বিরক্তভাবে মেয়েটি তাকে দূরে সরিয়ে দিল। এমনি ব্যবহার এর আগে টম আর কোন দিনই পায়নি তার পালিকার কাছ থেকে।
লোকটি ধীরে ধীরে মেয়েটির শরীর থেকে পোশাকগুলোকে আলগা করে খুলে ফেলতে লাগল। দুহাতে মুখ ঢেকে সে শুধু নীরবে দাঁড়িয়ে রইল, কোনই বাধা দিল না। তার সমস্ত শরীর তখন উত্তেজনায় কাঁপছে। হঠাৎ তার চোখ পড়ল টমের উপর। হতভম্বর মতো কিছুই স্থির করতে না পেরে টম তখনও সেইখানেই দাঁড়িয়ে ছিল। হঠাৎ মেয়েটি একেবারে অভিভূত হয়ে পড়ল—অন্য কোন লোক যেন তার দিকে তাকিয়ে দেখছে। সে তাড়াতাড়ি কোন রকমে পোশাকগুলো সামলিয়ে শরীরের উপর জড়িয়ে নিল। তারপর টমকে কাছে ডাকল—‘এদিকে আয় টম।” কথাটা শেষ করেই সে পাশের ঘরের দরজাটা খুলে দিল। কিন্তু নড়বার কোন লক্ষণই দেখা গেল না টমের।
‘কে তোকে এখানে আসতে বলেছে?’—টম মাথাটাকে কেবল নামিয়ে নিল কিন্তু এক পা ও নড়ল না।
মহিলা এবার একটা চাবুক তুলে নিল হাতে। তারপর বিছানার পাশেকার ছোট মাদুরটাকে পাশের ঘরে ছুঁড়ে ফেলে দিয়ে চাবুক দিয়ে সেদিকে দেখিয়ে বিরক্তভাবে চেঁচিয়ে উঠল—“আজকাল আর কথা বুবিসনা কেমন? যা এখান থেকে বেরিয়ে যা।” কিন্তু টম আগেকার মতোই অচল। এদিকে লোকটি ক্রমশই অসহিষ্ণু হয়ে উঠছিল। পালিকা চাবুক দিয়ে কুকুরটাকে সপাং করে একটা আঘাত করল। তারপর তাকে পাশের ঘরে ঠেলে বের করে দিয়ে চাবুকটাকেও সেই ঘরে ছুড়ে ফেলে দরজা বন্ধ করে দিল।
ভোর বেলা ঘরের দরজা খুলল। কোটি আর ধূসর রঙের টুপি পরে লোকটি দাড়িয়ে আছে। মহিলাটির পরনে সাদা একটা ড্রেসিং গাউন।
