ হত্যার বর্ণনা। | “কাসিমবাজারের সহিত পত্র আদান-প্রদানও আমাদের পক্ষে কষ্টকর হইয়া উঠিল। আমরা সর্বশেষে যে সংবাদ পাইলাম, তাহাতে বুঝিতে বাকি রহিল না যে, তিনি প্রথমে আমাদের দুর্গ সুরক্ষিত না থাকায় ( ইহাতে মাত্র ১৭০ জন খুদ্ধোপযােগী সৈন্য ছিল এবং উহাদের মধ্যে ৫০ কিংবা ৬০ জন ইউরােপীয় সৈন্য ছিল) সংখ্যাধিক কর্মচারী দ্বারা একটা লিখিত রিজলিউশন পাশ করিয়া স্থির হইল যে••••••সে সময় কাসিমবাজারের সাহায্যার্থে সৈঙ্গ প্রেরণ করা বিবেচনাবিরুদ্ধ হইবে’•••••• ‘হস্তাবদ্ধ অবস্থায় হলওয়েল নবাবের নিকট উপস্থিত হইয়া উক্ত ব্যবহারের প্রতিবাদ করিলে তিনি তাহার হস্ত খুলিয়া দিতে আদেশ দেন••• •••তিনি তাহাকে অভয় দিয়া বলিলেন যে, আমাদের মাথার একটী কেশও কেহ স্পর্শ করিবে না।••••••এ পর্যন্ত আমরা ভালই ব্যবহার পাইয়াছিলাম ••••••আমাদিগকে কেহ কোন প্রকার শারীরিক অত্যাচার করে নাই। আমাদের এমনও আশা ছিল যে, আমরা ত মুক্তি পাইবই, এমন কি সােলেনামায় নবাব এমনও অঙ্গীকার করিয়াছিলেন যে, আমরা আমাদের ব্যবসা বাণিজ্য রীতিমত চালাইতে পারিব•••••কিন্তু এ-সব আশা-ভরসা। শীঘ্রই দূরীভূত হইল"•••(এবং) একদল লােক আসিয়া অন্ধকূপের মধ্যে প্রবেশ করিতে আমাদিগকে হুকুম করিল।••••••দুইটা জানালা বিশিষ্ট (মৃত্তিকা নিম্নের) এই কারাগারটি ১৮ ফুট দৈর্ঘ্য এবং ১৪ ফুট প্রশস্ত ছিল। ••••••আমাদিগকে ভিতরে রাখিয়া দরজাটী তৎক্ষণাৎ বন্ধ করিয়া দেওয়া হইল। সেখানে যে সব লােককে আবদ্ধ করা হয়, সংখ্যায় তাহারা ১৫০ । । ৪৩
পাতা:অন্ধকূপ-হত্যা-রহস্য - মুজিবর রহমান.pdf/৫১
অবয়ব