পাতা:অপরাজিত - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১৭৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

urs NANS -পাঠিয়ে দেয় নি তো ফোন কর নি কেন ? আজি সাতদিন থেকে বলছি - কচি খোকা তো নাও ?---যা আমি না দেখব। তাই হবে না ? নপেনের ছটির কথা চাপা পড়িয়া গেল এবং সে বেচারী পােনরায় সাহস করিয়া সে-কথা উঠাইতেও পারিল না । সন্ধ্যার অলপ পাবে ক্যাশ ও ইংলিশ ডিপার্টমেণ্টের কেরানীরা বাহির হইল --অন্য অন্য কেরানীগণ আরও ঘন্টাখানেক থাকিবে । অতান্ত কম বেতনের কেরানী বলিয়া কেহই তাহদের মাখের দিকে চায় না, বা তাহারা নিজেরাও আপত্তি উঠাইতে ভয় পায় । দেউড়ীতে দারোয়ানেরা বসিয়া খৈনী খাইতেছে, ম্যানেজার ও সপোরিস্টেডেণ্টের যাতায়াতের সময় উঠিয়া দাঁড়াইয়া ফৌজের কায়দায় সেলাম করে, ইহাদিগকে পোছেও না । ফুটপাথে পা দিয়া নিপেন বলিল-দেখলেন অপববাব, ম্যানেজার বাবর ব্যাপার? একদিন সাড়ে তিনটের সময় ছটি চাইলাম, তা দিলে না-অন্য সব আফিস দেখােন গিয়ে দটোতে বন্ধ হয়ে গিয়েছে । তারা সব এতক্ষণে ট্রেনে যে যার বাড়ি পৌছে চা খাচ্ছে আর আমরা এই বোরলাম-কি অত্যাচারটা - বলন দিকি ? প্রবোধ মহারী বলিল-অত্যাচার ব'লে মনে কর ভায়া, কাল থেকে এস না, মিটে গেল । কেউ তো অত্যাচার পেয়াতে বলে নি । ওঃ, ক্ষিদে যা পেয়েছে। ভায়া, একটা মানষ পেলে ধরে খাই এমন অবস্থা । রোজ রোজ এমনি-হাটের রোগ জন্মে গোল ভায়া, শধ না খেয়ে খেয়ে আপ হাসিয়া বলিল-দখবেন প্রবোধ-দা, আমি পাশে আছি, এ যাত্রা আমাকে না হয়। রেহাই দিন । ধরে খেতে হয়। রাঙ্গার লোকের ওপর দিয়ে আজকের ক্ষিদেটা শান্ত করন । আমি আজ তৈরী হয়ে আসি নি । দোহাই | ! তাহার দঃখের কথা লইয়া এরূপ ঠাট্টা করাতে প্রবোধ মহারী খাব খাশী হইল না । বিরাজমাখে বলিল, তোমাদের তো সব তাতেই হাসি আর ঠাট্টা, ছেলেছোকরার কাছে কি কোন কথা বলতে আছে -আমি যাই, তাই বলি ! হাসি সোজা ভাই, কই দাও দিকি ম্যানেজারকে বলে পাঁচ টাকা মাইনে বাড়িয়ে ? হ', का दवा অপকে হটিতে হয় রোজ অনেকটা । তার বাসা শ্রীগোপাল মল্লিক লেনের মধ্যে, গোলদীঘির কাছে । তের টাকা ভাড়াতে নীচু একতলা ঘর, ছোট রান্নাঘর । সামান্য বেতনে দজায়গায় সংসার চালানো অসম্ভব বলিয়া আজ বছরখানেক হইল সে অপণনকে কলিকাতায় আনিয়া বাসা করিয়াছে । তব, এখানে চাকরিটি জটিয়াছিল। তাই রক্ষা ! শৈশবের সর্বপ্ন এ ভাবেই প্রায় পর্যবসিত হয় । অনভিজ্ঞ তরণ মনের উচ্ছবাস, উৎসাহ-মাধান্য ভরা রঙীন ভবিষ্যতের স্বপ্ন-স্বপ্ন থাকিয়া যায়। যে ভাবে বড় সওদাগর হইবে, দেশে দেশে বাণিজ্যের কুঠি খলিবে, তাহাকে হইতে হয় পাড়াগাঁয়ের